ঢাকা ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নিজেই মাদকাসক্ত মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা; মাসে মাসোহারা আদায় ৭লাখ! Logo দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রকারী মাস্টারমাইন্ড সেচ্ছাসেবকলীগ নেত্রী ফাতেমা আক্তার শাপলা Logo ‘শেখ হাসিনা ও জিয়াউলের বিরুদ্ধে ২০০ গুমের প্রমাণ মিলেছে’ Logo দুর্নীতির ছায়ায় রাজউক ইমারত পরিদর্শক মনিরুজ্জামান! Logo নিয়মিত চুমু খেলে মিলবে যে শারীরিক উপকার Logo প্রধান উপদেষ্টা কাতার যাচ্ছেন আজ, সফরসঙ্গী যারা Logo জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হলেন মুহাম্মদ আবু আবিদ Logo প্রধান উপদেষ্টার দেয়া নির্বাচনী সময়ে সন্তুষ্ট নয় বিএনপি Logo ডেসটিনি প্রতারক রফিকুল আমিনের নতুন রাজনৈতিক দল গঠন Logo একচেটিয়া লিফট সরবরাহ চুক্তি: ওয়ালটনের টাকায় শেখর সহ গণপূর্ত’ চার প্রকৌশলীর বিদেশ ভ্রমণ!




উপকূলীয় অঞ্চলে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে অর্থ বরাদ্দ বাড়াতে হবে: সবুজ আন্দোলন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৫:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর ২০২০ ১৩৯ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ ডেস্ক: বাংলাদেশ সারা পৃথিবীতে পরিবেশ বিপর্যয় ও জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা রাষ্ট্রগুলো মধ্যে শীর্ষে। শিল্পোন্নত রাষ্ট্রগুলো প্রতিনিয়ত কার্বন নিঃসরণ করেই চলছে। কার্বন নিঃসরণের ফলে মাত্রাতিরিক্ত হারে হিমালয় সহ আটলান্টিক মহাসাগরের বরফ গুলো গলছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে দেখা দিয়েছে অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টি। এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ সব থেকে স্থলে নিচু রাষ্ট্র। উপকূলীয় অঞ্চল জুড়ে প্রতিনিয়ত শিল্পোন্নত দায়ী রাষ্ট্রের কারণে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস বেড়েই চলছে। আজ ১২ নভেম্বর উপকূলীয় দিবস পালন করা হচ্ছে। আজকের এই দিনে ভোলায় ১৯৭০ সালে স্মরণকালের ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাস সংঘটিত হয়। বাংলাদেশকে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য শিল্পোন্নত দায়ী রাষ্ট্রকে অবশ্যই কার্বন নিঃসরণ কমাতে হবে।

এ বিষয়ে সবুজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার বলেন, “আমরা প্রতি বছর ভারতের আসাম ও ত্রিপুরার অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে বন্যার সম্মুখীন হচ্ছি। এতে করে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে হুমকি দেখা দিয়েছে। এছাড়াও বেড়িবাঁধ নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকারের অর্থ বরাদ্দ অপ্রতুল। উপকূলীয় অঞ্চলের জনগণের টেকসই উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে অর্থ বরাদ্দ সঠিকভাবে খরচ মনিটরিং করতে আলাদা একটি কমিশন গঠন করার প্রস্তাব করছি।”

উপকূলীয় অঞ্চলের টেকসই উন্নয়নে সবুজ আন্দোলনের প্রস্তাবনাসমূহ:
১। পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ বাস্তবায়ন
২। নদীর ভাঙ্গনরোধে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে হবে।
৩। উপকূলীয় অঞ্চল জুরে রাস্তা নির্মাণের ক্ষেত্রে নদীর পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত হারে মিনি কালভার্ট নির্মাণ করতে হবে।
৪। টেকসই সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ করতে হবে।
৫। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৬। বীজ ও ফসল উৎপাদনে কৃষকদেরকে প্রণোদনা দিতে হবে।
৭। বিভিন্ন সময়ে বন্যা, খরা ও জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্তদের টেকসই উন্নয়নে দায় রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে অর্থ বরাদ্দ আদায় কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে হবে।
৮। উপকূলীয় অঞ্চলের জনগণের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আলাদা প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
৯। কর্মসংস্থান তৈরিতে উপকূলীয় অর্থনৈতিক জোন তৈরি করে সরকারি অর্থ ঋণ প্রদান করতে হবে।
১০। নদীর প্রবাহ ও পানির ধারণ ক্ষমতা ধরে রাখতে খনন কাজ নিশ্চিত করতে হবে এবং নদীর সাথে প্রত্যেক এলাকার খালের সংযোগ নিশ্চিত করতে হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




