‘ধানের দাম ১১০০ টাকা করতে হবে’
- আপডেট সময় : ০৫:৫০:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০১৯ ৭৭ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহী ব্যুরো
ধানের দাম মণপ্রতি কমপক্ষে ১ হাজার ১০০ টাকা নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী সদর আসনের এমপি ও ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।
তিনি বলেছেন, এক বিঘা জমিতে ধান উৎপাদনে কৃষকের কমপক্ষে ৯ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হয়। তাই ধানের দাম ১ হাজার ১০০ টাকার নিচে রাখা যাবে না।
‘কৃষি বাঁচাও, কৃষক বাঁচাও’ শ্লোগানে ধানের দাম বৃদ্ধির দাবিতে রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজশাহী জেলা ও মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টি বিক্ষোভ-সমাবেশ ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশেই প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা রাজশাহী সদর আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা।
তিনি বলেন, দেশে একটা সময় দুর্ভিক্ষে মানুষ মারা যেত। প্রযুক্তির ব্যবহারে এখন কৃষির উন্নয়ন হয়েছে। এখন কৃষি মন্ত্রী বলেন, আমরা দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছি। কৃষকরাই এই দেশকে খাদ্যে স্বয়ংম্পূর্ণ করেছে। কৃষক হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে ফসল ফলায়, কিন্তু এর কৃতিত্ব তাদের দেয়া হয় না।
বাদশা আরও বলেন, আজকে দেশে ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। মন্ত্রীরা বলেন- ক্ষেতমজুরের সংকটও নাকি উন্নয়নের মাপকাঠি। অথচ বুঝতে হবে আজকে কৃষির বেহাল দশা। কৃষক না খেয়ে মরছে। উন্নয়নের এসব ফাকা বুলি দিয়ে কোনো লাভ নেই।
সমাবেশ শেষে ফজলে হোসেন বাদশাসহ ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃবৃন্দ একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গিয়ে জেলা প্রশাসক এসএম আবদুল কাদেরকে স্মারকলিপি দেন।
এতে ধানের দাম ১ হাজার ১০০ টাকা নির্ধারণ ছাড়াও রাজশাহীর প্রতিটি ইউনিয়নে জরুরিভিত্তিতে সরকারিভাবে ধান কেনা, কৃষকদের ধান বিক্রি নিশ্চিত, আগামী মৌসুমে কৃষকদের বিনামূল্যে সার, বীজ ও কীটনাশক, নতুন খাদ্যগুদাম নির্মাণ করে উৎপাদিত খাদ্যশস্যের ১৫ ভাগ মজুদ এবং গুদামে অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দৈরাত্ম বন্ধের দাবি জানানো হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি লিয়াকত আলী লিকু। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পার্টির জেলার সভাপতি রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক তোতা, মহানগরের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আবুল কালাম আজাদ, সাদরুল ইসলাম, জেলা কৃষক সমিতির সভাপতি কায়েস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ফরজ আলী প্রমুখ।
সমাবেশ পরিচালনা করেন নগর ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য মনির উদ্দিন পান্না।