ঢাকা ১১:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




‘ভুল ইনজেকশনে’ কোমায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২৩:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০১৯ ১৬২ বার পড়া হয়েছে

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি |

গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মরিয়ম সুলতানা মুন্নির অবস্থার উন্নতি হয়নি। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণের মধ্যে খুলনা আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নার্সের দেওয়া ভুল ইনজেকশন পুশ করায় তার এই অবস্থা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীর চাচা জাকির হোসেন বিশ্বাস বাদী হয়ে ডা. তপন কুমার মন্ডল, নার্স শাহানাজ ও কুহেলিকাকে অভিযুক্ত করে সদর থানায় রাতেই একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

ভুক্তভোগী মরিয়ম সুলতানা মুন্নি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের মো. মোশারফ হোসেন বিশ্বাসের মেয়ে।

পিত্তথলির পাথরজনিত কারণে মুন্নিকে ডাক্তার তপন কুমার মন্ডলের কাছে দেখানো হয়। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ওই শিক্ষার্থীর অপারেশন করার দিন ধার্য ছিল। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হাসপাতালের নার্স মুন্নিকে গ্যাসের ইনজেকশনের পরিবর্তে ভুল করে অজ্ঞান করার ইনজেকশন দিয়ে দেন। এতে ওই শিক্ষার্থী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে তাকে খুলনা আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “এ ব্যাপারে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী শনিবার কমিটি তাদের প্রতিবেদন দাখিল করবেন। তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




‘ভুল ইনজেকশনে’ কোমায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী

আপডেট সময় : ০৪:২৩:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০১৯

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি |

গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মরিয়ম সুলতানা মুন্নির অবস্থার উন্নতি হয়নি। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণের মধ্যে খুলনা আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নার্সের দেওয়া ভুল ইনজেকশন পুশ করায় তার এই অবস্থা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীর চাচা জাকির হোসেন বিশ্বাস বাদী হয়ে ডা. তপন কুমার মন্ডল, নার্স শাহানাজ ও কুহেলিকাকে অভিযুক্ত করে সদর থানায় রাতেই একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

ভুক্তভোগী মরিয়ম সুলতানা মুন্নি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের মো. মোশারফ হোসেন বিশ্বাসের মেয়ে।

পিত্তথলির পাথরজনিত কারণে মুন্নিকে ডাক্তার তপন কুমার মন্ডলের কাছে দেখানো হয়। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ওই শিক্ষার্থীর অপারেশন করার দিন ধার্য ছিল। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হাসপাতালের নার্স মুন্নিকে গ্যাসের ইনজেকশনের পরিবর্তে ভুল করে অজ্ঞান করার ইনজেকশন দিয়ে দেন। এতে ওই শিক্ষার্থী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে তাকে খুলনা আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “এ ব্যাপারে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী শনিবার কমিটি তাদের প্রতিবেদন দাখিল করবেন। তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”