ঢাকা ১০:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ছড়ানো গুজবে সয়লাব Logo সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে Logo জবিতে আজীবন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo শাবিতে হল প্রশাসনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নোটিসে জোর পূর্বক সাইন আদায় Logo এবার সামনে আসছে ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারীদের মারধরের আরো ঘটনা Logo আবাসিক হল ছাড়ছে শাবি শিক্ষার্থীরা Logo নিরাপত্তার স্বার্থে শাবি শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড সাথে রাখার আহবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের Logo জনস্বাস্থ্যের প্রধান সাধুর যত অসাধু কর্ম: দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ! Logo বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখা যুগ্ম পরিচালক আলমগীরের দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য  Logo রাজশাহীতে এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটনকে হয়রানিমূলক মামলায় বএিমইউজরে নিন্দা ও প্রতিবাদ




নারায়ণগঞ্জ সরকারি পাঠাগারকে কাউন্সিলর ভবন নামকরন: এলাকাবাসীর ক্ষোভ 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৯:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই ২০২১ ১৩০ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:

জ্ঞানের ইচ্ছা মানুষের একটি আদিম আকাঙ্খা। আর পাঠাগার কিংবা গ্রন্থাগার গড়ে ওঠার মূলে মানুষের এই আকাঙ্খা অন্যতম ভূমিকা পালন করে। শিক্ষার্থীদের মুক্ত বুদ্ধি চর্চার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে পাঠাগার। স্বাধীনতার যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে স্থাপিত বাংলাদেশের প্রথম জনকল্যান সমিতি ও সাধারণ পাঠাগারের নাম চিহৃ বিলীন করে জে. কে এন্টারপ্রাইজ নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে টেন্ডার পাশ করিয়ে কাউন্সিলর ভবন নির্মাণ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। গত শনিবার ১৭ জুলাই বন্দর শাহীমসজিদ জনকল্যান সমিতি ও সাধারন পাঠাগারের নামফলক সম্বলিত প্রধান ফটকের উপর কাউন্সিলর ভবন নামক একটি ব্যানার সাটানো হয়। নাসিক ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তথা নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকারের নেতৃত্বে জনকল্যান সমিতি ও সাধারন পাঠাগারের নামফলক ঢেকে দিয়ে কাউন্সিলর ভবন নির্মান লেখা সম্বলিত ব্যানারটি উন্মেচন করেন তিনি।

 

বন্দরের স্থানীয় সচেতন ব্যাক্তিরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান,স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের মধ্যে বন্দরের শাহীমসজিদ এলাকায় এই জনকল্যান সমিতি ও সাধারন পাঠাগারটি প্রথম উদ্বোধণ হয়। দেশের অনেক বরেন্য জ্ঞানীগুনি ব্যাক্তিরা এখানে মুক্ত বুদ্ধি চর্চা করতে এই পাঠাগারে বিচরন করে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধের অনেক দলিলগ্রন্থ এখানে রক্ষিত আছে। চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে অনেক মুক্তিযুদ্ধের গ্রন্থ লোপাট হয়ে যায়। কিন্তু বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন আওতাধীণ হওয়ায় ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা হান্নান সরকার তৎকালীন কমিটি ভেঙ্গে নতুন কমিটি তৈরী করে এবং সে নিজেই ওই কমিটির সভাপতি হয়। পাঠাগারের গ্রন্থাগার থেকে সাহিত্যিক রইস উদ্দিন মুকুলকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। এখন আবার নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে জনকল্যান সমিতি ও সাধারন পাঠাগারের নাম মুছে ৭তলা বিশিষ্ট কাউন্সিলর ভবন নির্মানের জন্য একটা টেন্ডার পাশ করানো হয়। পরে কাউন্সিলর হান্নান সরকার জনকল্যান সমিতি ও সাধারন পাঠাগারের নামের উপর দিয়ে কাউন্সিলর ভবন নির্মানের ব্যানার সাটিয়ে দেয়। আমরা সিটিকর্পোরেশনের এমন স্বেচ্ছচারী সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি মেয়র মহোদয়কে উদ্দেশ্য করে বলতে চাই প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ণকে আমরা হাজার বার সমর্থণ করি তাই বলে মুক্তিযুদ্ধের পর শতশত সাহিত্য প্রেমীদের একমাত্র সাহিত্য চর্চা প্রতিষ্ঠান সাধারন পাঠাগারের নামকরন কবর রচনা করে কাউন্সিলর ভবন নামকরন করতে দিবনা। অনতিবিলম্বে নাম পরিবর্তণ করে জনকল্যান ও সাধারন পাঠাগারের নামে করার জন্য মাননীয় মেয়রের কাছে অনুরোধ রইল।

 

