ঢাকা ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী’র বিরুদ্ধে মানবাধিকার নেত্রীর সংবাদ সম্মেলন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৯ ১২২ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ ডেস্ক;  বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাংলাদেশী বংশদ্ভুত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, মানবাধিকার নেত্রী শামীমুন নাহার। বিগত ৯ বছর যাবৎ অমানবিক নির্যাতন, তাকে সরকারি কাজে বাধা, সর্বস্তরে ভুল তথ্য প্রদান এবং প্রশাসনকে অবৈধ ভাবে ব্যবহার করে তার এলাকার সুশীল সমাজের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে ও সাংসদ নসরুল হামিদ বিপুর নেতৃত্বে বিভিন্ন লোক দিয়ে শামীমুন নাহারকে হত্যা ও গুম করার হুমকি দেয়া হয়, তাদের এমন প্রতি দিনের হুমকিতে নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন তিনি। নসরুল হামিদ বিপু’র দ্বারা পারিবারিক অশান্তি ও পৈত্রিক সম্মত্তি দখল করে নেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন।

২৫ এপ্রিল ২০১৯ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সাগর-রুনী মিলনায়তনে হোপ’স ডোর বাংলাদেশ নামক মানবাধিকার সংগঠনের ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, তার প্রয়াত বড় ভাই আরিফুর রশীদের বড় ছেলে শাহরিয়ার নাফিজ ও আরিফুর রশীদের মেয়ে এলিজা। তারাও বিপু’র বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেন। এবং আইরিনের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকার এ নেত্রী বলেন, ২০১০ সালের ৫ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে র‌্যাবের মাধ্যমে ইয়াবা মামলাও দেয়া হয়। এ মামলাটি বিপুর প্ররোচনায় হয়েছে বলে র‌্যাবের সাবেক এডিজি কর্ণেল জিয়াউল আহসান শামীমুন নাহার এর কাছে স্বীকার করেন। পরের বছর ২০১১ সালের ৯ আগস্ট ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। সে সংবাদ সম্মেলনেও বিপুর লোকজন হামলা চালায়।

অভিযোগে আরও বলেন, ২০১২ সালের ১ জুলাই মাসে দ্বিতীয়বার আরো একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানেও বিপুর লোকজন তাকে হত্যার হুমকি ও ভয় দেখায়। এছাড়াও তার থাইরয়েড সমস্যাকে মাদক রিপোর্ট বলে বিপু অপপ্রচার করেছে বলেও এ সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।

শামীমুন নাহারের অভিযোগ, ২০১৫ সালে ৮ ফেব্রুয়ারী বিপুকে একটি লিগ্যাল নোটিশ দেই, বিপু লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার পরে কেরানীগঞ্জের উপজেলা চেয়ারমম্যান শাহীনকে দিয়ে আমাকে ফোন করান। সে ফোনের ভিত্তিতে ২০১৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বনানী ডিওএইচএসে তাকে একটি বাসায় দেখা করতে বলেন। তিনি সেখানে যেতে আপত্তি জানালেও তাকে সে বাড়িতে গিয়ে আলোচনায় বসতে বাধ্য করানো হয়। পরে শামীমুন নাহার কয়েকজন আইনজীবিসহ ১২ জনকে নিয়ে সে বাড়িতে যান। তবে আলোচনায় ধানমন্ডির ৪৮ নং ওয়ার্ড কমিশনার আমজাদ হোসেন মিয়া ও একজন আইনজীবীসহ পাঁচজনকে উপস্থিত থাকতে দেয়া হয়।

এসময় বিপু তাকে হুমকি দেয় বলেও জানান শামীমুন নাহার। তিনি বলেন, ‘বিপু আমাকে পাগল ও চরিত্রহীনা আখ্যায়িত করে আমার মানহানী করে। আলোচনায় বসেও বারবার বিপু হুমকি দিয়েছেন। তিনি আমার চারিত্রিক বিষয় নিয়েও অশালীনভাবে মন্তব্য করেছেন। একইসঙ্গে বলেছেন, এতোদিন যা করেছি, এটা কিছুই না। আপনি যদি আমার নামে মামলা করতে যান, তাহলে আমি আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে দেখে নিবো। এটা আমার বাংলাদেশ, কোথাও বিচার পাবেন না।”
তিনি আরও বলেন, “বিপু তার লোকজন দিয়ে আমাকে আমার বাবার বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে দেন। আমার আইফোন, মার্কিন পাসপোর্ট ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়ে যান।”

