ঢাকা ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ছড়ানো গুজবে সয়লাব Logo সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে Logo জবিতে আজীবন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo শাবিতে হল প্রশাসনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নোটিসে জোর পূর্বক সাইন আদায় Logo এবার সামনে আসছে ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারীদের মারধরের আরো ঘটনা Logo আবাসিক হল ছাড়ছে শাবি শিক্ষার্থীরা Logo নিরাপত্তার স্বার্থে শাবি শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড সাথে রাখার আহবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের Logo জনস্বাস্থ্যের প্রধান সাধুর যত অসাধু কর্ম: দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ! Logo বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখা যুগ্ম পরিচালক আলমগীরের দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য  Logo রাজশাহীতে এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটনকে হয়রানিমূলক মামলায় বএিমইউজরে নিন্দা ও প্রতিবাদ




গণধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়, গ্রাম ছাড়া নির্যাতিতা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫০:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ ৬৮ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক;

রংপুরের মিঠাপুকুরে জমিজমার কাগজপত্র ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূ ধর্ষকদের হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

এ ঘটনায় থানায় মামলা করলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

এদিকে পৃথক আরেকটি ঘটনায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।

মামলা সূত্র ও এলাকাবাসী জানায়, মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মুরাদপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের কাছে ৫ বছর আগে ৬৬ শতক জমি ২ লাখ টাকায় বন্ধক নেন গৃহবধূ ও তার স্বামী। ওই সময় লিখিত স্ট্যাম্পও করে দেন তোফাজ্জল হোসেন।

ওই সম্পত্তি গৃহবধূ ও তার স্বামী ভোগদখল করে আসছেন। ১০ নভেম্বর জমিদাতা তোফাজ্জল হোসেন আরও ৪০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন তাদের কাছে। কিন্তু, স্ট্যাম্প করে দিতে টালবাহানা করতে থাকেন।

একপর্যায়ে তোফাজ্জল হোসেনের সহযোগী আবু তাহের ও রবিউল হাসান বিষু ওই গৃহবধূকে ৪০ হাজার টাকার স্ট্যাম্প লিখে দিতে সহায়তার কথা বলে ২ লাখ টাকার মূল স্ট্যাম্পটি তার কাছ থেকে হাতিয়ে নেন।

এরপর তোফাজ্জল হোসেনের সহযোগী আবু তাহের ও রবিউল হাসান বিষু ওই গৃহবধূকে কৌশলে ২২ নভেম্বর ও ২৭ নভেম্বর ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়।

ওই গৃহবধূ বৈরাতীহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ করলে জড়িতরা ইউপি সদস্যকে হাত করে তার মাধ্যমে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রাম্যভাবে সমাধান করার আশ্বাসে থামিয়ে রাখেন।

কিন্তু অপরাধীরা ঘটনার স্থানীয়ভাবে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে ওই গৃহবধূকে দুশ্চরিত্রা বলে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরে ওই গৃহবধূ মিঠাপুকুর থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন।

অপরদিকে উপজেলার বড় হযরতপুর ইউনিয়নের চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।

জানা গেছে, ছাত্রীটি গত ২৫ ডিসেম্বর সকালে অন্য শিশুদের সাথে বাড়ির বাইরে খেলা করছিল। পাশের বাড়িতে শিশুটি পানি খাওয়ার জন্য পাশের বাড়িতে যায়।

এসময় পাশের সেরুডাঙা খামার গ্রামের দুলু মিয়া (৪৫) শিশুটিকে পেছন থেকে জাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। তার চিৎকারে অন্য শিশুরা দৌড়ে এলে দুলু মিয়া পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন।

মিঠাপুকুর থানার ওসি আমিরুজ্জামান জানান, গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




গণধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়, গ্রাম ছাড়া নির্যাতিতা

আপডেট সময় : ০৯:৫০:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০

অনলাইন ডেস্ক;

রংপুরের মিঠাপুকুরে জমিজমার কাগজপত্র ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূ ধর্ষকদের হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

এ ঘটনায় থানায় মামলা করলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

এদিকে পৃথক আরেকটি ঘটনায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।

মামলা সূত্র ও এলাকাবাসী জানায়, মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মুরাদপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের কাছে ৫ বছর আগে ৬৬ শতক জমি ২ লাখ টাকায় বন্ধক নেন গৃহবধূ ও তার স্বামী। ওই সময় লিখিত স্ট্যাম্পও করে দেন তোফাজ্জল হোসেন।

ওই সম্পত্তি গৃহবধূ ও তার স্বামী ভোগদখল করে আসছেন। ১০ নভেম্বর জমিদাতা তোফাজ্জল হোসেন আরও ৪০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন তাদের কাছে। কিন্তু, স্ট্যাম্প করে দিতে টালবাহানা করতে থাকেন।

একপর্যায়ে তোফাজ্জল হোসেনের সহযোগী আবু তাহের ও রবিউল হাসান বিষু ওই গৃহবধূকে ৪০ হাজার টাকার স্ট্যাম্প লিখে দিতে সহায়তার কথা বলে ২ লাখ টাকার মূল স্ট্যাম্পটি তার কাছ থেকে হাতিয়ে নেন।

এরপর তোফাজ্জল হোসেনের সহযোগী আবু তাহের ও রবিউল হাসান বিষু ওই গৃহবধূকে কৌশলে ২২ নভেম্বর ও ২৭ নভেম্বর ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়।

ওই গৃহবধূ বৈরাতীহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ করলে জড়িতরা ইউপি সদস্যকে হাত করে তার মাধ্যমে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রাম্যভাবে সমাধান করার আশ্বাসে থামিয়ে রাখেন।

কিন্তু অপরাধীরা ঘটনার স্থানীয়ভাবে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে ওই গৃহবধূকে দুশ্চরিত্রা বলে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরে ওই গৃহবধূ মিঠাপুকুর থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন।

অপরদিকে উপজেলার বড় হযরতপুর ইউনিয়নের চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।

জানা গেছে, ছাত্রীটি গত ২৫ ডিসেম্বর সকালে অন্য শিশুদের সাথে বাড়ির বাইরে খেলা করছিল। পাশের বাড়িতে শিশুটি পানি খাওয়ার জন্য পাশের বাড়িতে যায়।

এসময় পাশের সেরুডাঙা খামার গ্রামের দুলু মিয়া (৪৫) শিশুটিকে পেছন থেকে জাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। তার চিৎকারে অন্য শিশুরা দৌড়ে এলে দুলু মিয়া পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন।

মিঠাপুকুর থানার ওসি আমিরুজ্জামান জানান, গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।