ঢাকা ০৫:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




উত্তরায় ইউনিয়ন পরিষদের মদদে ইজিবাইক অটোরিকশায় চাঁদাবাজির 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১৮:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ ১৪১ বার পড়া হয়েছে

হাফিজুর রহমান শফিকঃ-
রাজধানী ঢাকায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও অটোরিকশা চলাচলে সরকারের অনুমতি নেই। কিন্তু উত্তরার দক্ষিণখান ও উত্তরখান যেন আইনের উর্ধ্বে, ইউনিয় পরিষদের প্রতক্ষ্য মদদে এখানে দেদার চলছে অবৈধ এই যানগুলো। অভিযোগ রয়েছে, মোটা অঙ্কের চাঁদার বিনিময়ে অবৈধ এ যানের বৈধতা দিচ্ছে বিমানবন্দর ট্রাফিক, থানা পুলিশ ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ। এদের কাছে অসহায় এসব পরিবহন মালিক ও চালকরা। স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতা-কর্মীও এর সঙ্গে জড়িত বলে সংশ্নিষ্টরা জানান।
দক্ষিণখান ও উত্তরখানের ৯টি রুটে চলাচল করছে ইজিবাইক ও অটোরিকশা। রুটগুলো হচ্ছে- বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের লেভেলক্রসিং থেকে দক্ষিণখান, তালতলা ও ডুমনি, বিমানবন্দর ট্রাফিক পুলিশ বক্স থেকে সিভিল এভিয়েশন কোয়ার্টার, খিলক্ষেত বাজার থেকে লেকসিটি, কসাইবাড়ী থেকে দক্ষিণখান বাজার ও ইউনিয়ন, জয়নাল মার্কেট থেকে দক্ষিণখান বাজার, আজমপুর থেকে উত্তরখান থানা এবং ময়নারটেক ও আবদুল্লাহপুর থেকে উত্তর খান। এসব রুটে অন্তত সাড়ে ৩ হাজার ইজিবাইক এবং অটোরিকশা চলে।
অভিযোগ রয়েছে, প্রতি ইজিবাইক থেকে প্রতিদিন ৮০-১০০ এবং প্রতি অটোরিকশা থেকে ৫০-৭০ টাকা আদায় করা হয়। এ ক্ষেত্রে পুলিশের হয়ে কাজ করে ‘লাইনম্যান’ নামে স্থানীয় একটি চক্র। মালিক-চালকদের দাবি, রাস্তায় চলাচলে বাধা না দেওয়ার বিনিময়ে বিমানবন্দর ট্রাফিক পুলিশকে প্রতি ইজিবাইকের জন্য ৩ হাজার ও প্রতি অটোরিকশার জন্য মাসিক দেড় হাজার টাকা ‘ফি’ দিতে হয়।
এ ব্যাপারে দক্ষিণখান জাতীয় শ্রমিক লীগের একজন নেতা সকালের সংবাদকে বলেন, ইজিবাইক ও অটোরিকশা থেকে প্রতিদিন চাঁদার ভাগ শ্রেণিমতো সবাই পাচ্ছেন। উত্তরার ছয় থানার কমিটির সুপারিশে গত তিন মাস ইজিবাইক ও অটোরিকশার লাইন পরিচালনা করা হতো।
তবে কিছু রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর মধ্যে চাঁদার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হওয়ায় লাইন ছেড়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে ইজিবাইক ও অটোরিকশার লাইন পরিচালনা করেন বিমানবন্দর থানা শ্রমিক লীগ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন শ্রমিক লীগের দায়িত্বশীল একটি পক্ষ।
ইজিবাইক-অটোরিকশা মালিক ও চালকরা অভিযোগ করেন- বিমানবন্দর ট্রাফিক, দক্ষিণখান থানা ও উত্তরখান থানা পুলিশকে চাঁদা না দিলে রাস্তায় ইজিবাইক ও অটোরিকশা নামাতে দেয় না। টাকা না দিলে নির্যাতনের শিকার হতে হয়। তারা আরও জানান, কিছু পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে স্থানীয় নেতা-কর্মীর যোগসাজশ রয়েছে। তারা মিলেমিশেই এই চাঁদার ভাগবাটোয়ারা করেন।
