ঢাকা ০৭:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




মসজিদে ঢুকে ৩ বৃদ্ধকে বেদম পেটালেন যুবলীগ নেতা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১৪:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অগাস্ট ২০২১ ৮০ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা:

মসজিদে ঢুকে ৩ বৃদ্ধকে পেটালেন যুবলীগ নেতা
অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুরে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে মসজিদে ঢুকে তিন বৃদ্ধকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। সোমবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় পদ্মপুকুর ইউনিয়রে পাতাখালী মোল্লাপাড়া জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজ চলাকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত যুবলীগ নেতার নাম মিজানুর রহমান। তিনি পদ্মপুকুর ইউনিয়ন যুবলীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি।

আহতরা হলেন- পাতাখালী গ্রামের এসএম আব্দুস সাত্তার (৬৭), মোসলেম মোল্লা (৬০) ও সাবুদ আলী (৬০)।

আহত এসএম আব্দুস সাত্তারের ছেলে মাসুম বিল্লাহ জানান, প্রতিবেশী আবুল কাশেমের সঙ্গে তাদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে আসরের নামাজের পর তার বাবা এসএম আব্দুস সাত্তার ও আবুল কাশেম বাগবিতণ্ডায় লিপ্ত হন। এর জের ধরে মাগরিবের ওয়াক্তে মসজিদে নামাজরত অবস্থায় স্থানীয় যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান, তার বাবা আবুল কাশেম ও ছোট ভাই জালাল উদ্দিন সংঘবদ্ধ হয়ে এসএম আব্দুস সাত্তারকে মারধর করেন। এ সময় বাধা দিতে গেলে তারা প্রতিবেশী মোসলেম মোল্লা ও সাবুদ আলীকেও বেদম মারপিট করেন। এতে তারা রক্তাক্ত জখম হন। তাদের তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।

পদ্মপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ছিলেন আব্দুস সাত্তার। ফরজ শেষে সুন্নাত নামাজ পড়াকালে মিজানুর রহমান মসজিদে গিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। এতে তার মাথা ফেটে যায়। ঠেকাতে গেলে মোসলেম মোল্লা ও সাবুদ আলীকেও মারপিট করে। মিজানুর রহমান ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। সে এলাকায় চাঁদাবাজ ও উচ্ছৃঙ্খল যুবক হিসেবে পরিচিত।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান বলেন, প্রথমে তারা আমার আব্বা আবুল কাশেমের সঙ্গে ঝগড়া করে ও তাকে মারপিট করে রাস্তায় ফেলে রাখে। ঘটনাটি জানার পর আমি সেখানে গেলে আমার সঙ্গেও তর্ক করে। মসজিদের ভেতরে কোনো মারামারি হয়নি। মসজিদের সামনে তর্ক হয়েছে।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ বলেন, ঘটনাটি থানায় কেউ জানায়নি। খোঁজখবর নিচ্ছি। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মসজিদে ঢুকে ৩ বৃদ্ধকে বেদম পেটালেন যুবলীগ নেতা

আপডেট সময় : ১০:১৪:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অগাস্ট ২০২১

জেলা প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা:

মসজিদে ঢুকে ৩ বৃদ্ধকে পেটালেন যুবলীগ নেতা
অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুরে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে মসজিদে ঢুকে তিন বৃদ্ধকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। সোমবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় পদ্মপুকুর ইউনিয়রে পাতাখালী মোল্লাপাড়া জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজ চলাকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত যুবলীগ নেতার নাম মিজানুর রহমান। তিনি পদ্মপুকুর ইউনিয়ন যুবলীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি।

আহতরা হলেন- পাতাখালী গ্রামের এসএম আব্দুস সাত্তার (৬৭), মোসলেম মোল্লা (৬০) ও সাবুদ আলী (৬০)।

আহত এসএম আব্দুস সাত্তারের ছেলে মাসুম বিল্লাহ জানান, প্রতিবেশী আবুল কাশেমের সঙ্গে তাদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে আসরের নামাজের পর তার বাবা এসএম আব্দুস সাত্তার ও আবুল কাশেম বাগবিতণ্ডায় লিপ্ত হন। এর জের ধরে মাগরিবের ওয়াক্তে মসজিদে নামাজরত অবস্থায় স্থানীয় যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান, তার বাবা আবুল কাশেম ও ছোট ভাই জালাল উদ্দিন সংঘবদ্ধ হয়ে এসএম আব্দুস সাত্তারকে মারধর করেন। এ সময় বাধা দিতে গেলে তারা প্রতিবেশী মোসলেম মোল্লা ও সাবুদ আলীকেও বেদম মারপিট করেন। এতে তারা রক্তাক্ত জখম হন। তাদের তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।

পদ্মপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ছিলেন আব্দুস সাত্তার। ফরজ শেষে সুন্নাত নামাজ পড়াকালে মিজানুর রহমান মসজিদে গিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। এতে তার মাথা ফেটে যায়। ঠেকাতে গেলে মোসলেম মোল্লা ও সাবুদ আলীকেও মারপিট করে। মিজানুর রহমান ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। সে এলাকায় চাঁদাবাজ ও উচ্ছৃঙ্খল যুবক হিসেবে পরিচিত।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান বলেন, প্রথমে তারা আমার আব্বা আবুল কাশেমের সঙ্গে ঝগড়া করে ও তাকে মারপিট করে রাস্তায় ফেলে রাখে। ঘটনাটি জানার পর আমি সেখানে গেলে আমার সঙ্গেও তর্ক করে। মসজিদের ভেতরে কোনো মারামারি হয়নি। মসজিদের সামনে তর্ক হয়েছে।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ বলেন, ঘটনাটি থানায় কেউ জানায়নি। খোঁজখবর নিচ্ছি। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।