ঢাকা ০৭:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আগস্ট বিপ্লবের অদৃশ্য শক্তি তারেক রহমান – মাহমুদ হাসান Logo ছাত্র জনতাকে ১০ মিনিটে ক্লিয়ার করার ঘোষণা দেয়া হামিদ চাকুরীতে বহাল Logo ছাত্রলীগ নেত্রী যুবলীগ নেতার প্রতারণার শিকার চিকিৎসক সালেহউদ্দিন: বিচার ও প্রতিকার দাবি Logo দেশসেরা সহকারী জজ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনে সংবর্ধনা Logo মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি বিএমজিটিএ’র Logo এনবিআরে আরেক মতিউর: কর কমিশনার কবিরের সম্পদের পাহাড় Logo চাকুরীর নামে ভুয়া মেজরের কোটি টাকার প্রতারণা: মিথ্যে মামলায় ভুক্তভোগীদের হয়রানি Logo পটুয়াখালী এলএ শাখায় ঘুষ ছাড়া সেবা পাচ্ছেনা ইপিজেড ও পায়রা বন্দরের ক্ষতিগ্রস্তরা Logo খুলনায় বন্ধ পাটকল চালু ও বকেয়া বেতনের দাবিতে আমজনতার দলের বিক্ষোভ Logo এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী রশীদ’র বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ




‘বিশ্বকাপে ২৫০ রান করেও জয় পাওয়া যাবে’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০৭:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০১৯ ১৫৯ বার পড়া হয়েছে

খেলা ডেস্ক;

মিট দ্য ক্যাপটেনস অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিশ্বকাপের ১০ দলের ১০ অধিনায়ক। এদের মাঝে এক মাশরাফি বিন মুর্তজা বাদে আর কারও গানটি শোনার কথা নয়। তবু অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পর মনে হলো সবাই যেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের সেই বিখ্যাত গান শুনে এসেছেন, ‘না, না তুমি। তুমি বড় ভাগ্যবতী!’

শুরুটা করেছেন অ্যারন ফিঞ্চ। অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ককে অনুষ্ঠানের সঞ্চালক প্রশ্ন করেছিলেন, বর্তমান চ্যাম্পিয়ন নাকি স্বাগতিক দল, কারা ফেবারিট? একজন অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে অবিশ্বাস্য বিনয় দেখালেন ফিঞ্চ। অম্লানবদনে বললেন, ‘এবার ইংল্যান্ডই ফেবারিট বিশ্বকাপে।’ নিজের কথার সপক্ষে যুক্তিও দিলেন কিছু।

সেসব যুক্তি শুনেও মন গলল না এউইন মরগানের। নিজের পালা আসতেই ইংলিশ অধিনায়ক জানালেন এবার বিশ্বকাপ ১০ দলের দল (যদিও এ তথ্যটা সবাই জানেন)। সব দলই ভারসাম্যপূর্ণ দল। সবাই একে অন্যের সঙ্গে খেলবে, তাই এবারের চ্যালেঞ্জটা বেশ কঠিন।

বিশ্বকাপে তিন ফেবারিটের অন্যটি হচ্ছে ভারত। স্বাভাবিকভাবেই বিরাট কোহলিকে মুখ খুলতে হলো এবার। তাঁকে অবশ্য প্রশ্নটা করা হলো অন্যভাবে, ভারতে বিশ্বকাপ না হওয়াতে চাপ কি একটু হলেও কম অনুভব করছেন কোহলিরা? প্রশ্নটা যে হাস্যকর, সেটা সঞ্চালক নিজেই স্বীকার করে নিয়েছিলেন। কোহলির উত্তরে সেটা আরেকটু পরিষ্কার হলো, ‘আমাদের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচই টিভিতে দেখানো নিশ্চিত হয়ে গেছে। ভারত যেখানেই খেলুক, চাপ থাকবেই। আমরা পৃথিবীর যেখানেই খেলি, অনেক সমর্থক থাকে। আমি অ্যারনের সঙ্গে একমত, ইংল্যান্ড তাদের কন্ডিশনে সবচেয়ে এগিয়ে থাকবে। আবার মরগান যে বলল ১০ দলই ভারসাম্যপূর্ণ এবং সবাই একে অন্যের সঙ্গে খেলবে, তাই এবার চ্যালেঞ্জটা অনেক বড়।’