এ ব্যাপারে বিমানবন্দর ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) বলেন, দক্ষিণখান-উত্তরখান থানা এলাকায় ট্রাফিকের কোনো সদস্য নেই। সুতরাং এলাকায় ইজিবাইক ও অটোরিকশা থেকে চাঁদা নেওয়ার বিষয়টি তার জানা নেই। তবে রাস্তা থেকে আটক করে যাকার বিল বাবদ ১২০০ টাকা নেওয়া হয়। তিনি জানান, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত প্রায় ৪০০ ইজিবাইক ও অটোরিকশা আটক করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ কারণে মালিক ও চালকরা ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলতে পারেন।
এদিকে কম যায় না দক্ষিণখান ইউনিয়ন পরিষদ তারাই মুলত অবৈধ ইজিবাইকের বৈধতা দিয়েছে এবং এর বিনিময়ে বছরে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। আর অবৈধ এই ইজিবাইকের কারনে ঘনবসতিপূর্ণ এই এলাকাটির সড়কের চিত্র হযবরল।
সাধারণ মানুষ ও যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। লাইসেন্স দেওয়ার নামে প্রতি ইজিবাইক ও অটোরিকশা থেকে স্থানীয় সরকারের এই প্রতিষ্ঠান (ইউনিয়ন পরিষদ) দুটি আদায় করে বছরে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা করে। তবে ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ইজিবাইকের লাইসেন্স বাবদ আদায় করা টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয়। প্রশ্ন হলো যেই যানবাহন রাষ্ট্রীয় ভবে নিষিদ্ধ তার আবার রাজস্ব কি?
এ ব্যাপারে ট্রাফিক পুলিশের উত্তর বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, রাস্তায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও অটোরিকশা চলাচলে সরকারি অনুমোদন নেই। এসব গাড়িতে বিদ্যুতের অপচয় হয়। মাঝে মধ্যে এসব গাড়ি আটক করে ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয়। এলাকায় ইজিবাইক ও অটোরিকশা মালিক ও চালকের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়ার সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশ জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে একটি গোয়েন্দা দল কাজ করছে। দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, এলাকার জনসাধারণের একমাত্র চলাচলের বাহন হচ্ছে ইজিবাইক ও অটোরিকশা। এ জন্য হয়তো পুলিশ কিছু বলে না। তবে পুলিশের চাঁদা নেওয়ার বিষয়টি সত্যি নয়, আর এ ব্যাপারে কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগও নেই।
রাজধানীর উত্তরখান থানার ওসি বলেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ টাকার বিনিময়ে লাইসেন্স দেয় রাস্তায় ইজিবাইক ও অটোরিকশা চলাচলে। তবে এলাকায় ইজিবাইক ও অটোরিকশা চলাচলে সরকারের কোনো অনুমতি নেই। এসব পরিবহন থেকে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদা নেওয়ার সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




