টাঙ্গাইলে করোনার রিপোর্ট জটিলতা, এক সপ্তাহেও মিলছে না ফল
- আপডেট সময় : ১১:৪০:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুন ২০২০ ৭৭ বার পড়া হয়েছে
নিয়মিত আসছে না টাঙ্গাইল থেকে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষার রির্পোট। গত ২৪ ঘন্টায় জেলা হতে ১৩৪টি প্রেরিত রির্পোটসহ মোট ৫৯৮টি নমুনা পরীক্ষার রির্পোট পেন্ডিং রয়েছে। নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পেন্ডিং থাকায় করোনা আক্রান্ত রোগী বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য সচেতন মহল।
মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাব চালুর ঘোষণা দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। অপরদিকে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য ল্যাব চালুর ঘোষণা দিলেও এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে টাঙ্গাইল জেলাবাসী নমুনা পরীক্ষার রির্পোট নিয়ে বিড়ম্বনা ও জটিলতায় পড়ছে।
টাঙ্গাইল থেকে প্রেরিত রির্পোট নমুনা পরীক্ষার রির্পোট ২৪ ঘন্টার মধ্যে যেন আসে সে জন্য জেলাবাসী স্বাস্থ্য বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছেন। বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট আইনজীবি, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ দ্রুত টাঙ্গাইলে করোনা পরীক্ষার ল্যাব স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন। এদিকে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় প্রেরণের কয়েকদিন পর রির্পোট আসায় করোনা শনাক্ত রোগীদের নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আরো আতঙ্ক বেড়ে যাচ্ছে।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা: মো. ওয়াহেদুজ্জামান জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ১৩৪টি নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ই জুন) নমুনা পরীক্ষার কোন রির্পোট আসেনি। জেলায় সর্বমোট ৫৯৮টি নমুনা পরীক্ষার রির্পোট পেন্ডিং রয়েছে।
তিনি আরো জানান, জেলায় সর্বমোট ৩২৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ১১৮ জন সুস্থ হয়েছেন। মোট ৬ জন মারা গেছে। জেলায় বর্তমানে ৮ জন বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ববধায়ক ডা: সদর উদ্দিন জানান, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে সর্বমোট ১৯ জন রোগী ভর্তি হয়। তাদের মধ্যে ১৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বর্তমানে ৩ জন ভর্তি রয়েছে।
এদিকে টাঙ্গাইলের ঝুঁকিপূর্ণ মির্জাপুর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড রেড জোন ও ১০ দিনের লকডাউন ঘোষনা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ৪৮ ঘন্টায় ১৮ জন শনাক্ত হওয়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকে লকডাউন এলাকায় সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগ লকডাউন সফল করতে কাজ করছে। মির্জাপুরে এ পর্যন্ত ৭৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।