সম্প্রতি সে আইফোনে থাকা শামীমুন নাহারের ছবির সঙ্গে অন্য মানুষের ছবি জুড়িয়ে দিয়ে বিভিন্নস্থানে অপপ্রচার করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। শামীমুন নাহার বলেন, “বিপুর নির্দেশে তার লোকজন আমার শারিরীক, মানসিক ও অর্থনৈতিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছেও অভিযোগ জানিয়েছি।”

এদিকে এসব অভিযোগ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানানো হয়। শামীমুন নাহার জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, আমি তো ওনার কাছে চুনোপুটি। এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা, মার্কিন দূতাবাসে অভিযোগ ও এসব বিষয়ে মামলা করার পরামর্শ দেন। পরে শামীমুন নাহার গত ২০১৫ সালের ১৫ মার্চ মার্কিন দূতাবাসে গিয়ে এসব বিষয়ে অভিযোগ জানান।
দূতাবাসও তার নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শামীমুন নাহার বলেন, আমার বাবার সম্পত্তি দখলকে কেন্দ্র করে বাবার মৃত্যুর পর থেকেই আমার পরিবারের লোকজন সহ নসরুল হামিদ বিপুর নেতৃত্বে যারা এসব অন্যায় কাজের সাথে জড়িত এবং যাদের সাথে মামলা মোকদ্দমা চলছে তাদের নামঃ ডেইজি হাসান আইরিন, আশিফুর রশিদ, ইবনুল হাসান, ফুহাদ হোসেন, কবির হোসেন কাজল, (আইরিনের কাজের মেয়ে লাইলি ও তার স্বামী প্রিন্স গোমেজ) এবং অজ্ঞাত আরো অনেকেই রয়েছেন যাদের নাম অজানা। এরা প্রত্যেকেই নসরুল হামিদ বিপুর নেতৃত্বে একেক জনকে একেক ভাবে দায়িত্ব দিয়েছেন যেন আমার পরিবারের মান সম্মান ক্ষুন্ন করেন এবং আমি ও আমার মায়ের উপর বিভিন্ন ভাবে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়। তাদের এসব নির্যাতনে আমার মা অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং গত ০২/০৪/২০১৬ইং তারিখে চিকিৎসাবিহীন মৃত্যুবরন করেন। আমার মায়ের মৃত্যুর খবর পর্যন্ত আমাকে জানানোর প্রয়োজন মনে করেনি তারা। এরপর আমি মারাত্মক ভাবে অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হই। ডাঃ আমাকে বলেন যে আমার অবস্থা বেশী ভালো নয়, দ্রুত দেশের বাহিরে চিকিৎসার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন। তাৎক্ষনিক আমি দেশের বাহিরে অর্থাৎ আমেরিকা চলে যাই। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর ডাঃ আমার কিডনি ক্যান্সার নিশ্চিত করেন এবং অপারেশনের জন্য বলেন। এদিকে আমার বড় ভাই আরিফুর রশিদ তাদের অত্যাচারে দেশের মধ্যে চিকিৎসাবিহীন মারা যায়। তড়িঘড়ি করে আত্মীয় স্বজনকে না জানিয়ে রাতের অন্ধকারে জানাযা না দিয়ে দাফন করা হয়। এক সময় আমার এই বড় ভাইকে দিয়ে এই চক্রটি বিভিন্ন স্থানে যেমন: প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া ও প্রশাসন এর কাছে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতেন। এদিকে ভাই মারা যাওয়ায় তার দুই সন্তান ও স্ত্রীর ওপর শারীরিক এবং মানষিক নির্যাতন করে জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বের করে দেওয়ার আগের দিন রাতে সাংসদ নসরুল হামিদ বিপু আইরিনের সাথে ঐ বাসায় বৈঠকে বসে এবং মদ্যপান ও ইয়াবা সেবন করে আইরিনের সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। এই ঘটনার আগে দুধের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে আমার বড় ভাইয়ের অসুস্থ্য স্ত্রীকে তা পান করিয়ে ভাইয়ের কন্যা এলিজাকে ইয়াবা সেবন করিয়ে বস্ত্রহীন করে বিভিন্ন এঙ্গেলে ছবি ও ভিডিও ধারন করে রাখেন। এ বিষয়গুলো আমি প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানতে পেরে বাংলাদেশে আসি। বাড়ীতে এসে দেখি ৬ তলা বাড়ীর সমস্ত ভাড়াটিয়াদের নামিয়ে দিয়ে বাড়ীটি খালি করে রেখেছেন। প্রতিবেশীরা জানায়, বাড়িটি বিক্রি করার জন্য খালি করা হয়েছে। অথচ এই বাড়িটির অংশীদার আমিও। সাংসদ নজরুল হামিদ বিপুর ইন্ধনে আমাকে বাড়িতে উঠতে দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে আমি প্রশাসনের সহযোগীতায় বাড়িতে উঠি।

তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, আমার বড় ছেলে আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে আসে, আমার সাথে দেখা করার জন্য। আমি আমার ছেলেকে বাড়ির পরিস্থিতি বুঝতে না দেওয়ার জন্য হোটেল সোনারগাঁও এ অবস্থান করি। ৪-৫ দিন পরে আমার ছেলে বাহিরে বাহিরে ঘোরার নাম করে আমার বোন আইরিনের বাসায় যায়। ২ দিন পরে এসে আমার ছেলে আমাকে কিছু ফাইল পত্র দিয়ে বলে এসব কি? পরে ফাইল ঘেটে দেখি আমার বড় ভাইয়ের কন্যা এলিজার কিছু নোংরা ছবি ও বাড়ির দলিল পত্র যা আমার অন্য ২ বোন ১ ভাইকে আমার মা হেবা করেছেন সেই দলিল। প্রশ্ন হলো জমি আমার বাবার নামে, মা হেবা করে কিভাবে? তাছাড়া আমার মা মারা যাওয়ার আগে কাউকে কোন দলিল দেননি বলে আমাকে জানিয়ে গেছেন তাহার রেকডিং আমার কাছে রয়েছে। এই দলিল না দেওয়ার কারণে আমার মাকে অত্যাচার ও নির্যাতন করে এবং পরে আমার মা রহস্যজনক ভাবে মৃত্যুবরণ করে। আমার ছেলেকে আমার কাছে আসতে না দিয়ে আমার সম্পর্কে ভুল ধারণা দিয়ে আটকিয়ে রেখেছে। প্রকাশ থাকে যে, আমার ছোট ছেলে জন্ম সূত্রে আমেরিকার নাগরিক, বেড়ে উঠা ও আমেরিকাতে। এই ধরণের কুবুদ্ধি আমার ছেলে বোজে না, যে যেটা বোঝায় সেটাই বোজে। এই সরলতার সুযোগ নিয়ে আমার বোন আইরিন ও ঐ চক্রটি তাকে ভুল বুঝিয়ে আমার কাছ থেকে সরিয়ে রেখেছে।

তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, আপনাদের প্রশ্ন থাকতে পারে সাংসদ নজরুল হামিদ বিপুর এখানে লাভ কি? প্রথমত সাংসদ নসরুল হামিদ বিপু আমার বোন আইরিনের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িত, এই সম্পর্ক থাকার কারনে আমার বোন আইরিন সাংসদ বিপুকে, যেটা বলে সেটাই মানতে হয়। একদিকে সম্পর্ক ও অন্যদিকে সম্মান হানীর ভয়ে সাংসদ বিপুর কাছে আইরিনের কথাই শেষ কথা! এছাড়াও বিপু রাতে রোমাঞ্চের জন্য আইরনকে দিয়ে তার আইরিনের বাসায় নিত্য নতুন মেয়েকে নিয়ে আনন্দ ফুর্তিতে মেতে উঠেন। দ্বিতীয়ঃ ইতি মধ্যে আমার পৈত্রিক সম্পত্তির কিছু অংশ বিক্রি করে আইরিনকে কিছু টাকা দিয়ে বাকি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সাংসদ বিপু এই টাকা দিয়ে বিভিন্ন স্থানে জমি ক্রয় করেন। তৃতীয়তঃ আইরিনকে দিয়ে সাংসদ বিপু বিভিন্ন দেশ থেকে অবৈধ পথে ডায়মন্ড এনে বাংলাদেশে বিক্রি করে। সিন্ডিকেট এর সদস্য হিসেবে ডেইজি হাসান আইরিনকে ব্যবহার করে বিদ্যুৎ সেক্টরে টেন্ডারবাজি করান বিপু।

এছাড়া উল্লেখ করেন, এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকে। পুলিশ, র‌্যাব দিয়ে আমাকে গুম করার হুমকিও দেয়। আমি তখন সহযোগীতার জন্য আমেরিকান দূতাবাসকে বিষয়গুলো জানাই, তারা আমাকে সেভ এর জন্য আমাকে নিজের নিরাপত্তার জন্য দেহরক্ষী ও বন্দুক রাখতে বলেন। আমি আইনের সহযোগীতার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে ঘুরতে থাকি। পুলিশ কমিশনার, আইজিপি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে যাই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে যাওয়ার পর আমাকে বলে আপনার নামে এতো অভিযোগ কেন? আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিষয়গুলো বলার পরে আমাকে বলেন, আমার কাছে এই বিষয় নিয়ে এতবার ফোন আসলে আমি কি করবো? আপনি আসল জায়গা ঠিক করেন। আসল জায়গা বলতে সাংসদ বিপুর কথা বলেছেন। তখন আমি বলি আমার আইনজীবীকে শাহীন চেয়ারম্যান ফোন করে বার বার এ কথা শোনার পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আমাকে বলে সাংসদ বিপুর চেয়েও বিপদজনক চেয়ারম্যান শাহীন। সে সময় ডিসি বিপ্লব সেখানে উপস্থিত ছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে হাসু আপার কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন, হাসু আপা বলতে প্রধানমন্ত্রীর কথা বলেছেন। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিষয়গুলো অবহিত করি। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী বিষয়গুলো একটি অভিযোগপত্রের মাধ্যমে আইজিকে অবহিত করতে বলেন। আমি এখনো তার বিচার পাই নি।

তিনি বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করতে চাই, আমার জন্য নয়, বাবা হারা দুটি সন্তান যেন তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আজ আপনার সাংসদের জন্য একটি পরিবারের নয় একাধিক মানুষ বিপদগ্রস্থ এবং নিরুপায়। বাবা হারা দুটি সন্তানের মা ছিল আশ্রয়স্থল কিন্তু এই নসরুল হামিদ বিপুর অত্যাচারে সেই মা এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। প্রধানমন্ত্রী আপনি মানবতার মা, আমার বিশ্বাস আপনি কারও দিকে বিবেচনা না করলেও এই দুটি সন্তানের ভবিষ্যৎ এর কথা চিন্তা করে হলেও আপনার এবং দলের সম্মান অক্ষুন্ন রাখতে সাংসদ নসরুল হামিদ বিপুর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন। উপরোক্ত চক্রটির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে আমি যে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি তার ক্ষতিপূরণ ফিরে পেতে, আমার বিরুদ্ধে র‌্যাব, পুলিশ অর্থাৎ সকল মিথ্যা মামলা থেকে অব্যহতি প্রদান ও তার সাথে যারা জড়িত আছেন সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, এবং পারিবারিক জটিলতা থেকে আমাদেরকে মুক্তি দিবেন। আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করি।
বিপুর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদ সচিবসহ পাঁচ জনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন শামীমুন নাহার। সেখানেও তাকে হয়রানি ও হত্যার হুমকির বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী’র বিরুদ্ধে মানবাধিকার নেত্রীর সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ০৯:৫৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৯