একে অন্যের গুণ গাওয়া পর্ব শেষ হতেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এবার ইংল্যান্ডের কন্ডিশন ও উইকেট বিবেচনা করে সবাই বলছেন বিশ্বকাপে রান–বন্যা হবে। এমনকি বিশ্বকাপে ৫০০ রান দেখার প্রস্তুতিও সেরে নিয়েছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড। স্বাগতিক দলের ব্যাটসম্যানদের আগ্রাসী ব্যাটিং ও ফর্ম মিলিয়ে ৫০০ রানের মাইলফলকটা ইংল্যান্ড ভাঙবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ নিয়ে কোহলি রসিকতা করে নিয়েছেন একটু, ‘ইংল্যান্ড যেন পণ করেছে যেভাবেই হোক ৫০০ রানের মাইলফলকটা ওরাই সবার আগে ভাঙবে। প্রথম বল থেকেই মারা শুরু করে ওরা। ৫০ ওভার পর্যন্ত সেটা চলে। বিশ্বকাপে অনেক রান হতে পারে।’

বিশ্বকাপে বড় স্কোর যে হবে, এতে সন্দেহ নেই কোহলির। তবে বিশেষজ্ঞদের চেয়ে একটু ভিন্নমত তাঁর। ভারত অধিনায়কের ধারণা, বিশ্বকাপের মাঝপর্যায় এলেই রান–বন্যা থেমে যাবে, দু–একটি ব্যতিক্রম ছাড়া সবাই সাবধানী হয়ে খেলা শুরু করবে, ‘দেশেও এ প্রশ্নের উত্তরে বলেছি, বিশ্বকাপে ২৬০-২৭০ রান তাড়া করাও ৩৭০/৮০ রান তাড়া করার মতোই কঠিন। টুর্নামেন্টের শেষ ভাগে হাই স্কোরিং ম্যাচ খুব বেশি হবে না। হ্যাঁ, প্রথমদিকে হয়তো কিছু ম্যাচে দেখা যাবে রান। কিন্তু পরে ২৫০ রানও ডিফেন্ড করবে দলগুলো। বিশ্বকাপ এতটাই চাপ থাকে খেলায়। প্রথম ম্যাচের আগে উত্তেজনার সঙ্গে হালকা মানসিক চাপও থাকবে। একবার শুরু হলেই সব দল বুঝতে পারবে কোন পথে চলতে হবে। এবং কী নিয়ে কাজ করতে হবে। কয়েক ম্যাচ যাওয়ার পরই সবই সাবধানী হয়ে ইনিংস গড়ায় মন দেবে এবং পরে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




‘বিশ্বকাপে ২৫০ রান করেও জয় পাওয়া যাবে’

আপডেট সময় : ১১:০৭:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০১৯

খেলা ডেস্ক;

মিট দ্য ক্যাপটেনস অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিশ্বকাপের ১০ দলের ১০ অধিনায়ক। এদের মাঝে এক মাশরাফি বিন মুর্তজা বাদে আর কারও গানটি শোনার কথা নয়। তবু অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পর মনে হলো সবাই যেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের সেই বিখ্যাত গান শুনে এসেছেন, ‘না, না তুমি। তুমি বড় ভাগ্যবতী!’

শুরুটা করেছেন অ্যারন ফিঞ্চ। অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ককে অনুষ্ঠানের সঞ্চালক প্রশ্ন করেছিলেন, বর্তমান চ্যাম্পিয়ন নাকি স্বাগতিক দল, কারা ফেবারিট? একজন অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে অবিশ্বাস্য বিনয় দেখালেন ফিঞ্চ। অম্লানবদনে বললেন, ‘এবার ইংল্যান্ডই ফেবারিট বিশ্বকাপে।’ নিজের কথার সপক্ষে যুক্তিও দিলেন কিছু।

