ঢাকা ০৭:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




ধর্ষণের পর বিষ খাইয়ে মুনিয়াকে হত্যা চেষ্টা থানায় অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ০৯:১৮:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২ ২১৫ বার পড়া হয়েছে

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর কোল্ড ড্রিংসের সাথে বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে মুনিয়াকে। মুনিয়ার সাথে দির্ঘদিন যাবত প্রেমের সম্পর্ক ছিল মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগরের মামুন কাজীর ছেলে সাদ্দাম কাজীর সাথে। বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে মুনিয়ার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে আসছিল সাদাম। গত ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জের চুনকুটায় সাদ্দাম তার নিজ বাসায় মুনিয়াকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে।

ধর্ষনের ঘটনাটি জানাজানি হওয়ায় ওইদিনই সাদ্দামের স্ত্রী পিয়াঙ্কা ও তার সাথে অজ্ঞাত আরও ৩জন মুনিয়াকে এলোপাথারীভাবে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত নিলা ফুলা জখম করে। এরপর মুনিয়াকে হত্যার ভয় দেখিয়ে কয়েকটি নন-জুডিশিয়াল ষ্টাম্পে ও সাদা কাগজে জোরপূর্বক স্বাক্ষর ও টিপসহি নেয়।
এক পর্যায়ে সাদ্দাম সিন্ডিকেটের সকলে মিলে কোল্ড ড্রিংসের মধ্যে বিষ মিশিয়ে মুনিয়াকে জোরপূর্বক খাইয়ে দেয়। মুনিয়া গুরুতর আহত হলে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকার কদমতলী বাস ষ্টানে ফেলে পালিয়ে যায়।
এরপর মুনিয়ার আত্বীয় স্বজন খবর পেয়ে মুনিয়াকে উদ্ধার করে নিয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া চিকিৎসা করায়।
মুনিয়া জানায়, এই ধারাবাহিক ধর্ষণের সহযোগিতা করে আসছিলো কুমিল্লা দুর্গাপুর গ্রামের লালু মিয়ার ছেলে কামাল, নারায়ণগঞ্জের জালাল উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সাত্তার, কেরানীগঞ্জের ফারুক, রাকিব ও ইসমাইল।
মুনিয়া তার লিখিত অভিযোগে জানায়, ২৬ নভেম্বরের আগে সাদ্দাম তার সাথে একাধিকবার জোরপুর্বক অনৈতিক কাজ করায় তিনি অন্তসত্ত্বা হয়ে পরেন। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য গত ৩০জুলাই সাদ্দাম মুনিয়াকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে অবৈধভাবে গর্ভপাত করায়।
এবিষয়ে মুনিয়া নিজে বাদি হয়ে বিকেলে ঢাকার দক্ষিণ কেরানিগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মুনিয়া জানায়, বর্তমানে সাদ্দাম সিন্ডিকেট তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার উদ্দেসে খুঁজে বেড়াচ্ছে। তিনি ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহিনতায় ভুগছেন।
এ বিষয়ে কেরানিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে একাধিকবার ফোনকলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ধর্ষণের পর বিষ খাইয়ে মুনিয়াকে হত্যা চেষ্টা থানায় অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৯:১৮:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর কোল্ড ড্রিংসের সাথে বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে মুনিয়াকে। মুনিয়ার সাথে দির্ঘদিন যাবত প্রেমের সম্পর্ক ছিল মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগরের মামুন কাজীর ছেলে সাদ্দাম কাজীর সাথে। বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে মুনিয়ার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে আসছিল সাদাম। গত ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জের চুনকুটায় সাদ্দাম তার নিজ বাসায় মুনিয়াকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে।

ধর্ষনের ঘটনাটি জানাজানি হওয়ায় ওইদিনই সাদ্দামের স্ত্রী পিয়াঙ্কা ও তার সাথে অজ্ঞাত আরও ৩জন মুনিয়াকে এলোপাথারীভাবে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত নিলা ফুলা জখম করে। এরপর মুনিয়াকে হত্যার ভয় দেখিয়ে কয়েকটি নন-জুডিশিয়াল ষ্টাম্পে ও সাদা কাগজে জোরপূর্বক স্বাক্ষর ও টিপসহি নেয়।
এক পর্যায়ে সাদ্দাম সিন্ডিকেটের সকলে মিলে কোল্ড ড্রিংসের মধ্যে বিষ মিশিয়ে মুনিয়াকে জোরপূর্বক খাইয়ে দেয়। মুনিয়া গুরুতর আহত হলে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকার কদমতলী বাস ষ্টানে ফেলে পালিয়ে যায়।
এরপর মুনিয়ার আত্বীয় স্বজন খবর পেয়ে মুনিয়াকে উদ্ধার করে নিয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া চিকিৎসা করায়।
মুনিয়া জানায়, এই ধারাবাহিক ধর্ষণের সহযোগিতা করে আসছিলো কুমিল্লা দুর্গাপুর গ্রামের লালু মিয়ার ছেলে কামাল, নারায়ণগঞ্জের জালাল উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সাত্তার, কেরানীগঞ্জের ফারুক, রাকিব ও ইসমাইল।
মুনিয়া তার লিখিত অভিযোগে জানায়, ২৬ নভেম্বরের আগে সাদ্দাম তার সাথে একাধিকবার জোরপুর্বক অনৈতিক কাজ করায় তিনি অন্তসত্ত্বা হয়ে পরেন। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য গত ৩০জুলাই সাদ্দাম মুনিয়াকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে অবৈধভাবে গর্ভপাত করায়।
এবিষয়ে মুনিয়া নিজে বাদি হয়ে বিকেলে ঢাকার দক্ষিণ কেরানিগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মুনিয়া জানায়, বর্তমানে সাদ্দাম সিন্ডিকেট তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার উদ্দেসে খুঁজে বেড়াচ্ছে। তিনি ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহিনতায় ভুগছেন।
এ বিষয়ে কেরানিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে একাধিকবার ফোনকলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।