পার্লারের প্রসাধনীর মেয়াদ নেই, মাছে মেশানো হচ্ছে রং

- আপডেট সময় : ১১:১৯:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০১৯ ৪৬ বার পড়া হয়েছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম: নগরের বিভিন্ন স্থানে তদারকিমূলক অভিযানে ভোক্তাদের সঙ্গে নানাভাবে প্রতারণার প্রমাণ পেয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। বিউটি পার্লারের প্রসাধনীর মেয়াদ নেই, সাগরের মাছে মেশানো হচ্ছে ক্ষতিকর রং, আয়োডিনহীন লবণ ব্যবহার, হোটেলের নোংরা পরিবেশসহ অনেক বিষয় উঠে এসেছে অভিযানে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) এসব অপরাধে ৯টি প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় ৭৪ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ধ্বংস করা হয়েছে মেয়াদোত্তীর্ণ প্রসাধনী, কৃত্রিম রং দেওয়া মাছ, বাসি খাবার, আয়োডিনহীন লবণ, ব্যবহৃত কাগজে তৈরি খাবারের প্যাকেট ইত্যাদি।
অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ পরিচালক প্রিয়াংকা দত্ত, সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) বিকাশ চন্দ্র দাস ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এসব অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, বায়েজিদ থানার অক্সিজেন বাজারে রংমিশিয়ে মাছ বিক্রির অপরাধে চৌধুরী কমপ্লেক্স বাজারের খোকনের মাছের দোকানকে ৫ হাজার, রবির মাছের দোকানকে ১০ হাজার, মামুনের মাছের দোকানকে ৫ হাজার, খলিল সওদাগরের মাছের দোকানকে ৫ হাজার এবং কামাল পাশা সওদাগরের মাছের দোকানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ইপিজেড থানাধীন তানিছা বিউটি পারলারকে মেয়াদোত্তীর্ণ ও মেয়াদহীন কসমেটিকস ব্যবহার করায় আড়াই হাজার টাকা, স্মার্ট বিউটি পারলারকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বন্দর থানার ৩ নম্বর জেটি গেট এলাকার হোটেল নূর এ আজমিরকে নোংরা পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন করায় ২০ হাজার টাকা, ভোক্তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ডবলমুরিং থানার বাদামতলী মোড়ের আগ্রাবাদ কুলিং কর্নারকে আয়োডিনহীন খোলা লবণ ও অননুমোদিত সস ব্যবহার করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং প্রায় ৫ লিটার সস ও ১০ কিলোগ্রাম লবণ ধ্বংস করা হয়।