তথ্যসুত্রে জানা যায়,নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ড আওতাধীণ শাহীমসজিদ এলাকায় অবস্থিত জনকল্যান সমিতি ও সাধারন পাঠাগার। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের এই প্রথম পাঠাগারটি প্রথম উদ্বোধণ হয়। তৎকালীন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার খানে আলম খান এই পাঠাগারটি উদ্বোধণ করেন। স্বাধীনতার পরে সর্বপ্রথম এই পাঠাগারের উদ্যোগে বন্দরে গ্রন্থমেলা হয়। এই পাঠাগারে তৎকালীন সময়ে ৬টি ভ্রাম্যমান গ্রন্থাগারও ছিল। যা বর্তমানে বিলিন হয়ে গেছে। বন্দরে এই জনকল্যান সমিতি ও সাধারণ পাঠাগারে মুক্তিযুদ্ধের ২৫বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেছিলেন দেশবরেন্য সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব হাসান ইমাম ও চরমপত্রের লিখক ও পাঠক এমআর আক্তার মুকুল। মুক্তিযুদ্ধের পর বন্দরের স্থানীয় গুনি ব্যাক্তিরা শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বহাল রাখার জন্য এই পাঠাগারটি নির্মাণ করেন দেশ বরেন্য ব্যাক্তিবর্গ শিক্ষামুলক এই প্রতিষ্ঠানে বিচরন করেছিলেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তিরা হচ্ছে সাবেক ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার খানে আলম খান,প্রখ্যাত অভিনেতা ও চলচ্চিত্রকার হাসান ইমাম,চরমপত্র লেখক ও পাঠক এম আর আক্তার মুকুল,বিশিষ্ট রাজনৈতিক আলী আহাম্মদ চুনকা,ব্যারিষ্টার রাবেয়া ভূইয়া,লেখিকা শহীদ জননী জাহানারা ইমাম,লেখিকা জাহানারা বেগম,প্রখ্যাত অভিনেতা ও চলচ্চিত্রকার গোলাম মোস্তফা,জাতীয় অধ্যাপক আবুল ফজল,জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক সরদার জয়েন উদ্দিন,প্রখ্যাত সাংবাদিক নির্মল সেন,গিয়াস কামাল চৌধুরী,আহম্মদ ছফা,ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিন,প্রখ্যাত অভিনেতা ও চলচ্চিত্রকার খালেদ হায়দার,সাবেক সংসদ সদ্য একেএম সামসুজ্জোহা।

 

এ ব্যাপারে জনকল্যান সমিতি ও সাধারন পাঠাগারের সাধারন সম্পাদক পিয়ার জাহান কমল বলেন,স্বাধীনতার পর দেশের প্রথম সাধারন পাঠাগার হিসেবে বন্দরে জনকল্যান সমিতি ও সাধারন পাঠাগারটি সুপরিচিত। দেশ বরেন্য অনেক খ্যাতিমান লোক এই প্রতিষ্ঠানটিতে বিচরন ছিল। কিন্তু কাউন্সিলর হান্নান সরকার হটাৎ করে এই পাঠাগারের নাম পরিবর্তন করে কাউন্সিলর ভবন নামকরন করার বিষয়ে আমরা কিছুই জানিনা। জনকল্যান সমিতি ও সাধারন পাঠাগারের কমিটির নেতৃবৃন্দরা কিছুই জানেনা। মেয়র মহোদয়ের উন্নয়নকে আমরা সমর্থণ করি। আর সেজন্যই আমরা মেয়র মহোদয়ের প্রতি আন্তরিক হয়ে জনকল্যান সমিতি ও সাধারন পাঠাগারের জায়গা ইতিপূর্বে জনগনের কল্যানে মাতৃসদন হাসপাতাল করতে জায়গা প্রদান করেছি। বর্তমানে জনকল্যান সমিতি ও সাধারন পাঠাগারটি ৭মতলা করে উন্নয়ণ করতে চায় নাসিক কর্তৃপক্ষ এতেও আপত্তি নাই কিন্তু আমাদের সাধারন পাঠাগারের জায়গা উন্নয়নের নামে নামকরন পাল্টে ফেলবে এটা তো কখনোই সহ্য করা যায়না। শতশত সাহিত্যপ্রেমীর প্রতিষ্ঠান এই সাধারন পাঠাগার। নামকরন পাল্টে ফেলবে এটা কখনোই করতে দেয়া হবেনা।

 

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা.সেলিনা হায়াত আইভীর মুঠোফোনে একাধিকবার আলাপ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেন নাই।

 

