ঢাকা ০৪:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo রূপালী ব্যাংকের এমডি ছিলেন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের প্রভাবশালী নেতা! Logo “আওয়ামী সুবিধাভোগী ৪ কারা কর্মকর্তার কাছে জিম্মি কারা অধিদপ্তর!” Logo পাইকগাছা-কয়রার মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে মাঠে আমিরুল ইসলাম কাগজী Logo এয়ারপোর্ট এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা সালাউদ্দিন পিয়ারী ইয়াসিন ধরাছোঁয়ার বাইরে! Logo পিরোজপুর-২ আসনে জনগণের জন্য কাজ করতে চান ফকরুল আলম: নির্বাচনের প্রস্তুতি তুঙ্গে Logo পাওনা টাকা চাওয়ায় সাংবাদিকের উপর হামলা: নেপথ্যে কসাই পারভেজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ৩৬ জুলাই: যেভাবে প্রতীকী ক্যালেন্ডার হয়ে উঠল জাতীয় প্রতিরোধের হাতিয়ার Logo বাকেরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলা Logo গণপূর্ত প্রকৌশলী জহির রায়হানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অভিযান Logo “শতকোটি টাকার দুর্নীতির সাম্রাজ্য: তাপসের ঘনিষ্ট ডিএসসিসির শাহজাহান আলীর ফাঁদে ঢাকা দক্ষিণ সিটি”

ভাগ্নির সঙ্গে প্রেম জেনে ফেলায় শ্যালিকা খুন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১০:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ ১৬৪ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি

স্ত্রী প্রবাসে থাকায় শ্যালিকার সঙ্গে ভগ্নিপতির গড়ে উঠে অবৈধ সম্পর্ক। এক পর্যায়ে স্ত্রীর বড় বোনের মেয়ের সঙ্গেও শুরু হয় অবৈধ সম্পর্ক। আর বিষয়টি জেনে যাওয়ায় শ্যালিকার সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকে খুন করেন সুহাগ।

শুধু খুন করেই থেমে থাকেননি সুহাগ। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ারও চেষ্টা করেন তিনি।

বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে সুহাগকে আসামি করে থানায় মামলা করেন শ্বশুর আব্দুল ছাতির। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে সুহাগকে আটক করলে বিষয়টি জানা যায়।

বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন সুহাগ।

তিনি হবিগঞ্জ শহরের যশেরআব্দা গ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে।

পুলিশ জানায়, সুহাগ আদালতকে জানিয়েছেন ১০ বছর আগে চুনারুঘাট উপজেলার শেখেরগাঁও গ্রামের আব্দুল ছাতিরের মেয়ে সিতারাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে সুহাগ শ্বশুর বাড়িতেই বসবাস করতেন। দাম্পত্য জীবনে এক ছেলে সন্তান রয়েছে তাদের।

বছরখানেক আগে জীবিকার তাগিদে স্ত্রী সিতারা সৌদি যান। এ সময় সুহাগের শিশু পুত্রকে দেখাশোনা করতেন শ্যালিকা জুনেরা খাতুন। এক সময় শ্যালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে সুহাগের।

এদিকে সুহাগের স্ত্রীর বড় বোন থাকেন পার্শ্ববর্তী জিকুরা গ্রামে। তার কিশোরী মেয়ে প্রতিদিন নানার বাড়িতে অসুস্থ নানীর কাছে ঘুমাতে আসেন। এ সুযোগে তার সঙ্গেও অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন সুহাগ।

বিষয়টি জুনেরা বুঝতে পারলে সুহাগের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। সবকিছু ফাঁস করে দেয়ার হুমকি দিলে মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে জুনেরার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে সুহাগ। পরে এটি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া এবং তড়িঘড়ি লাশ দাফনের চেষ্টা করেন তিনি।

কিন্তু শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে চুনারুঘাট থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) চম্পক ধাম বলেন, হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়ার পর সুহাগকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া জুনেরার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ভাগ্নির সঙ্গে প্রেম জেনে ফেলায় শ্যালিকা খুন

আপডেট সময় : ০৯:১০:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০

জেলা প্রতিনিধি

স্ত্রী প্রবাসে থাকায় শ্যালিকার সঙ্গে ভগ্নিপতির গড়ে উঠে অবৈধ সম্পর্ক। এক পর্যায়ে স্ত্রীর বড় বোনের মেয়ের সঙ্গেও শুরু হয় অবৈধ সম্পর্ক। আর বিষয়টি জেনে যাওয়ায় শ্যালিকার সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকে খুন করেন সুহাগ।

শুধু খুন করেই থেমে থাকেননি সুহাগ। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ারও চেষ্টা করেন তিনি।

বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে সুহাগকে আসামি করে থানায় মামলা করেন শ্বশুর আব্দুল ছাতির। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে সুহাগকে আটক করলে বিষয়টি জানা যায়।

বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন সুহাগ।

তিনি হবিগঞ্জ শহরের যশেরআব্দা গ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে।

পুলিশ জানায়, সুহাগ আদালতকে জানিয়েছেন ১০ বছর আগে চুনারুঘাট উপজেলার শেখেরগাঁও গ্রামের আব্দুল ছাতিরের মেয়ে সিতারাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে সুহাগ শ্বশুর বাড়িতেই বসবাস করতেন। দাম্পত্য জীবনে এক ছেলে সন্তান রয়েছে তাদের।

বছরখানেক আগে জীবিকার তাগিদে স্ত্রী সিতারা সৌদি যান। এ সময় সুহাগের শিশু পুত্রকে দেখাশোনা করতেন শ্যালিকা জুনেরা খাতুন। এক সময় শ্যালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে সুহাগের।

এদিকে সুহাগের স্ত্রীর বড় বোন থাকেন পার্শ্ববর্তী জিকুরা গ্রামে। তার কিশোরী মেয়ে প্রতিদিন নানার বাড়িতে অসুস্থ নানীর কাছে ঘুমাতে আসেন। এ সুযোগে তার সঙ্গেও অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন সুহাগ।

বিষয়টি জুনেরা বুঝতে পারলে সুহাগের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। সবকিছু ফাঁস করে দেয়ার হুমকি দিলে মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে জুনেরার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে সুহাগ। পরে এটি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া এবং তড়িঘড়ি লাশ দাফনের চেষ্টা করেন তিনি।

কিন্তু শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে চুনারুঘাট থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) চম্পক ধাম বলেন, হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়ার পর সুহাগকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া জুনেরার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।