গণপূর্তে কায়কোবাদ-তামজীদ সিন্ডিকেট: দুর্নীতির অভিযোগে আলোচনায় দুই প্রকৌশলী

- আপডেট সময় : ০২:৪০:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৫৩৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ কায়কোবাদ ও নির্বাহী প্রকৌশলী তামজীদ হোসেনকে ঘিরে তৈরি হয়েছে একটি শক্তিশালী দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের অভিযোগ। তাদের বিরুদ্ধে ভূয়া বিল তৈরি, নিজস্ব ঠিকাদারদের দিয়ে কাজ আদায়, বহিরাগত লোক দিয়ে অফিস পরিচালনা, অঢেল সম্পদ অর্জনসহ নানা অনিয়মের তথ্য সামনে এসেছে।
বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের শেষ সময়ে তামজীদ হোসেন চট্টগ্রামে কর্মরত ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে অর্থায়ন ও উসকানির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। সরকার পতনের পর চট্টগ্রামে অবস্থান অনিশ্চিত হয়ে পড়লে বিপুল অর্থ ব্যয়ে তদবির করে ঢাকায় বদলি হন। এ বদলির পেছনে কায়কোবাদের সরাসরি ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
চট্টগ্রামে কায়কোবাদের অধীনে কাজ করার সময় তামজীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তাকে ঢাকায় এনে একই সার্কেলে বসান কায়কোবাদ। শুধু তাই নয়, তামজীদ তার আস্থাভাজন কয়েকজন ঠিকাদারকেও সঙ্গে নিয়ে আসেন এবং ঢাকায় নতুন করে একটি দুর্নীতিবাজ বলয় গড়ে তোলেন। বিশেষ করে চট্টগ্রাম থেকে আনা মিঠুন নামের এক সহযোগীকে অফিসে রুম বরাদ্দ দিয়ে বসান, যা বিদ্যমান আইন ভঙ্গ করে।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ই/এম বিভাগ-৫ এর ১০ জন কর্মচারী লিখিত অভিযোগ দেন। তারা অফিস থেকে মিঠুনকে সরানোর দাবি জানান। কিন্তু উল্টো অভিযোগকারীদের হয়রানি ও বদলির হুমকি দেওয়া হয় বলে কর্মচারীদের অভিযোগ।
তামজীদ হোসেন ২০১৩ সালে আওয়ামী রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় গণপূর্তে যোগ দেন। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করলেও চাকরির শুরু থেকেই রাজনৈতিক আশ্রয়ে সুবিধা নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রায় এক যুগের চাকরি জীবনে প্লট, ফ্ল্যাট, গাড়িসহ বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন, যা জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।
দুর্নীতি দমন কমিশনের মাধ্যমে তার ও পরিবারের সদস্যদের নামে অর্জিত সম্পদের অনুসন্ধান করলে অনিয়মের প্রমাণ মিলবে বলে দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট মহল।
এই বিষয়ে জানতে তামজীদ হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।