প্রাইভেটকার চালক থেকে সাংবাদিক শিরোনামে সংবাদ প্রচার করায় অপপ্রচার!

- আপডেট সময় : ০২:২১:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ নভেম্বর ২০২০ ৪৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন প্রাইভেটকার চালক থেকে পি আই ডি কার্ড ধারী সাংবাদিক এমএ সালাম শান্ত। ইতিমধ্যে তিনি বেশকিছু সাংবাদিকদের দিয়ে সংবাদ প্রচার বন্ধ করার হুমকি দিয়েছেন সকালের সংবাদের সম্পাদক হাফিজুর রহমান শফিককে।
পাশাপাশি কিছু ফেসবুক পেজ থেকে সকালের সংবাদ ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে এই কথিত সাংবাদিক প্রেমের সালাম শান্ত।
উল্লেখ্য, কোন প্রকার একাডেমিক শিক্ষা না থাকার পরেও জাল-জালিয়াতি করে বিভিন্ন দৈনিকে গুরুত্বপূর্ণ বদ বাগিয়ে নেওয়া এই সাংবাদিক মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে pid কার্ড সুবিধা নিয়েছেন। এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অনুসন্ধানে সংবাদমাধ্যম সকালের সংবাদ পরিবেশন করলে তার পরপরই সকালে সংবাদের সম্পাদক হাফিজুর রহমান শফিক এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম অপপ্রচার শুরু করে এই কথিত সাংবাদিক। তার এসব অপপ্রচার এর সহযোগী হিসেবে কাজ করছে কিছু অখ্যাত অনলাইন পোর্টাল ও নাম-পরিচয় ফেইক ফেসবুক পেজ।
সকালের সংবাদ প্রচারিত সংবাদপত্রের জানা গেছে, প্রবাসে শ্রমিকের কাজ করে দেশে ফিরে মাত্র কয়েক বছর আগেও প্রাইভেট কারের চালক হিসেবে কাজ করতেন, শিক্ষাজীবনে প্রাইমারির গণ্ডী পার হয়নি তিনি, অথচ তিনি সচিবালয়ের বিট করেন। নিজেকে বড় মাপের সাংবাদিক জাহির করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন রাজধানীর সরকারি সব দপ্তরে।
গাজীপুর কাপাসিয়ার প্রবাসী শ্রমিক এম এ সালাম শান্ত কয়েক বছর আগে প্রবাসী শ্রমিকের কাজ করে দেশে ফিরে আসেন, পরবর্তীতে রাজধানীতে ভাড়ায় চালিত প্রাইভেটকার চালাতেন। তার কিছুদিন পরই হঠাৎ সাংবাদিক বনে যান শান্ত নামের এই কথিত প্রতারক সাংবাদিক। দেশের মন্ত্রী আমলা থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তি ও সিনিয়র সাংবাদিকদের সাথে ঘনিষ্ঠ সেলফি তুলে নিজেকে তাদের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে জাহির করেন। এমনকি নিজেকে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে দাবি করা এম এ সালাম শান্ত’র মূলত কোন একাডেমিক শিক্ষাগত যোগ্যতায় নেই। দেশের কিছু কথিত দৈনিকে অর্থ ব্যয় করে ম্যানেজ করে নেন সচিবালয় বিটের পিআইডি কার্ড। আরেকটি আইডি কার্ড সুবিধা ব্যবহার করে সচিবালয় তদবিরের একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন কথিত সাংবাদিক এম এ সালাম শান্ত। সচিবালয় সম্পৃক্ত সকল প্রকার তদবির যেন তার বাঁহাতের খেল। বদলি সরকারি চাকরি দেওয়া সহ সকল প্রকার বদলি তার একমাত্র নেশা ও পেশা আর এসব করি তিনি কোটিপতি বনে গেছেন।
কথিত এই প্রতারক ইতিমধ্যে সাংবাদিক একটি অনলাইন পোর্টালের প্রকাশক হিসেবে নিজেকে জাহির করেছেন। কোন প্রকার রাষ্ট্রীয় অনুমতি ব্যতিরেকে উক্ত পোর্টালের নামে পত্রিকা ছাপানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টদের অভিমত, সম্মানের এই পেশাকে কলুষিত করছে এইসব অশিক্ষিত কথিত সাংবাদিক পরিচয় ধারীরা।
সংবাদমাধ্যম সংশ্লিষ্ট দের ক্ষোভ সচিবালয়ের বি আইডি কার্ড এতটা সহজ মূল্য হয় কিভাবে? যেখানে পেশাদার সাংবাদিকদের একটি কার্ড পেতে অনেক রকম বেগ পোহাতে হয় এবং যা অনেকের ভাগ্যে জোটে না। অথচ সেই আকাঙ্খিত পি আই ডি কার্ড এমন অশিক্ষিত কথিত প্রাইভেটকার চালকরা কিভাবে ম্যানেজ করেন? চলবে……