ঢাকা ১০:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সকল দলকে নিয়ে বিএনপির যৌথসভা Logo ১০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে বরিশাল-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী স্বপনের মনোনয়নপত্র দাখিল Logo রাজপথ বিএনপির দখলে না থাকলেও বিটিভি  বিএনপি জামায়াতের দখলে! Logo দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বেস্ট হোল্ডিং Logo অগ্রণী ব্যাংকের ডিজিএম সৈয়দ সালমা উসমানের বেপরোয়া দুর্নীতি! Logo বরিশালের বাকেরগঞ্জে পল্লী চিকিৎসকের ঘরে লুটপাট Logo চাকুরীচ্যুত হওয়ার পরেও বহাল পায়রা বন্দর প্রকৌশলী নাছির: গড়েছে অবৈধ সম্পদের পাহাড়!  Logo ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন এখন করাপশনের ত্রিমুখী জুটি Logo মনোনয়নপ্রত্যাশী ৩৩৬২ জনের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন শেখ হাসিনা Logo থিয়েটার কুবি’র নেতৃত্বে সুইটি-হান্নান




বাংলাদেশে বন্ধ হলো জি নেটওয়ার্কের সম্প্রচার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:০৭:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০১৯ ৭৬ বার পড়া হয়েছে

অবশেষে আজ ২ এপ্রিল মঙ্গলবার ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল জি নেটওয়ার্কের সব চ্যানেলের সম্প্রচার বাংলাদেশে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে টেলিভিশনে জি নেটওয়ার্কের কোন চ্যানেলের সম্প্রচার দেখা যাচ্ছে না। তথ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশক্রমে এই পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)।

এছাড়াও একে একে বাংলাদেশে সম্প্রচার বন্ধ হতে চলেছে সকল ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল। ডাউনলিংকৃত ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলে দেশীয় বিজ্ঞাপন প্রচারের কারণে তথ্য মন্ত্রণালয় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন প্রচারের কারণে বাংলাদেশি টেলিভিশন চ্যানেল ক্ষতির মুখে পড়েছিল। সরকারের এমন সিদ্ধান্তের ফলে টেলিভিশন চ্যানেল ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে বাংলাদেশ ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস এম আনোয়ার পারভেজ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘বর্তমানে জি নেটওয়ার্কের সব চ্যানেল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আরও যেসব চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয় সেসব চ্যানেলও কাল থেকে বন্ধ হয়ে যাবে।’

কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এসব চ্যানেল বন্ধ রাখা হবে কিনা—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোন বাঁধা ধরা সময় নেই। একেবারে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে। আর কখনো বাংলাদেশের মানুষ ভারতীয় চ্যানেল দেখতে পারবে না। এখন শুধু বাংলাদেশি চ্যানেল দেখতে পারবে দেশের মানুষ।’

এমন সিদ্ধান্তের কারণে ক্যাবল নেটওয়ার্কের সাবস্ক্রাইবার কমে যাবে বলেও তিনি মনে করছেন। এভাবে বেশিদিন ব্যবসা টিকিয়ে রাখা নিয়ে তিনি সংশয় প্রকাশ করেছেন।

বাংলাদেশে যেসব বিদেশি টেলিভিশন চ‌্যানেল দেখানো হয় সেগুলোতে দেশি পণ্যের বিজ্ঞাপন বন্ধের দাবি জানিয়ে অনুষ্ঠান নির্মাতা, শিল্পী, বিজ্ঞাপন নির্মাতারা বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন। ভারতীয় চ্যানেল বন্ধের মধ্য দিয়ে তাদের অনেক দিনের দাবি পূরণ হলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বাংলাদেশে বন্ধ হলো জি নেটওয়ার্কের সম্প্রচার

আপডেট সময় : ০৫:০৭:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০১৯

অবশেষে আজ ২ এপ্রিল মঙ্গলবার ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল জি নেটওয়ার্কের সব চ্যানেলের সম্প্রচার বাংলাদেশে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে টেলিভিশনে জি নেটওয়ার্কের কোন চ্যানেলের সম্প্রচার দেখা যাচ্ছে না। তথ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশক্রমে এই পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)।

এছাড়াও একে একে বাংলাদেশে সম্প্রচার বন্ধ হতে চলেছে সকল ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল। ডাউনলিংকৃত ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলে দেশীয় বিজ্ঞাপন প্রচারের কারণে তথ্য মন্ত্রণালয় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন প্রচারের কারণে বাংলাদেশি টেলিভিশন চ্যানেল ক্ষতির মুখে পড়েছিল। সরকারের এমন সিদ্ধান্তের ফলে টেলিভিশন চ্যানেল ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে বাংলাদেশ ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস এম আনোয়ার পারভেজ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘বর্তমানে জি নেটওয়ার্কের সব চ্যানেল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আরও যেসব চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয় সেসব চ্যানেলও কাল থেকে বন্ধ হয়ে যাবে।’

কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এসব চ্যানেল বন্ধ রাখা হবে কিনা—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোন বাঁধা ধরা সময় নেই। একেবারে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে। আর কখনো বাংলাদেশের মানুষ ভারতীয় চ্যানেল দেখতে পারবে না। এখন শুধু বাংলাদেশি চ্যানেল দেখতে পারবে দেশের মানুষ।’

এমন সিদ্ধান্তের কারণে ক্যাবল নেটওয়ার্কের সাবস্ক্রাইবার কমে যাবে বলেও তিনি মনে করছেন। এভাবে বেশিদিন ব্যবসা টিকিয়ে রাখা নিয়ে তিনি সংশয় প্রকাশ করেছেন।

বাংলাদেশে যেসব বিদেশি টেলিভিশন চ‌্যানেল দেখানো হয় সেগুলোতে দেশি পণ্যের বিজ্ঞাপন বন্ধের দাবি জানিয়ে অনুষ্ঠান নির্মাতা, শিল্পী, বিজ্ঞাপন নির্মাতারা বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন। ভারতীয় চ্যানেল বন্ধের মধ্য দিয়ে তাদের অনেক দিনের দাবি পূরণ হলো।