মামিকে হত্যার পর পেট কেটে ভাগ্নের আত্মহত্যা
- আপডেট সময় : ০৩:৫৪:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০১৯ ৯৪ বার পড়া হয়েছে
বগুড়া প্রতিনিধি |
অনৈতিক সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় বগুড়ার শিবগঞ্জে মামিকে হত্যার পর ভাগ্নে আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের ভাগকোলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হওয়া আলেয়া বেগম (৩৫) ভাগকোলা গ্রামের দিনমজুর সাইদুর রহমানের স্ত্রী। ভাগ্নে আপেল মিয়া (২০) পার্শ্ববর্তী টেপাগাড়ী গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।
মোকামতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, আপেল মিয়া পেশায় কাঠমিস্ত্রীর কাজ করতেন। ছোটবেলা থেকে আপেল তার নানা তোজাম্মেল হোসেনের বাড়িতে থাকতেন। বেশ কিছুদিন ধরেই সাইদুর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী আলেয়ার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের জন্য প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন আপেল। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর একাধিকবার এলাকায় সালিশ হয়েছে। বৈঠকের পর কিছুদিন আপেল স্বাভাবিক থাকলেও পুনরায় একই ঘটনা ঘটিয়ে আসছিলেন।
ইউপি সদস্য শহিদুল আরও জানান, মঙ্গলবার সকালে বাড়ির লোকজন কাজে বেরিয়ে যায়। সাড়ে ৯টার দিকে প্রতিবেশীরা বাড়ির উঠানের পাশে টিউবওয়েল পাড়ে আলেয়ার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। সেসময় প্রতিবেশীরা ভাগ্নে আপেলকে বাড়িতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে।
এক পর্যায় বাড়ির অদূরে পরিত্যক্ত ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের একটি কক্ষে ভাগ্নে আপেলের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায় তারা। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হলে পুলিশ গিয়ে দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক সনাতন চন্দ্র সরকার জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে যে তথ্য পাওয়া গেছে তাতে ধারণা করা হচ্ছে, আপেল কাঠের কাজে ব্যবহৃত ধারালো বাটাল দিয়ে তার মামি আলেয়ার ঘাড়ে আঘাত করে হত্যা করেন। এরপর ওই বাটাল দিয়েই নিজের পেটে আঘাত করে আত্মহত্যা করেন। আপেলের মরদেহ উদ্ধারের স্থান থেকে রক্ত মাখা বাটাল উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।