সেসব যুক্তি শুনেও মন গলল না এউইন মরগানের। নিজের পালা আসতেই ইংলিশ অধিনায়ক জানালেন এবার বিশ্বকাপ ১০ দলের দল (যদিও এ তথ্যটা সবাই জানেন)। সব দলই ভারসাম্যপূর্ণ দল। সবাই একে অন্যের সঙ্গে খেলবে, তাই এবারের চ্যালেঞ্জটা বেশ কঠিন।

বিশ্বকাপে তিন ফেবারিটের অন্যটি হচ্ছে ভারত। স্বাভাবিকভাবেই বিরাট কোহলিকে মুখ খুলতে হলো এবার। তাঁকে অবশ্য প্রশ্নটা করা হলো অন্যভাবে, ভারতে বিশ্বকাপ না হওয়াতে চাপ কি একটু হলেও কম অনুভব করছেন কোহলিরা? প্রশ্নটা যে হাস্যকর, সেটা সঞ্চালক নিজেই স্বীকার করে নিয়েছিলেন। কোহলির উত্তরে সেটা আরেকটু পরিষ্কার হলো, ‘আমাদের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচই টিভিতে দেখানো নিশ্চিত হয়ে গেছে। ভারত যেখানেই খেলুক, চাপ থাকবেই। আমরা পৃথিবীর যেখানেই খেলি, অনেক সমর্থক থাকে। আমি অ্যারনের সঙ্গে একমত, ইংল্যান্ড তাদের কন্ডিশনে সবচেয়ে এগিয়ে থাকবে। আবার মরগান যে বলল ১০ দলই ভারসাম্যপূর্ণ এবং সবাই একে অন্যের সঙ্গে খেলবে, তাই এবার চ্যালেঞ্জটা অনেক বড়।’

একে অন্যের গুণ গাওয়া পর্ব শেষ হতেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এবার ইংল্যান্ডের কন্ডিশন ও উইকেট বিবেচনা করে সবাই বলছেন বিশ্বকাপে রান–বন্যা হবে। এমনকি বিশ্বকাপে ৫০০ রান দেখার প্রস্তুতিও সেরে নিয়েছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড। স্বাগতিক দলের ব্যাটসম্যানদের আগ্রাসী ব্যাটিং ও ফর্ম মিলিয়ে ৫০০ রানের মাইলফলকটা ইংল্যান্ড ভাঙবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ নিয়ে কোহলি রসিকতা করে নিয়েছেন একটু, ‘ইংল্যান্ড যেন পণ করেছে যেভাবেই হোক ৫০০ রানের মাইলফলকটা ওরাই সবার আগে ভাঙবে। প্রথম বল থেকেই মারা শুরু করে ওরা। ৫০ ওভার পর্যন্ত সেটা চলে। বিশ্বকাপে অনেক রান হতে পারে।’

বিশ্বকাপে বড় স্কোর যে হবে, এতে সন্দেহ নেই কোহলির। তবে বিশেষজ্ঞদের চেয়ে একটু ভিন্নমত তাঁর। ভারত অধিনায়কের ধারণা, বিশ্বকাপের মাঝপর্যায় এলেই রান–বন্যা থেমে যাবে, দু–একটি ব্যতিক্রম ছাড়া সবাই সাবধানী হয়ে খেলা শুরু করবে, ‘দেশেও এ প্রশ্নের উত্তরে বলেছি, বিশ্বকাপে ২৬০-২৭০ রান তাড়া করাও ৩৭০/৮০ রান তাড়া করার মতোই কঠিন। টুর্নামেন্টের শেষ ভাগে হাই স্কোরিং ম্যাচ খুব বেশি হবে না। হ্যাঁ, প্রথমদিকে হয়তো কিছু ম্যাচে দেখা যাবে রান। কিন্তু পরে ২৫০ রানও ডিফেন্ড করবে দলগুলো। বিশ্বকাপ এতটাই চাপ থাকে খেলায়। প্রথম ম্যাচের আগে উত্তেজনার সঙ্গে হালকা মানসিক চাপও থাকবে। একবার শুরু হলেই সব দল বুঝতে পারবে কোন পথে চলতে হবে। এবং কী নিয়ে কাজ করতে হবে। কয়েক ম্যাচ যাওয়ার পরই সবই সাবধানী হয়ে ইনিংস গড়ায় মন দেবে এবং পরে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে।’