ঢাকা ১০:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo সাংবাদিক সন্তানদের চেক প্রদান নিয়ে ডিসির অশোভন কান্ড Logo প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ Logo ছাড়পত্র ও লাইসেন্স বাণিজ্য করে পরিবেশ অধিদপ্তরের জহিরুল কোটিপতি Logo ছাড়পত্র ও লাইসেন্সের নামে পরিবেশ অধিদপ্তরের আবুল কালামের কোটি টাকার বাণিজ্য Logo বেসরকারি টিভি চ্যানেল এস’ সুজিত চক্রবর্তী গং কর্তৃক সাংবাদিকদের হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo ফ্যাসিস্টের দোসর বিটিভির প্রকৌশলী মনিরুল ইসলামের হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি! পর্ব ১ Logo সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশনের কক্সবাজার ভ্রমন Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয় 




রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে ধান কাটতে মাঠে নামলেন ডিসি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১৭:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০১৯ ৯৮ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি; 

ধানের মূল্য না থাকাসহ চলতি বোরো মৌসুমে সারা দেশের মতো চুয়াডাঙ্গার জীবননগরেও দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট। শ্রমিক সংকটের পাশাপাশি মজুরিও বেশি এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। এমন সংকটময় সময়ে প্রান্তিক কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস।

মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খন্দকার ফরহাদ আহমদ ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খাঁনকে সঙ্গে নিয়ে চলতি বোরো মৌসুমের ধান সংগ্রহ উদ্বোধনের জন্য জীবননগরে যাচ্ছিলেন। পথে পেয়ারাতলা নামক স্থানে সড়কের ধারেই একটি ক্ষেতে জেবুনেছা নামে এক নারীর ধান কাটতে দেখে তিনি গাড়ি থেকে নেমে ওই ক্ষেতে ধান কাটতে যান।

খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকি, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সারমিন আক্তার, ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ঘটনাস্থলে এসে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে পাকা ধান স্বেচ্ছায় বিনা মজুরিতে কেটে দেন।

ওই ধানক্ষেতের মালিক জেবুনেছা জানান, তার ১৫ কাঠা জমির ধান পেকে যাওয়ার পরও টাকার অভাবে তিনি কামলা নিয়ে ধান কাটতে পারছিলেন না। তাই আজ তিনি ও তার ছেলে শাহ আলম মিলে ক্ষেতের ধান কাটতে শুরু করেন। এর পরই জেলা প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা তার জমির অবশিষ্ট ধান কেটে দেন।

জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস বলেন, আমরাও কৃষকের সন্তান, কৃষকদের এই দুঃসময়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে পেরে নিজেদেরও সৌভাগ্যবান মনে করছি।

তিনি বলেন, কৃষকরা সাময়িক শ্রমিক সংকটে পড়েছেন। হয়তো সেটা কেটে যাবে। এছাড়া ধান সংগ্রহ অভিযান শুরুর মধ্য দিয়ে কৃষকের উৎপাদিত ধানের দাম বাড়ার পাশাপাশি তারা ন্যায্যমূল্য পাবেন বলে আশা করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে ধান কাটতে মাঠে নামলেন ডিসি

আপডেট সময় : ১২:১৭:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০১৯

জেলা প্রতিনিধি; 

ধানের মূল্য না থাকাসহ চলতি বোরো মৌসুমে সারা দেশের মতো চুয়াডাঙ্গার জীবননগরেও দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট। শ্রমিক সংকটের পাশাপাশি মজুরিও বেশি এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। এমন সংকটময় সময়ে প্রান্তিক কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস।

মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খন্দকার ফরহাদ আহমদ ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খাঁনকে সঙ্গে নিয়ে চলতি বোরো মৌসুমের ধান সংগ্রহ উদ্বোধনের জন্য জীবননগরে যাচ্ছিলেন। পথে পেয়ারাতলা নামক স্থানে সড়কের ধারেই একটি ক্ষেতে জেবুনেছা নামে এক নারীর ধান কাটতে দেখে তিনি গাড়ি থেকে নেমে ওই ক্ষেতে ধান কাটতে যান।

খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকি, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সারমিন আক্তার, ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ঘটনাস্থলে এসে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে পাকা ধান স্বেচ্ছায় বিনা মজুরিতে কেটে দেন।

ওই ধানক্ষেতের মালিক জেবুনেছা জানান, তার ১৫ কাঠা জমির ধান পেকে যাওয়ার পরও টাকার অভাবে তিনি কামলা নিয়ে ধান কাটতে পারছিলেন না। তাই আজ তিনি ও তার ছেলে শাহ আলম মিলে ক্ষেতের ধান কাটতে শুরু করেন। এর পরই জেলা প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা তার জমির অবশিষ্ট ধান কেটে দেন।

জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস বলেন, আমরাও কৃষকের সন্তান, কৃষকদের এই দুঃসময়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে পেরে নিজেদেরও সৌভাগ্যবান মনে করছি।

তিনি বলেন, কৃষকরা সাময়িক শ্রমিক সংকটে পড়েছেন। হয়তো সেটা কেটে যাবে। এছাড়া ধান সংগ্রহ অভিযান শুরুর মধ্য দিয়ে কৃষকের উৎপাদিত ধানের দাম বাড়ার পাশাপাশি তারা ন্যায্যমূল্য পাবেন বলে আশা করছি।