এ বিষয়ে নাসিক ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা হান্নান সরকার বলেন,সাধারণ পাঠাগার সরকারী জায়গা এটা আমিও জানি কিন্তু কাউন্সিলর কমপ্লেক্স হলে পাঠাগারও ৩য় তলায় উন্নত মানের করে দেয়া হবে। জ¦রাজির্ণ অবস্থায় পাঠাগারটি ছিল। এটার কোন মা বাপ ছিলনা। সাধারন পাঠাগারের নাম পরিবর্তণ প্রশ্নে তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে এখানে ৭তলা ভবন হবে। এখানে পাঠ

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




নারায়ণগঞ্জ সরকারি পাঠাগারকে কাউন্সিলর ভবন নামকরন: এলাকাবাসীর ক্ষোভ 

আপডেট সময় : ১০:৫৯:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই ২০২১

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:

জ্ঞানের ইচ্ছা মানুষের একটি আদিম আকাঙ্খা। আর পাঠাগার কিংবা গ্রন্থাগার গড়ে ওঠার মূলে মানুষের এই আকাঙ্খা অন্যতম ভূমিকা পালন করে। শিক্ষার্থীদের মুক্ত বুদ্ধি চর্চার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে পাঠাগার। স্বাধীনতার যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে স্থাপিত বাংলাদেশের প্রথম জনকল্যান সমিতি ও সাধারণ পাঠাগারের নাম চিহৃ বিলীন করে জে. কে এন্টারপ্রাইজ নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে টেন্ডার পাশ করিয়ে কাউন্সিলর ভবন নির্মাণ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। গত শনিবার ১৭ জুলাই বন্দর শাহীমসজিদ জনকল্যান সমিতি ও সাধারন পাঠাগারের নামফলক সম্বলিত প্রধান ফটকের উপর কাউন্সিলর ভবন নামক একটি ব্যানার সাটানো হয়। নাসিক ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তথা নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকারের নেতৃত্বে জনকল্যান সমিতি ও সাধারন পাঠাগারের নামফলক ঢেকে দিয়ে কাউন্সিলর ভবন নির্মান লেখা সম্বলিত ব্যানারটি উন্মেচন করেন তিনি।

 

বন্দরের স্থানীয় সচেতন ব্যাক্তিরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান,স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের মধ্যে বন্দরের শাহীমসজিদ এলাকায় এই জনকল্যান সমিতি ও সাধারন পাঠাগারটি প্রথম উদ্বোধণ হয়। দেশের অনেক বরেন্য জ্ঞানীগুনি ব্যাক্তিরা এখানে মুক্ত বুদ্ধি চর্চা করতে এই পাঠাগারে বিচরন করে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধের অনেক দলিলগ্রন্থ এখানে রক্ষিত আছে। চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে অনেক মুক্তিযুদ্ধের গ্রন্থ লোপাট হয়ে যায়। কিন্তু বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন আওতাধীণ হওয়ায় ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা হান্নান সরকার তৎকালীন কমিটি ভেঙ্গে নতুন কমিটি তৈরী করে এবং সে নিজেই ওই কমিটির সভাপতি হয়। পাঠাগারের গ্রন্থাগার থেকে সাহিত্যিক রইস উদ্দিন মুকুলকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। এখন আবার নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে জনকল্যান সমিতি ও সাধারন পাঠাগারের নাম মুছে ৭তলা বিশিষ্ট কাউন্সিলর ভবন নির্মানের জন্য একটা টেন্ডার পাশ করানো হয়। পরে কাউন্সিলর হান্নান সরকার জনকল্যান সমিতি ও সাধারন পাঠাগারের নামের উপর দিয়ে কাউন্সিলর ভবন নির্মানের ব্যানার সাটিয়ে দেয়। আমরা সিটিকর্পোরেশনের এমন স্বেচ্ছচারী সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি মেয়র মহোদয়কে উদ্দেশ্য করে বলতে চাই প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ণকে আমরা হাজার বার সমর্থণ করি তাই বলে মুক্তিযুদ্ধের পর শতশত সাহিত্য প্রেমীদের একমাত্র সাহিত্য চর্চা প্রতিষ্ঠান সাধারন পাঠাগারের নামকরন কবর রচনা করে কাউন্সিলর ভবন নামকরন করতে দিবনা। অনতিবিলম্বে নাম পরিবর্তণ করে জনকল্যান ও সাধারন পাঠাগারের নামে করার জন্য মাননীয় মেয়রের কাছে অনুরোধ রইল।

 

