অপকর্মের সংবাদ প্রকাশের পর সাংবাদিক জিয়ার বিরুদ্ধে বালুদস্যু নকীবের সাজানো মামলা, হত্যার হুমকি!

- আপডেট সময় : ১০:২৪:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ অগাস্ট ২০২১ ২৭০ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার: ভোলার মেঘনা নদীর বহুল আলোচিত সেই বালুদস্যুখ্যাত,জেলা সদরের সন্ত্রাসকর্মের গডফাদার জহুরুল ইসলাম নকীব এবার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে।ক্ষুদ্ধ নকীব তার ও নিজের বাহিনীর বিরুদ্ধের সংবাদ প্রকাশ বন্ধ করতে না পেরে দুই সাংবাদিকের নামে মিথ্যে মামলা ঠুকে দিয়েছেন। তথ্যমতে, তার দূর্ণীতি,দস্যুপনা আর সিরিজ ক্রাইম নিয়ে জাতীয় গণমাধ্যম তদন্তচিত্রসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় ফলাও করে সংবাদ প্রকাশ হয়। সাথে সাথে গণমাধ্যমগুলো নকীবের আপন ভাতিজা আনোয়ার হোসেন শামীম মোরাদার সম্পর্কেও লুটপাট আর জুলুমবাজীর বাস্তব চিত্র তুলে ধরেন । ওইসব সংবাদে নকীব-শামীমের কুকর্মের থলের বিড়াল বেরিয়ে পড়ায় মারাত্নকভাবে ক্ষেপে যান নকীব। আর যেনো সংবাদ ছাঁপা না হয় সেজন্য তিনি নিজেকে রক্ষা করতে বিভিন্নভাবে সাংবাদিকদের দাঁড়স্থ্য হন। কিন্তু কোথাও কোনপ্রকার আশ্বাস না পেয়ে তিনি সাংবাদিক জিয়াউর রহমানকে শায়েস্তা করার হুমকি দেন। এঘটনার পর জিয়াউর রহমান গত ১৬ আগষ্ট নিজের নিরাপত্তা চেয়ে ঢাকার ধানমন্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এতে ক্ষিপ্ত নকীব ১৮ আগষ্ট সাংবাদিক জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজীর মামলা করেন। ভোলার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ মামলাটি করেন। ওই আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোহাম্মদ সানাউল হক বালুদস্যু নকীবের দায়েরকৃত পিটিশনটি তদন্তের দায়িত্ব দেন জেলার সিআইডিকে। আদালতে দায়েরকৃত অভিযোগটিতে জিয়াউর রহমান ছাড়াও তার তদন্ত চিত্র পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক হুমায়ুন কবিরকেও আসামী করা হয়েছে। এদিকে মিথ্যে মামলা দায়েরের পর নকীব-শামীমের ক্যাডাররা সাংবাদিক জিয়াউর রহমানের গ্রামের বাড়ী ভোলার ভেদুরিয়া এলাকায় গিয়ে তার অসুস্থ্য বৃদ্ধ বাবা-মা,ভাই-বোন ও স্ত্রীকে হুমকি দিচ্ছে। নকীব-শামীমের বিরুদ্ধে আার একটি সংবাদ প্রকাশ হলে সাংবাদিক জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হবে বলে এমন হুমকি দেয় দূর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাতে বালুদস্যু নকীব-শামীমের স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীদের তান্ডবলীলার পর সাংবাদিক জিয়াউর রহমানের পরিবারের সদস্যরা আতঙ্ক, উদ্বেগ আর উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছে। তারা তাদের জীবন রক্ষার্থে ভোলার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।