ঢাকা ১০:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




এক শাড়ির দাম ২ লাখ!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:১৯:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০১৯ ১২৮ বার পড়া হয়েছে

সাদা রংয়ের জামদানি এই শাড়িটির দাম হাঁকা হয়েছে ২ লাখ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক;

কার্পাস তুলা দিয়ে তৈরি বিশেষ এক ধরনের শাড়ি জামদানি। এই শাড়িতে বুননকালে তৃতীয় একটি সুতা দিয়ে নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়। জামদানি বুননের অতুলনীয় পদ্ধতি ইউনেসকো কর্তৃক একটি অনন্যসাধারণ ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেইজ হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।

সময়ের বিবর্তনে শাড়ির প্রতি নারীদের টান কমলেও এখনো রূচিশীলদের জামদানির প্রতি টান রয়েছে। রূচিশীলদের চাহিদার প্রতি নজর রেখেই ভিন্ন ভিন্ন মান ও দামের জামদানি তৈরি করেন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে ৩ থেকে ২০ হাজার টাকা দামের জামদানির চাহিদাই বর্তমানে বেশি।

তবে অভিজাত পোশাকের আভিজাত্য ধরে রাখতে অনেক বেশি দাম দিয়েও কেউ কেউ জামদানি শাড়ি কেনেন। এ ধরনের অভিজাত রুচিশীলদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মো. সেলিম তৈরি করেছেন ২ লাখ টাকা দামের জামদানি শাড়ি।

শাড়িটি রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির ‘জামদানি প্রদর্শনীতে’ নিয়ে এনেছেন এই ব্যবসায়ী। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) এবং শিল্পকলা একাডেমি যৌথভাবে ১০ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।

দুই লাখ টাকা দামের এই জামদানি শাড়ি সম্পর্কে মো. সেলিম বলেন, ‘আমি নিজ হাতে শাড়িটি তৈরি করেছি। সঙ্গে একজন সহকারী ছিল। দু’জন মিলে প্রতিদিন ১৪ ঘণ্টা ধরে কাজ করে শাড়িটি তৈরি করতে সময় লেগেছে ৭ মাস।’

তিনি বলেন, ‘শুধু দাম দেখলেই হবে না। এই শাড়ির কাজ, ডিজাইন, সুতা-সবকিছুই অন্য শাড়ি থেকে আলাদা। সাত মাস ধরে শাড়িটি বানাতে সহযোগী হিসেবে যে ছিল তাকে প্রতি সপ্তাহে দিতে হয়েছে ৩ হাজার টাকা।’

এই ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমি প্রায় ১০ বছর ধরে জামদানি শাড়ি তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে আছি। গত বছর জাতীয় জাদুঘরে জামদানি পণ্যের যে প্রদর্শনী হয়েছিল, সেখানেও অংশ নিয়ে ছিলাম। ওই প্রদর্শনীতে ৮০ হাজার টাকা দামের বেশ কয়েকটি শাড়ি বিক্রি করেছিলাম। আশা করছি, এখানেও ভালো বিক্রি হবে।’

প্রদর্শনীতে নিয়ে আসা মানভেদে জামদানি শাড়ির দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি যেসব শাড়ি নিয়ে এসেছি এর মধ্যে সবচেয়ে নরমাল শাড়িটির দাম ৬ হাজার টাকা। আর সব থেকে উন্নতমানের শাড়িটির দাম ২ লাখ টাকা। এ ছাড়া ১ লাখ ৮০ হাজার, ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দামের শাড়িও আছে। মাঝারি মানের শাড়িগুলোর দাম পড়বে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




এক শাড়ির দাম ২ লাখ!

আপডেট সময় : ০৭:১৯:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০১৯

সাদা রংয়ের জামদানি এই শাড়িটির দাম হাঁকা হয়েছে ২ লাখ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক;

কার্পাস তুলা দিয়ে তৈরি বিশেষ এক ধরনের শাড়ি জামদানি। এই শাড়িতে বুননকালে তৃতীয় একটি সুতা দিয়ে নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়। জামদানি বুননের অতুলনীয় পদ্ধতি ইউনেসকো কর্তৃক একটি অনন্যসাধারণ ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেইজ হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।

সময়ের বিবর্তনে শাড়ির প্রতি নারীদের টান কমলেও এখনো রূচিশীলদের জামদানির প্রতি টান রয়েছে। রূচিশীলদের চাহিদার প্রতি নজর রেখেই ভিন্ন ভিন্ন মান ও দামের জামদানি তৈরি করেন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে ৩ থেকে ২০ হাজার টাকা দামের জামদানির চাহিদাই বর্তমানে বেশি।

তবে অভিজাত পোশাকের আভিজাত্য ধরে রাখতে অনেক বেশি দাম দিয়েও কেউ কেউ জামদানি শাড়ি কেনেন। এ ধরনের অভিজাত রুচিশীলদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মো. সেলিম তৈরি করেছেন ২ লাখ টাকা দামের জামদানি শাড়ি।

শাড়িটি রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির ‘জামদানি প্রদর্শনীতে’ নিয়ে এনেছেন এই ব্যবসায়ী। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) এবং শিল্পকলা একাডেমি যৌথভাবে ১০ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।

দুই লাখ টাকা দামের এই জামদানি শাড়ি সম্পর্কে মো. সেলিম বলেন, ‘আমি নিজ হাতে শাড়িটি তৈরি করেছি। সঙ্গে একজন সহকারী ছিল। দু’জন মিলে প্রতিদিন ১৪ ঘণ্টা ধরে কাজ করে শাড়িটি তৈরি করতে সময় লেগেছে ৭ মাস।’

তিনি বলেন, ‘শুধু দাম দেখলেই হবে না। এই শাড়ির কাজ, ডিজাইন, সুতা-সবকিছুই অন্য শাড়ি থেকে আলাদা। সাত মাস ধরে শাড়িটি বানাতে সহযোগী হিসেবে যে ছিল তাকে প্রতি সপ্তাহে দিতে হয়েছে ৩ হাজার টাকা।’

এই ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমি প্রায় ১০ বছর ধরে জামদানি শাড়ি তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে আছি। গত বছর জাতীয় জাদুঘরে জামদানি পণ্যের যে প্রদর্শনী হয়েছিল, সেখানেও অংশ নিয়ে ছিলাম। ওই প্রদর্শনীতে ৮০ হাজার টাকা দামের বেশ কয়েকটি শাড়ি বিক্রি করেছিলাম। আশা করছি, এখানেও ভালো বিক্রি হবে।’

প্রদর্শনীতে নিয়ে আসা মানভেদে জামদানি শাড়ির দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি যেসব শাড়ি নিয়ে এসেছি এর মধ্যে সবচেয়ে নরমাল শাড়িটির দাম ৬ হাজার টাকা। আর সব থেকে উন্নতমানের শাড়িটির দাম ২ লাখ টাকা। এ ছাড়া ১ লাখ ৮০ হাজার, ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দামের শাড়িও আছে। মাঝারি মানের শাড়িগুলোর দাম পড়বে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা।’