ঢাকা ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান মিয়ানমারকেই করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫০:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৩২ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদঃ

জাতিসংঘে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ১১ লাখেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিককে আশ্রয় প্রদান করেছে। তিন বছরের বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত মিয়ানমার একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত নেয়নি। এই সমস্যা মিয়ানমারের সৃষ্টি এবং এর সমাধান মিয়ানমারকেই করতে হবে। আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ ব্যাপারে আরও কার্যকর ভূমিকা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।’

শনিবার জাতিসংঘে দেয়া ভার্চুয়াল ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

শনিবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দিনের প্রথমার্ধের শুরুর দিকে বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অধিবেশনে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। এসময় প্রায় প্রতিটি সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। করোনা মহামারির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে অধিবেশন কক্ষে একটি দেশের একজন প্রতিনিধিকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের বক্তৃতা অধিবেশনের বড় পর্দায় প্রদর্শিত হয়।

বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির কারণে জাতিসংঘের ৭৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বিশ্বের সর্বোচ্চ ফোরাম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভার্চুয়াল অধিবেশনে অংশ নিচ্ছেন। এ অধিবেশনের মূল পর্ব সাধারণ বিতর্কে শনিবার বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘে এটি শেখ হাসিনার ১৭তম ভাষণ। এরআগে ১৬ বার সশরীরে উপস্থিত হয়ে বিশ্বশান্তি ও সৌহার্দ্যরে ডাক দিয়েছেন তিনি। এবারই ব্যতিক্রম ঘটেছে। করোনা মহামারির কারণে বিশ্বের কোনো রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান নিউইয়র্কে যাননি। আগে ধারণ করা ভিডিওতে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্তৃতার একটি বড় অংশ জুড়ে ছিল করোনা পরিস্থিতি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোভিড-১৯ প্রমাণ করেছে, আমাদের সকলের ভাগ্য একই সূত্রে গাঁথা। আমরা কেউই সুরক্ষিত নই যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা সবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারছি। এই ভাইরাস আমাদের অনেকটাই ঘরবন্দি করে ফেলেছিল। যার ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পাশাপাশি আর্থনীতিক কর্মকা­ও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। বাংলাদেশে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮.২ শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ আমাদের এই অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করেছে।’

করোনা মহামারীর মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম থেকেই ‘জীবন ও জীবিকা’ দুই ক্ষেত্রেই সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, উৎপাদন যাতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন না হয়, তার জন্য সরকার বিভিন্ন প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিধি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ বিস্তারের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের জন্য আমরা তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তার ব্যবস্থা নিয়েছি। এতে ১০ মিলিয়নের বেশি পরিবার উপকৃত হয়েছেন। আমরা ৪ মিলিয়ন শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করেছি। করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, শ্রমিক ও দিনমজুরসহ ৫ মিলিয়ন মানুষকে নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছি। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গ্রাম পর্যায়ের প্রায় ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র হতে বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ দেওয়া হয়।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান মিয়ানমারকেই করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১১:৫০:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

সকালের সংবাদঃ

জাতিসংঘে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ১১ লাখেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিককে আশ্রয় প্রদান করেছে। তিন বছরের বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত মিয়ানমার একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত নেয়নি। এই সমস্যা মিয়ানমারের সৃষ্টি এবং এর সমাধান মিয়ানমারকেই করতে হবে। আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ ব্যাপারে আরও কার্যকর ভূমিকা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।’

শনিবার জাতিসংঘে দেয়া ভার্চুয়াল ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

শনিবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দিনের প্রথমার্ধের শুরুর দিকে বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অধিবেশনে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। এসময় প্রায় প্রতিটি সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। করোনা মহামারির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে অধিবেশন কক্ষে একটি দেশের একজন প্রতিনিধিকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের বক্তৃতা অধিবেশনের বড় পর্দায় প্রদর্শিত হয়।

বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির কারণে জাতিসংঘের ৭৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বিশ্বের সর্বোচ্চ ফোরাম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভার্চুয়াল অধিবেশনে অংশ নিচ্ছেন। এ অধিবেশনের মূল পর্ব সাধারণ বিতর্কে শনিবার বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘে এটি শেখ হাসিনার ১৭তম ভাষণ। এরআগে ১৬ বার সশরীরে উপস্থিত হয়ে বিশ্বশান্তি ও সৌহার্দ্যরে ডাক দিয়েছেন তিনি। এবারই ব্যতিক্রম ঘটেছে। করোনা মহামারির কারণে বিশ্বের কোনো রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান নিউইয়র্কে যাননি। আগে ধারণ করা ভিডিওতে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্তৃতার একটি বড় অংশ জুড়ে ছিল করোনা পরিস্থিতি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোভিড-১৯ প্রমাণ করেছে, আমাদের সকলের ভাগ্য একই সূত্রে গাঁথা। আমরা কেউই সুরক্ষিত নই যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা সবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারছি। এই ভাইরাস আমাদের অনেকটাই ঘরবন্দি করে ফেলেছিল। যার ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পাশাপাশি আর্থনীতিক কর্মকা­ও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। বাংলাদেশে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮.২ শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ আমাদের এই অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করেছে।’

করোনা মহামারীর মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম থেকেই ‘জীবন ও জীবিকা’ দুই ক্ষেত্রেই সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, উৎপাদন যাতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন না হয়, তার জন্য সরকার বিভিন্ন প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিধি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ বিস্তারের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের জন্য আমরা তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তার ব্যবস্থা নিয়েছি। এতে ১০ মিলিয়নের বেশি পরিবার উপকৃত হয়েছেন। আমরা ৪ মিলিয়ন শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করেছি। করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, শ্রমিক ও দিনমজুরসহ ৫ মিলিয়ন মানুষকে নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছি। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গ্রাম পর্যায়ের প্রায় ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র হতে বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ দেওয়া হয়।’