সকালের সংবাদ ডেস্ক;  বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাংলাদেশী বংশদ্ভুত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, মানবাধিকার নেত্রী শামীমুন নাহার। বিগত ৯ বছর যাবৎ অমানবিক নির্যাতন, তাকে সরকারি কাজে বাধা, সর্বস্তরে ভুল তথ্য প্রদান এবং প্রশাসনকে অবৈধ ভাবে ব্যবহার করে তার এলাকার সুশীল সমাজের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে ও সাংসদ নসরুল হামিদ বিপুর নেতৃত্বে বিভিন্ন লোক দিয়ে শামীমুন নাহারকে হত্যা ও গুম করার হুমকি দেয়া হয়, তাদের এমন প্রতি দিনের হুমকিতে নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন তিনি। নসরুল হামিদ বিপু’র দ্বারা পারিবারিক অশান্তি ও পৈত্রিক সম্মত্তি দখল করে নেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন।

২৫ এপ্রিল ২০১৯ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সাগর-রুনী মিলনায়তনে হোপ’স ডোর বাংলাদেশ নামক মানবাধিকার সংগঠনের ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, তার প্রয়াত বড় ভাই আরিফুর রশীদের বড় ছেলে শাহরিয়ার নাফিজ ও আরিফুর রশীদের মেয়ে এলিজা। তারাও বিপু’র বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেন। এবং আইরিনের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকার এ নেত্রী বলেন, ২০১০ সালের ৫ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে র‌্যাবের মাধ্যমে ইয়াবা মামলাও দেয়া হয়। এ মামলাটি বিপুর প্ররোচনায় হয়েছে বলে র‌্যাবের সাবেক এডিজি কর্ণেল জিয়াউল আহসান শামীমুন নাহার এর কাছে স্বীকার করেন। পরের বছর ২০১১ সালের ৯ আগস্ট ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। সে সংবাদ সম্মেলনেও বিপুর লোকজন হামলা চালায়।

অভিযোগে আরও বলেন, ২০১২ সালের ১ জুলাই মাসে দ্বিতীয়বার আরো একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানেও বিপুর লোকজন তাকে হত্যার হুমকি ও ভয় দেখায়। এছাড়াও তার থাইরয়েড সমস্যাকে মাদক রিপোর্ট বলে বিপু অপপ্রচার করেছে বলেও এ সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।

শামীমুন নাহারের অভিযোগ, ২০১৫ সালে ৮ ফেব্রুয়ারী বিপুকে একটি লিগ্যাল নোটিশ দেই, বিপু লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার পরে কেরানীগঞ্জের উপজেলা চেয়ারমম্যান শাহীনকে দিয়ে আমাকে ফোন করান। সে ফোনের ভিত্তিতে ২০১৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বনানী ডিওএইচএসে তাকে একটি বাসায় দেখা করতে বলেন। তিনি সেখানে যেতে আপত্তি জানালেও তাকে সে বাড়িতে গিয়ে আলোচনায় বসতে বাধ্য করানো হয়। পরে শামীমুন নাহার কয়েকজন আইনজীবিসহ ১২ জনকে নিয়ে সে বাড়িতে যান। তবে আলোচনায় ধানমন্ডির ৪৮ নং ওয়ার্ড কমিশনার আমজাদ হোসেন মিয়া ও একজন আইনজীবীসহ পাঁচজনকে উপস্থিত থাকতে দেয়া হয়।

এসময় বিপু তাকে হুমকি দেয় বলেও জানান শামীমুন নাহার। তিনি বলেন, ‘বিপু আমাকে পাগল ও চরিত্রহীনা আখ্যায়িত করে আমার মানহানী করে। আলোচনায় বসেও বারবার বিপু হুমকি দিয়েছেন। তিনি আমার চারিত্রিক বিষয় নিয়েও অশালীনভাবে মন্তব্য করেছেন। একইসঙ্গে বলেছেন, এতোদিন যা করেছি, এটা কিছুই না। আপনি যদি আমার নামে মামলা করতে যান, তাহলে আমি আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে দেখে নিবো। এটা আমার বাংলাদেশ, কোথাও বিচার পাবেন না।”
তিনি আরও বলেন, “বিপু তার লোকজন দিয়ে আমাকে আমার বাবার বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে দেন। আমার আইফোন, মার্কিন পাসপোর্ট ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়ে যান।”

