ঢাকা ০৮:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ




বালু দস্যুর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিক শামীমকে দেখে নেওয়ার হুমকি!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:০৫:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৫৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার কলমাকান্দায় অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলনের সংবাদ প্রকাশ করায় প্রতিদিনের সংবাদের সহসম্পাদক ও স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল কলমাকান্দা.কমের সম্পাদক এসএম শামীমকে হুমকি দিয়েছে কলমাকান্দা উপজেলা যুবলীগ নেতা সুজন বিশ্বাস।

শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় এসএম শামীমের মোবাইলে ফোন করেন সুজন বিশ্বাস। এ সময় তাদের মধ্যে কথা হয় মাত্র ৩০ সেকেন্ড। আর এ সময় সুজন বিশ্বাস অকথ্য ভাষায় কথা বলাসহ এসএম শামীমকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।

উল্লেখ্য, নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ‘ওমরগাঁও, হাসানোয়াগাঁও এবং বিশাউতি বালুমহাল’ ইজারা নিয়ে উত্তোলন করা হচ্ছে কোটি টাকার পাথর। উপজেলার সীমান্তবর্তী মহাদেও নদীতে প্রায় ১০০ ড্রেজার বসিয়ে দিনরাত চলছে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলনের কাজ। শুধু তাই নয় এসব বালু ও পাথর বহনকারী শত শত লরি আর হ্যান্ড টলির অবাধ চলাচলে ধ্বংস হচ্ছে কলমাকান্দা-বরুয়াকোনা ও কলমাকান্দা-পাঁচগাঁও সড়ক।

সম্প্রতি এ বিষয়ে অনুসন্ধানী ধারাবাহিক ও বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করছে স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল কলমাকান্দা.কম। আর এসব প্রতিবেদন প্রকাশের শুরু থেকেই কলমাকান্দা উপজেলা যুবলীগ সম্পাদক পলাশ বিশ্বাস, যুবলীগ নেতা সুজন বিশ্বাস এসএম শামীমকে ফোন করে স্থানীয় এমপি মানু মজুমদারের নাম ভাঙিয়ে হুমকি অব্যাহত রেখেছেন।

এ বিষয়ে এসএম শামীম জানান, কলমাকান্দা.কমে বালু মহালবিষয়ক সংবাদ প্রকাশের পর থেকে দলের ও স্থানীয় এমপির নাম ভাঙিয়ে পলাশ বিশ্বাস, সুজন বিশ্বাসসহ আরো অনেকে মোবাইলে ফোন দিয়ে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, কলমাকান্দায় বালু ও পাথরখেকোরা বেপরোয়া হয়ে গেছে। এলাকার প্রাকৃতিক সম্পদ লুটপাট, মানুষের চলাচলের রাস্তা ধ্বংস করছে। এ ছাড়াও সরকারের লাখ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে বালু ও পাথরখেকোরা।

এসএম শামীম আরো বলেন, শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোবাইল ফোনে বহুবার হুমকি আসায় বর্তমানে আমিসহ আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় আছি। বালু ও পাথরখেকোরা যেকোনো সময় আমি বা আমার পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি করতে পারে। আর তাই হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। আশা করি, সত্য প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোগিতা পাব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বালু দস্যুর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিক শামীমকে দেখে নেওয়ার হুমকি!

আপডেট সময় : ০৭:০৫:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার কলমাকান্দায় অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলনের সংবাদ প্রকাশ করায় প্রতিদিনের সংবাদের সহসম্পাদক ও স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল কলমাকান্দা.কমের সম্পাদক এসএম শামীমকে হুমকি দিয়েছে কলমাকান্দা উপজেলা যুবলীগ নেতা সুজন বিশ্বাস।

শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় এসএম শামীমের মোবাইলে ফোন করেন সুজন বিশ্বাস। এ সময় তাদের মধ্যে কথা হয় মাত্র ৩০ সেকেন্ড। আর এ সময় সুজন বিশ্বাস অকথ্য ভাষায় কথা বলাসহ এসএম শামীমকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।

উল্লেখ্য, নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ‘ওমরগাঁও, হাসানোয়াগাঁও এবং বিশাউতি বালুমহাল’ ইজারা নিয়ে উত্তোলন করা হচ্ছে কোটি টাকার পাথর। উপজেলার সীমান্তবর্তী মহাদেও নদীতে প্রায় ১০০ ড্রেজার বসিয়ে দিনরাত চলছে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলনের কাজ। শুধু তাই নয় এসব বালু ও পাথর বহনকারী শত শত লরি আর হ্যান্ড টলির অবাধ চলাচলে ধ্বংস হচ্ছে কলমাকান্দা-বরুয়াকোনা ও কলমাকান্দা-পাঁচগাঁও সড়ক।

সম্প্রতি এ বিষয়ে অনুসন্ধানী ধারাবাহিক ও বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করছে স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল কলমাকান্দা.কম। আর এসব প্রতিবেদন প্রকাশের শুরু থেকেই কলমাকান্দা উপজেলা যুবলীগ সম্পাদক পলাশ বিশ্বাস, যুবলীগ নেতা সুজন বিশ্বাস এসএম শামীমকে ফোন করে স্থানীয় এমপি মানু মজুমদারের নাম ভাঙিয়ে হুমকি অব্যাহত রেখেছেন।

এ বিষয়ে এসএম শামীম জানান, কলমাকান্দা.কমে বালু মহালবিষয়ক সংবাদ প্রকাশের পর থেকে দলের ও স্থানীয় এমপির নাম ভাঙিয়ে পলাশ বিশ্বাস, সুজন বিশ্বাসসহ আরো অনেকে মোবাইলে ফোন দিয়ে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, কলমাকান্দায় বালু ও পাথরখেকোরা বেপরোয়া হয়ে গেছে। এলাকার প্রাকৃতিক সম্পদ লুটপাট, মানুষের চলাচলের রাস্তা ধ্বংস করছে। এ ছাড়াও সরকারের লাখ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে বালু ও পাথরখেকোরা।

এসএম শামীম আরো বলেন, শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোবাইল ফোনে বহুবার হুমকি আসায় বর্তমানে আমিসহ আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় আছি। বালু ও পাথরখেকোরা যেকোনো সময় আমি বা আমার পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি করতে পারে। আর তাই হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। আশা করি, সত্য প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোগিতা পাব।