ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের পুনর্বাসনের দাবিতে শনিবার মাঠে নামবেন সাঈদ খোকন
- আপডেট সময় : ১০:১৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ জানুয়ারী ২০২১ ১৪৩ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক;
ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ এর ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবিতে শনিবার (৯ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় কদম ফোয়ারার সামনে মানববন্ধন করবেন ব্যবসায়ীরা। এই মানববন্ধনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন তার জনসংযোগ কর্মকর্তা হাবিবুল ইসলাম সুমন।
গত ৮ ডিসেম্বর থেকে ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ এ নকশাবহির্ভূত দোকান উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে ডিএসসিসি। এখন পর্যন্ত দুই-তৃতীয়াংশ দোকান উচ্ছেদ করেছে সংস্থাটি। ডিএসসিসির হিসেবে এই মার্কেটে ৯১১টি নকশাবহির্ভূত দোকান রয়েছে।
তবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দাবি, উচ্চ আদালতের নির্দেশে এবং করপোরেশন সভার মাধ্যমে এসব দোকানের বৈধতা দিয়েছিলেন সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন। প্রতিটি দোকানের বিপরীতে ট্রেড লাইসেন্স এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাড়া আদায় করেছে সংস্থাটি। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই এই দোকানগুলো অবৈধভাবে ভেঙে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। এতে সব হারিয়ে ব্যবসায়ীরা নিঃস্ব হয়ে গেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে।
মানববন্ধনের বিষয়ে জানতে চাইলে সাঈদ খোকন বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের অনুরোধে তিনি এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করবেন। তাদের দাবি আদায়ে কথা বলবেন।’
তিনি বলেন, ‘ওই ৯১১টি দোকান অবৈধ বলার সুযোগ নেই। যথাযথ প্রক্রিয়ায় এসব দোকানের বৈধতা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান মেয়র আইনের তোয়াক্কা না করে এসব দোকান ভেঙে দিয়ে লক্ষাধিক দোকানি, কর্মচারীকে পথে বসিয়েছেন।’
তবে এসব দোকানের বৈধতা দিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে সম্প্রতি সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ওই সুপার মার্কেটের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলু। এই মামলা এখন তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
মামলার বিষয়ে সাঈদ খোকন বলেন, ‘সবাই বলে, শেখ তাপসের নির্দেশে এই মিথ্যা মামলা করেছেন দেলু। এই অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। শেখ তাপস দেলুর ফাঁদে পা দিয়েছেন। এতে দলের এবং শেখ পরিবারের সম্মানহানি হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই মার্কেটের জন্মলগ্ন থেকে হাজারটা অনিয়ম-দুর্নীতি করেছেন দেলু। আমি দায়িত্ব থাকা অবস্থায় তার লাগাম টেনে ধরেছিলাম। তদন্ত করলে তার সত্যতা বেরিয়ে আসবে।’