ঢাকা ০১:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর ভয়, ওসিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৭:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০১৯ ১১৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক;

থানায় ডেকে নিয়ে মারধর ও ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয় দেখানোর অভিযোগে নগরের পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়াসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন মো. মিজানুর রহমান নামের এক ব্যবসায়ী।

বুধবার (২২ মে) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মো. সফি উদ্দিনের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত মামলা গ্রহণ করে তদন্তের জন্য নগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাসান মাহমুদ চৌধুরী। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া, নগরীর জিইসি মোড় এলাকার বাসিন্দা রোকন উদ্দিন, ইয়াছিন আরাফাত, রোকন, সোহেল, ফুয়াদ ও হাসান।

মামলার বাদী মিজানুর রহমান নগরীর হালিশহরের বাসিন্দা ও নৌবাহিনীর তালিকাভুক্ত ঠিকাদার বলে জানা গেছে। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান পার্টিকেল পয়েন্ট নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন ঠিকাদারী মালামাল নগদে ক্রয় করতেন। কিন্তু সরবরাহকৃত মালামালের গুণগত মান খারাপ হওয়ায় এক বছর আগেই তিনি ওই প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য ক্রয় বন্ধ করে দেন।

গত ২৫ এপ্রিল আসামি রোকন উদ্দিন, ইয়াছিন আরাফাত, রোকন, সোহেল, ফুয়াদ ও হাসান পরস্পর জোগ-সাজোশে নগরের জিইসি মোড় এবি ব্যাংকের সামনে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। অস্ত্রধরে বিকাশের মাধ্যমেও বিভিন্ন অঙ্কের টাকা আদায় করেন। এভাবে মোট ১ লাখ ২৯ হাজার টাকা নেয়।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়- তাদের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে মিজানুর যান পাঁচলাইশ থানায় মামলা করতে। কিন্তু ওসি মামলা না নিয়ে আপস-মিমাংসার মাধ্যমে টাকা উদ্ধারের প্রস্তাব দেন।

১৪ মে পূর্বনির্ধারিত বৈঠকের জন্য থানায় গেলে ওসি ও অভিযুক্তরা মিলে তাকে মারধর করে এবং ইয়াবা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এরপর জোরপূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়া হয়। থানায় বিচার না পাওয়ায় বাদী আদালতের আশ্রয় নেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর ভয়, ওসিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট সময় : ১০:৫৭:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক;

থানায় ডেকে নিয়ে মারধর ও ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয় দেখানোর অভিযোগে নগরের পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়াসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন মো. মিজানুর রহমান নামের এক ব্যবসায়ী।

বুধবার (২২ মে) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মো. সফি উদ্দিনের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত মামলা গ্রহণ করে তদন্তের জন্য নগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাসান মাহমুদ চৌধুরী। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া, নগরীর জিইসি মোড় এলাকার বাসিন্দা রোকন উদ্দিন, ইয়াছিন আরাফাত, রোকন, সোহেল, ফুয়াদ ও হাসান।

মামলার বাদী মিজানুর রহমান নগরীর হালিশহরের বাসিন্দা ও নৌবাহিনীর তালিকাভুক্ত ঠিকাদার বলে জানা গেছে। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান পার্টিকেল পয়েন্ট নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন ঠিকাদারী মালামাল নগদে ক্রয় করতেন। কিন্তু সরবরাহকৃত মালামালের গুণগত মান খারাপ হওয়ায় এক বছর আগেই তিনি ওই প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য ক্রয় বন্ধ করে দেন।

গত ২৫ এপ্রিল আসামি রোকন উদ্দিন, ইয়াছিন আরাফাত, রোকন, সোহেল, ফুয়াদ ও হাসান পরস্পর জোগ-সাজোশে নগরের জিইসি মোড় এবি ব্যাংকের সামনে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। অস্ত্রধরে বিকাশের মাধ্যমেও বিভিন্ন অঙ্কের টাকা আদায় করেন। এভাবে মোট ১ লাখ ২৯ হাজার টাকা নেয়।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়- তাদের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে মিজানুর যান পাঁচলাইশ থানায় মামলা করতে। কিন্তু ওসি মামলা না নিয়ে আপস-মিমাংসার মাধ্যমে টাকা উদ্ধারের প্রস্তাব দেন।

১৪ মে পূর্বনির্ধারিত বৈঠকের জন্য থানায় গেলে ওসি ও অভিযুক্তরা মিলে তাকে মারধর করে এবং ইয়াবা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এরপর জোরপূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়া হয়। থানায় বিচার না পাওয়ায় বাদী আদালতের আশ্রয় নেন।