ঢাকা ১০:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ছড়ানো গুজবে সয়লাব Logo সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে Logo জবিতে আজীবন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo শাবিতে হল প্রশাসনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নোটিসে জোর পূর্বক সাইন আদায় Logo এবার সামনে আসছে ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারীদের মারধরের আরো ঘটনা Logo আবাসিক হল ছাড়ছে শাবি শিক্ষার্থীরা Logo নিরাপত্তার স্বার্থে শাবি শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড সাথে রাখার আহবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের Logo জনস্বাস্থ্যের প্রধান সাধুর যত অসাধু কর্ম: দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ! Logo বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখা যুগ্ম পরিচালক আলমগীরের দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য  Logo রাজশাহীতে এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটনকে হয়রানিমূলক মামলায় বএিমইউজরে নিন্দা ও প্রতিবাদ




দেরিতে ঘুম থেকে ওঠায় গৃহকর্মীকে হত্যা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৮:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২১ ৭৯ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি;

ময়মনসিংহে গৃহকর্মী সাবিনা (২০) হত্যার পর মরদেহ লাগেজে ভরে গৌরীপুর গঙ্গাশ্রম এলাকার জোড়া ব্রীজের নীচে ডোবার পানিতে ফেলে দেন বলে আদালতে স্বীকার করেছেন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার দম্পতি।

শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) বিকালে ময়মনসিংহের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এরআগে বুধবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ময়মনসিংহ নগরীর মধ্য-বারেরা এলাকা থেকে গৃহকর্তা জাকির হোসেন সোহাগ (৪৪) ও তার স্ত্রী জেসিকে গ্রেফতার করে পিবিআই। পরদিন (২৮ জানুয়ারি) তারা আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করায় তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।

নিহত গৃহকর্মী সদর উপজেলার উজানঘাগড়া এলাকার সিরাজুল ইসলামের মেয়ে। অন্যদিকে জাকির হোসেন সোহাগ আব্দুল কদ্দুসের ছেলে। নগরীর গঙ্গাদাস গুহ রোড এলাকার তৈমুর টাওয়ারে বসবাস করতেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম আরও বলেন, চার বছর আগে সংসারে অভাব অনটন থাকায় ময়মনসিংহ নগরীর গঙ্গাদাস গুহ রোডের তৈমুর এক্সেল টাওয়ারের ১৪ তলার মেরিন ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন ও জেসির বাসায় গৃহকর্মীর কাজে নেন সাবিনা। কাজে ভুল-ক্রুটি হলেই জেসি ও তার স্বামী জাকির হোসেন সোহাগ নির্যাতন করতেন।

তিনি আরও বলেন, ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর সাবিনা অসুস্থ থাকায় সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়। এজন্য সাবিনাকে বেধড়ক পেটায় গৃহকর্তী। এক পর্যায়ে সাবিনাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে জাকির হোসেন ও তার স্ত্রী জেসি সাবিনার মরদেহ একটি লাগেজে ভরে রাতে গৌরীপুর গঙ্গাশ্রম এলাকার জোড়া ব্রিজের নিচে ডোবায় ফেলে দেন। পরদিন সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ওই দিন অজ্ঞাতনামা আসামি করে গৌরীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ। পরে ১৫ নভেম্বর হত্যা মামলা তদন্তের জন্য পিবিআইয়ে হস্তান্তর হয়। ওই লাগেজে একটি আইডেন্টিটি মার্ক পাওয়া যায়। তারই সূত্র ধরে জাকির সোহাগ ও তার স্ত্রী জেসিকে গ্রেফতার করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




দেরিতে ঘুম থেকে ওঠায় গৃহকর্মীকে হত্যা

আপডেট সময় : ০৯:৩৮:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২১

জেলা প্রতিনিধি;

ময়মনসিংহে গৃহকর্মী সাবিনা (২০) হত্যার পর মরদেহ লাগেজে ভরে গৌরীপুর গঙ্গাশ্রম এলাকার জোড়া ব্রীজের নীচে ডোবার পানিতে ফেলে দেন বলে আদালতে স্বীকার করেছেন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার দম্পতি।

শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) বিকালে ময়মনসিংহের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এরআগে বুধবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ময়মনসিংহ নগরীর মধ্য-বারেরা এলাকা থেকে গৃহকর্তা জাকির হোসেন সোহাগ (৪৪) ও তার স্ত্রী জেসিকে গ্রেফতার করে পিবিআই। পরদিন (২৮ জানুয়ারি) তারা আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করায় তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।

নিহত গৃহকর্মী সদর উপজেলার উজানঘাগড়া এলাকার সিরাজুল ইসলামের মেয়ে। অন্যদিকে জাকির হোসেন সোহাগ আব্দুল কদ্দুসের ছেলে। নগরীর গঙ্গাদাস গুহ রোড এলাকার তৈমুর টাওয়ারে বসবাস করতেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম আরও বলেন, চার বছর আগে সংসারে অভাব অনটন থাকায় ময়মনসিংহ নগরীর গঙ্গাদাস গুহ রোডের তৈমুর এক্সেল টাওয়ারের ১৪ তলার মেরিন ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন ও জেসির বাসায় গৃহকর্মীর কাজে নেন সাবিনা। কাজে ভুল-ক্রুটি হলেই জেসি ও তার স্বামী জাকির হোসেন সোহাগ নির্যাতন করতেন।

তিনি আরও বলেন, ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর সাবিনা অসুস্থ থাকায় সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়। এজন্য সাবিনাকে বেধড়ক পেটায় গৃহকর্তী। এক পর্যায়ে সাবিনাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে জাকির হোসেন ও তার স্ত্রী জেসি সাবিনার মরদেহ একটি লাগেজে ভরে রাতে গৌরীপুর গঙ্গাশ্রম এলাকার জোড়া ব্রিজের নিচে ডোবায় ফেলে দেন। পরদিন সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ওই দিন অজ্ঞাতনামা আসামি করে গৌরীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ। পরে ১৫ নভেম্বর হত্যা মামলা তদন্তের জন্য পিবিআইয়ে হস্তান্তর হয়। ওই লাগেজে একটি আইডেন্টিটি মার্ক পাওয়া যায়। তারই সূত্র ধরে জাকির সোহাগ ও তার স্ত্রী জেসিকে গ্রেফতার করা হয়।