ঢাকা ০৩:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সকল দলকে নিয়ে বিএনপির যৌথসভা Logo ১০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে বরিশাল-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী স্বপনের মনোনয়নপত্র দাখিল Logo রাজপথ বিএনপির দখলে না থাকলেও বিটিভি  বিএনপি জামায়াতের দখলে! Logo দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বেস্ট হোল্ডিং Logo অগ্রণী ব্যাংকের ডিজিএম সৈয়দ সালমা উসমানের বেপরোয়া দুর্নীতি! Logo বরিশালের বাকেরগঞ্জে পল্লী চিকিৎসকের ঘরে লুটপাট Logo চাকুরীচ্যুত হওয়ার পরেও বহাল পায়রা বন্দর প্রকৌশলী নাছির: গড়েছে অবৈধ সম্পদের পাহাড়!  Logo ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন এখন করাপশনের ত্রিমুখী জুটি Logo মনোনয়নপ্রত্যাশী ৩৩৬২ জনের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন শেখ হাসিনা Logo থিয়েটার কুবি’র নেতৃত্বে সুইটি-হান্নান




অবশেষে শিক্ষার্থীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেন ববি ভিসি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪৪:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০১৯ ১০৪ বার পড়া হয়েছে

বরিশাল ব্যুরো; অবশেষে নিজের বক্তব্য থেকে সরে আসলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য প্রফেসর ড. ইমামুল হক। শুক্রবার রাত ১০টায় ইমেইল বার্তায় জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ রুমি সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে উপাচার্য দুঃখ প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে উপাচার্যের বরাত দিয়ে উল্লেখ করা হয়, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমার প্রদত্ত বক্তব্যের একটি বাক্যকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে কিছু ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। আমি এ বিষয়ে দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে রাজাকার সম্বোধন করিনি বরং যারা মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠানে বাধা সৃষ্টি করতে চায়, তাদের এহেন কার্যক্রম রাজাকার সদৃশ বলে মন্তব্য করেছি।

উক্ত শব্দটি আমি কোনোভাবেই আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে উদ্দেশ্য করে বলিনি। এরপরেও যদি আমার উক্ত বক্তব্যে কোনো শিক্ষার্থী মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে থাকে, তবে তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে চলমান রাখার স্বার্থে আমি সব শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা কামনা করছি।

প্রসঙ্গত, ওদিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য ড. এস এম ইমামুল হকের পদত্যাগের দাবিতে তার কুশপুত্তলিকা দাহ করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষকরা। ববি বন্ধের একদিন পরেও আন্দোলন চালিয়ে যান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। একই প্রতিবাদে তারা মশাল মিছিল করেছেন।

তারা তাদের দাবি আদায়ের আন্দোলনের চতুর্থ দিনে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে মশাল মিছিল বের করেন। পরে তারা মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে কিছুক্ষণ অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।

এরপরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। এ সময় তারা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্নি শ্লোগান দিতে থাকেন। এর আগে বিকাল ৪টা থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




অবশেষে শিক্ষার্থীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেন ববি ভিসি

আপডেট সময় : ১১:৪৪:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০১৯

বরিশাল ব্যুরো; অবশেষে নিজের বক্তব্য থেকে সরে আসলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য প্রফেসর ড. ইমামুল হক। শুক্রবার রাত ১০টায় ইমেইল বার্তায় জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ রুমি সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে উপাচার্য দুঃখ প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে উপাচার্যের বরাত দিয়ে উল্লেখ করা হয়, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমার প্রদত্ত বক্তব্যের একটি বাক্যকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে কিছু ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। আমি এ বিষয়ে দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে রাজাকার সম্বোধন করিনি বরং যারা মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠানে বাধা সৃষ্টি করতে চায়, তাদের এহেন কার্যক্রম রাজাকার সদৃশ বলে মন্তব্য করেছি।

উক্ত শব্দটি আমি কোনোভাবেই আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে উদ্দেশ্য করে বলিনি। এরপরেও যদি আমার উক্ত বক্তব্যে কোনো শিক্ষার্থী মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে থাকে, তবে তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে চলমান রাখার স্বার্থে আমি সব শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা কামনা করছি।

প্রসঙ্গত, ওদিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য ড. এস এম ইমামুল হকের পদত্যাগের দাবিতে তার কুশপুত্তলিকা দাহ করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষকরা। ববি বন্ধের একদিন পরেও আন্দোলন চালিয়ে যান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। একই প্রতিবাদে তারা মশাল মিছিল করেছেন।

তারা তাদের দাবি আদায়ের আন্দোলনের চতুর্থ দিনে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে মশাল মিছিল বের করেন। পরে তারা মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে কিছুক্ষণ অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।

এরপরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। এ সময় তারা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্নি শ্লোগান দিতে থাকেন। এর আগে বিকাল ৪টা থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।