তথ্যসুত্রে জানা যায়,নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ড আওতাধীণ শাহীমসজিদ এলাকায় অবস্থিত জনকল্যান সমিতি ও সাধারন পাঠাগার। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের এই প্রথম পাঠাগারটি প্রথম উদ্বোধণ হয়। তৎকালীন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার খানে আলম খান এই পাঠাগারটি উদ্বোধণ করেন। স্বাধীনতার পরে সর্বপ্রথম এই পাঠাগারের উদ্যোগে বন্দরে গ্রন্থমেলা হয়। এই পাঠাগারে তৎকালীন সময়ে ৬টি ভ্রাম্যমান গ্রন্থাগারও ছিল। যা বর্তমানে বিলিন হয়ে গেছে। বন্দরে এই জনকল্যান সমিতি ও সাধারণ পাঠাগারে মুক্তিযুদ্ধের ২৫বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেছিলেন দেশবরেন্য সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব হাসান ইমাম ও চরমপত্রের লিখক ও পাঠক এমআর আক্তার মুকুল। মুক্তিযুদ্ধের পর বন্দরের স্থানীয় গুনি ব্যাক্তিরা শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বহাল রাখার জন্য এই পাঠাগারটি নির্মাণ করেন দেশ বরেন্য ব্যাক্তিবর্গ শিক্ষামুলক এই প্রতিষ্ঠানে বিচরন করেছিলেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তিরা হচ্ছে সাবেক ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার খানে আলম খান,প্রখ্যাত অভিনেতা ও চলচ্চিত্রকার হাসান ইমাম,চরমপত্র লেখক ও পাঠক এম আর আক্তার মুকুল,বিশিষ্ট রাজনৈতিক আলী আহাম্মদ চুনকা,ব্যারিষ্টার রাবেয়া ভূইয়া,লেখিকা শহীদ জননী জাহানারা ইমাম,লেখিকা জাহানারা বেগম,প্রখ্যাত অভিনেতা ও চলচ্চিত্রকার গোলাম মোস্তফা,জাতীয় অধ্যাপক আবুল ফজল,জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক সরদার জয়েন উদ্দিন,প্রখ্যাত সাংবাদিক নির্মল সেন,গিয়াস কামাল চৌধুরী,আহম্মদ ছফা,ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিন,প্রখ্যাত অভিনেতা ও চলচ্চিত্রকার খালেদ হায়দার,সাবেক সংসদ সদ্য একেএম সামসুজ্জোহা।

 

এ ব্যাপারে জনকল্যান সমিতি ও সাধারন পাঠাগারের সাধারন সম্পাদক পিয়ার জাহান কমল বলেন,স্বাধীনতার পর দেশের প্রথম সাধারন পাঠাগার হিসেবে বন্দরে জনকল্যান সমিতি ও সাধারন পাঠাগারটি সুপরিচিত। দেশ বরেন্য অনেক খ্যাতিমান লোক এই প্রতিষ্ঠানটিতে বিচরন ছিল। কিন্তু কাউন্সিলর হান্নান সরকার হটাৎ করে এই পাঠাগারের নাম পরিবর্তন করে কাউন্সিলর ভবন নামকরন করার বিষয়ে আমরা কিছুই জানিনা। জনকল্যান সমিতি ও সাধারন পাঠাগারের কমিটির নেতৃবৃন্দরা কিছুই জানেনা। মেয়র মহোদয়ের উন্নয়নকে আমরা সমর্থণ করি। আর সেজন্যই আমরা মেয়র মহোদয়ের প্রতি আন্তরিক হয়ে জনকল্যান সমিতি ও সাধারন পাঠাগারের জায়গা ইতিপূর্বে জনগনের কল্যানে মাতৃসদন হাসপাতাল করতে জায়গা প্রদান করেছি। বর্তমানে জনকল্যান সমিতি ও সাধারন পাঠাগারটি ৭মতলা করে উন্নয়ণ করতে চায় নাসিক কর্তৃপক্ষ এতেও আপত্তি নাই কিন্তু আমাদের সাধারন পাঠাগারের জায়গা উন্নয়নের নামে নামকরন পাল্টে ফেলবে এটা তো কখনোই সহ্য করা যায়না। শতশত সাহিত্যপ্রেমীর প্রতিষ্ঠান এই সাধারন পাঠাগার। নামকরন পাল্টে ফেলবে এটা কখনোই করতে দেয়া হবেনা।

 

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা.সেলিনা হায়াত আইভীর মুঠোফোনে একাধিকবার আলাপ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেন নাই।

 

এ বিষয়ে নাসিক ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা হান্নান সরকার বলেন,সাধারণ পাঠাগার সরকারী জায়গা এটা আমিও জানি কিন্তু কাউন্সিলর কমপ্লেক্স হলে পাঠাগারও ৩য় তলায় উন্নত মানের করে দেয়া হবে। জ¦রাজির্ণ অবস্থায় পাঠাগারটি ছিল। এটার কোন মা বাপ ছিলনা। সাধারন পাঠাগারের নাম পরিবর্তণ প্রশ্নে তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে এখানে ৭তলা ভবন হবে। এখানে পাঠ