ঢাকা ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ছড়ানো গুজবে সয়লাব Logo সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে Logo জবিতে আজীবন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo শাবিতে হল প্রশাসনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নোটিসে জোর পূর্বক সাইন আদায় Logo এবার সামনে আসছে ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারীদের মারধরের আরো ঘটনা Logo আবাসিক হল ছাড়ছে শাবি শিক্ষার্থীরা Logo নিরাপত্তার স্বার্থে শাবি শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড সাথে রাখার আহবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের Logo জনস্বাস্থ্যের প্রধান সাধুর যত অসাধু কর্ম: দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ! Logo বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখা যুগ্ম পরিচালক আলমগীরের দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য  Logo রাজশাহীতে এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটনকে হয়রানিমূলক মামলায় বএিমইউজরে নিন্দা ও প্রতিবাদ




গাংনীতে পানি ভেবে এসিড পান স্বর্ণশ্রমিকের মৃত্যু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:২৫:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০১৯ ১০২ বার পড়া হয়েছে

প্রতিনিধি, মেহেরপুর; মেহেরপুরের গাংনীতে অ্যাসিড মিশ্রিত পানি পানে এক স্বর্ণশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় পৌর শহরের নাজ জুয়েলার্সে এই ঘটনা ঘটে। দোকানের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় পুরো বিষয়টি রেকর্ড হয়েছে।

মৃত তরুণের নাম অমিত কুমার (১৮)। তাঁর বাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নানবার গ্রামে।

দোকান মালিক, পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, সোনার গয়না পরিষ্কারের ওই অ্যাসিড মিশ্রিত পানি বোতলে রাখা ছিল। অমিত কাজ করা অবস্থায় তা পান করে ফেলেন। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে অন্য দোকানের কর্মচারীরা বিষয়টি টের পান এবং তাঁকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে অমিতকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। এই হাসপাতালে নেওয়ার পথেই অমিতের মৃত্যু হয়।

স্থানীয়রা জানান, সেখানকার বেশির ভাগ স্বর্ণের দোকানে কোমল পানীয় বা বাজারজাত পানির বোতলে অ্যাসিড মিশ্রিত পানি রেখে স্বর্ণশ্রমিকেরা কাজ করেন।

নাজ জুয়েলার্সের মালিক জাহেদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘দোকানের চাবি অমিত কুমারের কাছে থাকত। অমিতই প্রথম দোকান খুলে ঝাড়-মোচ করত। পরে অন্যরা আসে। সম্প্রতি অমিত ভ্রূণ দূর করার জন্য হোমিও ওষুধ খেত।’ সিসি টিভি ফুটেজের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘আজ (বুধবার) অমিত সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দোকান খোলে। এরপর দশটার দিকে ওই হোমিও ওষুধ দোকানে রাখা একটি পানির বোতলের ভেতর ঢেলে পান করেন—মূলত ওই বোতলে অ্যাসিড মিশ্রিত পানি ছিল।’

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্র নাথ সরকার ওই সিসি টিভি ফুটেজ দেখেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘অমিতের পরিবার কোনো আপত্তি না করায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ দিলে তাও খতিয়ে দেখা হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




গাংনীতে পানি ভেবে এসিড পান স্বর্ণশ্রমিকের মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৯:২৫:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০১৯

প্রতিনিধি, মেহেরপুর; মেহেরপুরের গাংনীতে অ্যাসিড মিশ্রিত পানি পানে এক স্বর্ণশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় পৌর শহরের নাজ জুয়েলার্সে এই ঘটনা ঘটে। দোকানের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় পুরো বিষয়টি রেকর্ড হয়েছে।

মৃত তরুণের নাম অমিত কুমার (১৮)। তাঁর বাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নানবার গ্রামে।

দোকান মালিক, পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, সোনার গয়না পরিষ্কারের ওই অ্যাসিড মিশ্রিত পানি বোতলে রাখা ছিল। অমিত কাজ করা অবস্থায় তা পান করে ফেলেন। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে অন্য দোকানের কর্মচারীরা বিষয়টি টের পান এবং তাঁকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে অমিতকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। এই হাসপাতালে নেওয়ার পথেই অমিতের মৃত্যু হয়।

স্থানীয়রা জানান, সেখানকার বেশির ভাগ স্বর্ণের দোকানে কোমল পানীয় বা বাজারজাত পানির বোতলে অ্যাসিড মিশ্রিত পানি রেখে স্বর্ণশ্রমিকেরা কাজ করেন।

নাজ জুয়েলার্সের মালিক জাহেদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘দোকানের চাবি অমিত কুমারের কাছে থাকত। অমিতই প্রথম দোকান খুলে ঝাড়-মোচ করত। পরে অন্যরা আসে। সম্প্রতি অমিত ভ্রূণ দূর করার জন্য হোমিও ওষুধ খেত।’ সিসি টিভি ফুটেজের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘আজ (বুধবার) অমিত সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দোকান খোলে। এরপর দশটার দিকে ওই হোমিও ওষুধ দোকানে রাখা একটি পানির বোতলের ভেতর ঢেলে পান করেন—মূলত ওই বোতলে অ্যাসিড মিশ্রিত পানি ছিল।’

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্র নাথ সরকার ওই সিসি টিভি ফুটেজ দেখেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘অমিতের পরিবার কোনো আপত্তি না করায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ দিলে তাও খতিয়ে দেখা হবে।’