উপকূলীয় অঞ্চলে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে অর্থ বরাদ্দ বাড়াতে হবে: সবুজ আন্দোলন

আপডেট সময় : ০৩:৪৫:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর ২০২০

সকালের সংবাদ ডেস্ক: বাংলাদেশ সারা পৃথিবীতে পরিবেশ বিপর্যয় ও জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা রাষ্ট্রগুলো মধ্যে শীর্ষে। শিল্পোন্নত রাষ্ট্রগুলো প্রতিনিয়ত কার্বন নিঃসরণ করেই চলছে। কার্বন নিঃসরণের ফলে মাত্রাতিরিক্ত হারে হিমালয় সহ আটলান্টিক মহাসাগরের বরফ গুলো গলছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে দেখা দিয়েছে অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টি। এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ সব থেকে স্থলে নিচু রাষ্ট্র। উপকূলীয় অঞ্চল জুড়ে প্রতিনিয়ত শিল্পোন্নত দায়ী রাষ্ট্রের কারণে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস বেড়েই চলছে। আজ ১২ নভেম্বর উপকূলীয় দিবস পালন করা হচ্ছে। আজকের এই দিনে ভোলায় ১৯৭০ সালে স্মরণকালের ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাস সংঘটিত হয়। বাংলাদেশকে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য শিল্পোন্নত দায়ী রাষ্ট্রকে অবশ্যই কার্বন নিঃসরণ কমাতে হবে।

এ বিষয়ে সবুজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার বলেন, “আমরা প্রতি বছর ভারতের আসাম ও ত্রিপুরার অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে বন্যার সম্মুখীন হচ্ছি। এতে করে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে হুমকি দেখা দিয়েছে। এছাড়াও বেড়িবাঁধ নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকারের অর্থ বরাদ্দ অপ্রতুল। উপকূলীয় অঞ্চলের জনগণের টেকসই উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে অর্থ বরাদ্দ সঠিকভাবে খরচ মনিটরিং করতে আলাদা একটি কমিশন গঠন করার প্রস্তাব করছি।”

উপকূলীয় অঞ্চলের টেকসই উন্নয়নে সবুজ আন্দোলনের প্রস্তাবনাসমূহ:
১। পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ বাস্তবায়ন
২। নদীর ভাঙ্গনরোধে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে হবে।
৩। উপকূলীয় অঞ্চল জুরে রাস্তা নির্মাণের ক্ষেত্রে নদীর পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত হারে মিনি কালভার্ট নির্মাণ করতে হবে।
৪। টেকসই সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ করতে হবে।
৫। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৬। বীজ ও ফসল উৎপাদনে কৃষকদেরকে প্রণোদনা দিতে হবে।
৭। বিভিন্ন সময়ে বন্যা, খরা ও জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্তদের টেকসই উন্নয়নে দায় রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে অর্থ বরাদ্দ আদায় কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে হবে।
৮। উপকূলীয় অঞ্চলের জনগণের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আলাদা প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
৯। কর্মসংস্থান তৈরিতে উপকূলীয় অর্থনৈতিক জোন তৈরি করে সরকারি অর্থ ঋণ প্রদান করতে হবে।
১০। নদীর প্রবাহ ও পানির ধারণ ক্ষমতা ধরে রাখতে খনন কাজ নিশ্চিত করতে হবে এবং নদীর সাথে প্রত্যেক এলাকার খালের সংযোগ নিশ্চিত করতে হবে।