উত্তরায় ইউনিয়ন পরিষদের মদদে ইজিবাইক অটোরিকশায় চাঁদাবাজির 

আপডেট সময় : ০৩:১৮:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

হাফিজুর রহমান শফিকঃ-
রাজধানী ঢাকায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও অটোরিকশা চলাচলে সরকারের অনুমতি নেই। কিন্তু উত্তরার দক্ষিণখান ও উত্তরখান যেন আইনের উর্ধ্বে, ইউনিয় পরিষদের প্রতক্ষ্য মদদে এখানে দেদার চলছে অবৈধ এই যানগুলো। অভিযোগ রয়েছে, মোটা অঙ্কের চাঁদার বিনিময়ে অবৈধ এ যানের বৈধতা দিচ্ছে বিমানবন্দর ট্রাফিক, থানা পুলিশ ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ। এদের কাছে অসহায় এসব পরিবহন মালিক ও চালকরা। স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতা-কর্মীও এর সঙ্গে জড়িত বলে সংশ্নিষ্টরা জানান।
দক্ষিণখান ও উত্তরখানের ৯টি রুটে চলাচল করছে ইজিবাইক ও অটোরিকশা। রুটগুলো হচ্ছে- বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের লেভেলক্রসিং থেকে দক্ষিণখান, তালতলা ও ডুমনি, বিমানবন্দর ট্রাফিক পুলিশ বক্স থেকে সিভিল এভিয়েশন কোয়ার্টার, খিলক্ষেত বাজার থেকে লেকসিটি, কসাইবাড়ী থেকে দক্ষিণখান বাজার ও ইউনিয়ন, জয়নাল মার্কেট থেকে দক্ষিণখান বাজার, আজমপুর থেকে উত্তরখান থানা এবং ময়নারটেক ও আবদুল্লাহপুর থেকে উত্তর খান। এসব রুটে অন্তত সাড়ে ৩ হাজার ইজিবাইক এবং অটোরিকশা চলে।
অভিযোগ রয়েছে, প্রতি ইজিবাইক থেকে প্রতিদিন ৮০-১০০ এবং প্রতি অটোরিকশা থেকে ৫০-৭০ টাকা আদায় করা হয়। এ ক্ষেত্রে পুলিশের হয়ে কাজ করে ‘লাইনম্যান’ নামে স্থানীয় একটি চক্র। মালিক-চালকদের দাবি, রাস্তায় চলাচলে বাধা না দেওয়ার বিনিময়ে বিমানবন্দর ট্রাফিক পুলিশকে প্রতি ইজিবাইকের জন্য ৩ হাজার ও প্রতি অটোরিকশার জন্য মাসিক দেড় হাজার টাকা ‘ফি’ দিতে হয়।
এ ব্যাপারে দক্ষিণখান জাতীয় শ্রমিক লীগের একজন নেতা সকালের সংবাদকে বলেন, ইজিবাইক ও অটোরিকশা থেকে প্রতিদিন চাঁদার ভাগ শ্রেণিমতো সবাই পাচ্ছেন। উত্তরার ছয় থানার কমিটির সুপারিশে গত তিন মাস ইজিবাইক ও অটোরিকশার লাইন পরিচালনা করা হতো।
তবে কিছু রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর মধ্যে চাঁদার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হওয়ায় লাইন ছেড়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে ইজিবাইক ও অটোরিকশার লাইন পরিচালনা করেন বিমানবন্দর থানা শ্রমিক লীগ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন শ্রমিক লীগের দায়িত্বশীল একটি পক্ষ।
ইজিবাইক-অটোরিকশা মালিক ও চালকরা অভিযোগ করেন- বিমানবন্দর ট্রাফিক, দক্ষিণখান থানা ও উত্তরখান থানা পুলিশকে চাঁদা না দিলে রাস্তায় ইজিবাইক ও অটোরিকশা নামাতে দেয় না। টাকা না দিলে নির্যাতনের শিকার হতে হয়। তারা আরও জানান, কিছু পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে স্থানীয় নেতা-কর্মীর যোগসাজশ রয়েছে। তারা মিলেমিশেই এই চাঁদার ভাগবাটোয়ারা করেন।
এ ব্যাপারে বিমানবন্দর ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) বলেন, দক্ষিণখান-উত্তরখান থানা এলাকায় ট্রাফিকের কোনো সদস্য নেই। সুতরাং এলাকায় ইজিবাইক ও অটোরিকশা থেকে চাঁদা নেওয়ার বিষয়টি তার জানা নেই। তবে রাস্তা থেকে আটক করে যাকার বিল বাবদ ১২০০ টাকা নেওয়া হয়। তিনি জানান, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত প্রায় ৪০০ ইজিবাইক ও অটোরিকশা আটক করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ কারণে মালিক ও চালকরা ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলতে পারেন।
এদিকে কম যায় না দক্ষিণখান ইউনিয়ন পরিষদ তারাই মুলত অবৈধ ইজিবাইকের বৈধতা দিয়েছে এবং এর বিনিময়ে বছরে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। আর অবৈধ এই ইজিবাইকের কারনে ঘনবসতিপূর্ণ এই এলাকাটির সড়কের চিত্র হযবরল।
সাধারণ মানুষ ও যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। লাইসেন্স দেওয়ার নামে প্রতি ইজিবাইক ও অটোরিকশা থেকে স্থানীয় সরকারের এই প্রতিষ্ঠান (ইউনিয়ন পরিষদ) দুটি আদায় করে বছরে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা করে। তবে ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ইজিবাইকের লাইসেন্স বাবদ আদায় করা টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয়। প্রশ্ন হলো যেই যানবাহন রাষ্ট্রীয় ভবে নিষিদ্ধ তার আবার রাজস্ব কি?
এ ব্যাপারে ট্রাফিক পুলিশের উত্তর বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, রাস্তায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও অটোরিকশা চলাচলে সরকারি অনুমোদন নেই। এসব গাড়িতে বিদ্যুতের অপচয় হয়। মাঝে মধ্যে এসব গাড়ি আটক করে ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয়। এলাকায় ইজিবাইক ও অটোরিকশা মালিক ও চালকের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়ার সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশ জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে একটি গোয়েন্দা দল কাজ করছে। দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, এলাকার জনসাধারণের একমাত্র চলাচলের বাহন হচ্ছে ইজিবাইক ও অটোরিকশা। এ জন্য হয়তো পুলিশ কিছু বলে না। তবে পুলিশের চাঁদা নেওয়ার বিষয়টি সত্যি নয়, আর এ ব্যাপারে কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগও নেই।
রাজধানীর উত্তরখান থানার ওসি বলেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ টাকার বিনিময়ে লাইসেন্স দেয় রাস্তায় ইজিবাইক ও অটোরিকশা চলাচলে। তবে এলাকায় ইজিবাইক ও অটোরিকশা চলাচলে সরকারের কোনো অনুমতি নেই। এসব পরিবহন থেকে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদা নেওয়ার সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।