সম্প্রতি সে আইফোনে থাকা শামীমুন নাহারের ছবির সঙ্গে অন্য মানুষের ছবি জুড়িয়ে দিয়ে বিভিন্নস্থানে অপপ্রচার করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। শামীমুন নাহার বলেন, “বিপুর নির্দেশে তার লোকজন আমার শারিরীক, মানসিক ও অর্থনৈতিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছেও অভিযোগ জানিয়েছি।”

এদিকে এসব অভিযোগ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানানো হয়। শামীমুন নাহার জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, আমি তো ওনার কাছে চুনোপুটি। এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা, মার্কিন দূতাবাসে অভিযোগ ও এসব বিষয়ে মামলা করার পরামর্শ দেন। পরে শামীমুন নাহার গত ২০১৫ সালের ১৫ মার্চ মার্কিন দূতাবাসে গিয়ে এসব বিষয়ে অভিযোগ জানান।
দূতাবাসও তার নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শামীমুন নাহার বলেন, আমার বাবার সম্পত্তি দখলকে কেন্দ্র করে বাবার মৃত্যুর পর থেকেই আমার পরিবারের লোকজন সহ নসরুল হামিদ বিপুর নেতৃত্বে যারা এসব অন্যায় কাজের সাথে জড়িত এবং যাদের সাথে মামলা মোকদ্দমা চলছে তাদের নামঃ ডেইজি হাসান আইরিন, আশিফুর রশিদ, ইবনুল হাসান, ফুহাদ হোসেন, কবির হোসেন কাজল, (আইরিনের কাজের মেয়ে লাইলি ও তার স্বামী প্রিন্স গোমেজ) এবং অজ্ঞাত আরো অনেকেই রয়েছেন যাদের নাম অজানা। এরা প্রত্যেকেই নসরুল হামিদ বিপুর নেতৃত্বে একেক জনকে একেক ভাবে দায়িত্ব দিয়েছেন যেন আমার পরিবারের মান সম্মান ক্ষুন্ন করেন এবং আমি ও আমার মায়ের উপর বিভিন্ন ভাবে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়। তাদের এসব নির্যাতনে আমার মা অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং গত ০২/০৪/২০১৬ইং তারিখে চিকিৎসাবিহীন মৃত্যুবরন করেন। আমার মায়ের মৃত্যুর খবর পর্যন্ত আমাকে জানানোর প্রয়োজন মনে করেনি তারা। এরপর আমি মারাত্মক ভাবে অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হই। ডাঃ আমাকে বলেন যে আমার অবস্থা বেশী ভালো নয়, দ্রুত দেশের বাহিরে চিকিৎসার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন। তাৎক্ষনিক আমি দেশের বাহিরে অর্থাৎ আমেরিকা চলে যাই। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর ডাঃ আমার কিডনি ক্যান্সার নিশ্চিত করেন এবং অপারেশনের জন্য বলেন। এদিকে আমার বড় ভাই আরিফুর রশিদ তাদের অত্যাচারে দেশের মধ্যে চিকিৎসাবিহীন মারা যায়। তড়িঘড়ি করে আত্মীয় স্বজনকে না জানিয়ে রাতের অন্ধকারে জানাযা না দিয়ে দাফন করা হয়। এক সময় আমার এই বড় ভাইকে দিয়ে এই চক্রটি বিভিন্ন স্থানে যেমন: প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া ও প্রশাসন এর কাছে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতেন। এদিকে ভাই মারা যাওয়ায় তার দুই সন্তান ও স্ত্রীর ওপর শারীরিক এবং মানষিক নির্যাতন করে জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বের করে দেওয়ার আগের দিন রাতে সাংসদ নসরুল হামিদ বিপু আইরিনের সাথে ঐ বাসায় বৈঠকে বসে এবং মদ্যপান ও ইয়াবা সেবন করে আইরিনের সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। এই ঘটনার আগে দুধের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে আমার বড় ভাইয়ের অসুস্থ্য স্ত্রীকে তা পান করিয়ে ভাইয়ের কন্যা এলিজাকে ইয়াবা সেবন করিয়ে বস্ত্রহীন করে বিভিন্ন এঙ্গেলে ছবি ও ভিডিও ধারন করে রাখেন। এ বিষয়গুলো আমি প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানতে পেরে বাংলাদেশে আসি। বাড়ীতে এসে দেখি ৬ তলা বাড়ীর সমস্ত ভাড়াটিয়াদের নামিয়ে দিয়ে বাড়ীটি খালি করে রেখেছেন। প্রতিবেশীরা জানায়, বাড়িটি বিক্রি করার জন্য খালি করা হয়েছে। অথচ এই বাড়িটির অংশীদার আমিও। সাংসদ নজরুল হামিদ বিপুর ইন্ধনে আমাকে বাড়িতে উঠতে দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে আমি প্রশাসনের সহযোগীতায় বাড়িতে উঠি।

তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, আমার বড় ছেলে আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে আসে, আমার সাথে দেখা করার জন্য। আমি আমার ছেলেকে বাড়ির পরিস্থিতি বুঝতে না দেওয়ার জন্য হোটেল সোনারগাঁও এ অবস্থান করি। ৪-৫ দিন পরে আমার ছেলে বাহিরে বাহিরে ঘোরার নাম করে আমার বোন আইরিনের বাসায় যায়। ২ দিন পরে এসে আমার ছেলে আমাকে কিছু ফাইল পত্র দিয়ে বলে এসব কি? পরে ফাইল ঘেটে দেখি আমার বড় ভাইয়ের কন্যা এলিজার কিছু নোংরা ছবি ও বাড়ির দলিল পত্র যা আমার অন্য ২ বোন ১ ভাইকে আমার মা হেবা করেছেন সেই দলিল। প্রশ্ন হলো জমি আমার বাবার নামে, মা হেবা করে কিভাবে? তাছাড়া আমার মা মারা যাওয়ার আগে কাউকে কোন দলিল দেননি বলে আমাকে জানিয়ে গেছেন তাহার রেকডিং আমার কাছে রয়েছে। এই দলিল না দেওয়ার কারণে আমার মাকে অত্যাচার ও নির্যাতন করে এবং পরে আমার মা রহস্যজনক ভাবে মৃত্যুবরণ করে। আমার ছেলেকে আমার কাছে আসতে না দিয়ে আমার সম্পর্কে ভুল ধারণা দিয়ে আটকিয়ে রেখেছে। প্রকাশ থাকে যে, আমার ছোট ছেলে জন্ম সূত্রে আমেরিকার নাগরিক, বেড়ে উঠা ও আমেরিকাতে। এই ধরণের কুবুদ্ধি আমার ছেলে বোজে না, যে যেটা বোঝায় সেটাই বোজে। এই সরলতার সুযোগ নিয়ে আমার বোন আইরিন ও ঐ চক্রটি তাকে ভুল বুঝিয়ে আমার কাছ থেকে সরিয়ে রেখেছে।

তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, আপনাদের প্রশ্ন থাকতে পারে সাংসদ নজরুল হামিদ বিপুর এখানে লাভ কি? প্রথমত সাংসদ নসরুল হামিদ বিপু আমার বোন আইরিনের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িত, এই সম্পর্ক থাকার কারনে আমার বোন আইরিন সাংসদ বিপুকে, যেটা বলে সেটাই মানতে হয়। একদিকে সম্পর্ক ও অন্যদিকে সম্মান হানীর ভয়ে সাংসদ বিপুর কাছে আইরিনের কথাই শেষ কথা! এছাড়াও বিপু রাতে রোমাঞ্চের জন্য আইরনকে দিয়ে তার আইরিনের বাসায় নিত্য নতুন মেয়েকে নিয়ে আনন্দ ফুর্তিতে মেতে উঠেন। দ্বিতীয়ঃ ইতি মধ্যে আমার পৈত্রিক সম্পত্তির কিছু অংশ বিক্রি করে আইরিনকে কিছু টাকা দিয়ে বাকি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সাংসদ বিপু এই টাকা দিয়ে বিভিন্ন স্থানে জমি ক্রয় করেন। তৃতীয়তঃ আইরিনকে দিয়ে সাংসদ বিপু বিভিন্ন দেশ থেকে অবৈধ পথে ডায়মন্ড এনে বাংলাদেশে বিক্রি করে। সিন্ডিকেট এর সদস্য হিসেবে ডেইজি হাসান আইরিনকে ব্যবহার করে বিদ্যুৎ সেক্টরে টেন্ডারবাজি করান বিপু।

এছাড়া উল্লেখ করেন, এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকে। পুলিশ, র‌্যাব দিয়ে আমাকে গুম করার হুমকিও দেয়। আমি তখন সহযোগীতার জন্য আমেরিকান দূতাবাসকে বিষয়গুলো জানাই, তারা আমাকে সেভ এর জন্য আমাকে নিজের নিরাপত্তার জন্য দেহরক্ষী ও বন্দুক রাখতে বলেন। আমি আইনের সহযোগীতার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে ঘুরতে থাকি। পুলিশ কমিশনার, আইজিপি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে যাই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে যাওয়ার পর আমাকে বলে আপনার নামে এতো অভিযোগ কেন? আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিষয়গুলো বলার পরে আমাকে বলেন, আমার কাছে এই বিষয় নিয়ে এতবার ফোন আসলে আমি কি করবো? আপনি আসল জায়গা ঠিক করেন। আসল জায়গা বলতে সাংসদ বিপুর কথা বলেছেন। তখন আমি বলি আমার আইনজীবীকে শাহীন চেয়ারম্যান ফোন করে বার বার এ কথা শোনার পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আমাকে বলে সাংসদ বিপুর চেয়েও বিপদজনক চেয়ারম্যান শাহীন। সে সময় ডিসি বিপ্লব সেখানে উপস্থিত ছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে হাসু আপার কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন, হাসু আপা বলতে প্রধানমন্ত্রীর কথা বলেছেন। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিষয়গুলো অবহিত করি। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী বিষয়গুলো একটি অভিযোগপত্রের মাধ্যমে আইজিকে অবহিত করতে বলেন। আমি এখনো তার বিচার পাই নি।

তিনি বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করতে চাই, আমার জন্য নয়, বাবা হারা দুটি সন্তান যেন তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আজ আপনার সাংসদের জন্য একটি পরিবারের নয় একাধিক মানুষ বিপদগ্রস্থ এবং নিরুপায়। বাবা হারা দুটি সন্তানের মা ছিল আশ্রয়স্থল কিন্তু এই নসরুল হামিদ বিপুর অত্যাচারে সেই মা এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। প্রধানমন্ত্রী আপনি মানবতার মা, আমার বিশ্বাস আপনি কারও দিকে বিবেচনা না করলেও এই দুটি সন্তানের ভবিষ্যৎ এর কথা চিন্তা করে হলেও আপনার এবং দলের সম্মান অক্ষুন্ন রাখতে সাংসদ নসরুল হামিদ বিপুর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন। উপরোক্ত চক্রটির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে আমি যে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি তার ক্ষতিপূরণ ফিরে পেতে, আমার বিরুদ্ধে র‌্যাব, পুলিশ অর্থাৎ সকল মিথ্যা মামলা থেকে অব্যহতি প্রদান ও তার সাথে যারা জড়িত আছেন সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, এবং পারিবারিক জটিলতা থেকে আমাদেরকে মুক্তি দিবেন। আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করি।
বিপুর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদ সচিবসহ পাঁচ জনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন শামীমুন নাহার। সেখানেও তাকে হয়রানি ও হত্যার হুমকির বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে।”