ঢাকা ১০:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ




করোনা প্রতিরোধে অকুতোভয় যোদ্ধা মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:২৮:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুন ২০২০ ৯২ বার পড়া হয়েছে

এ এস এম সাইফুল্লাহ, মানিকগঞ্জঃ বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস নিস্তব্ধ ও অচল করে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। তারই ছোবলে আজ আতঙ্কে গৃহবন্দি বাংলাদেশের মানুষ। ইট পাথরের বৃহদাকার রাস্তাগুলো যেন প্রাণহীন। বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নেয়া মরণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমনে ও জীবনের ঝুকি নিয়ে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা
করোনা কালীন মানিকগঞ্জের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে স্বাভাবিক থাকলেও স্বস্তিতে নেই আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। বরং বিরামহীনভাবে চলছেন তাদের কর্মকান্ড। দেশের এমন সংকটময় মুহূর্তে গতানুগতিক আইন শৃংখলা রক্ষার পরিবর্তে তারা সামাজিক দূরত্ব ও কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতসহ মানবিক নানান কর্মকান্ডে ব্যস্ত রেখেছেন নিজেদেরকে।
আর এসবের নেতৃত্বে আছেন মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম। তারই অক্লান্ত প্রচেষ্টায় এখন পর্যন্ত মানিকগঞ্জ জেলায় কোন পুলিশ সদস্য কোডিভ-১৯ এ আক্রান্ত হননি।
আপনি ঘরে থাকুন, সচেতন থাকুন, নিজে বাঁচুন-পরিবার বাঁচান, দেশ বাঁচান। মাইক হাতে নিয়ে শহর থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলে গিয়ে এভাবেই মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছে জেলা পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশের শক্ত অবস্থানের জন্য রাজধানীর পাশের অন্যসব জেলার তুলনায় তুলনামূলক অনেকটাই নিশ্চিন্ত রাখতে পেরেছে মানিকগঞ্জ বাসীকে।
জেলা পুলিশ সদস্যদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের লক্ষে গঠন করা হয় মেডিকেল টিম। মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক পুলিশ সদস্যদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে মনিটরিং করেছে। প্রতিদিন প্রতিটি থানা, ফাঁড়ি, তদন্তকেন্দ্র, পুলিশ লাইন্স পরিদর্শন করেছেন।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সদস্যদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরই লক্ষ্যে ছয়টি ডাকবাংলো, শহরের দুটি হোটেল এবং পুলিশের একটি নতুন ভবন ব্যবহার করা হয়েছে।

করোনাকালীন সময়ে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশের কার্যক্রম :-
পুলিশ সদস্যদের মধ্য থেকে কেউ নতুন আসলে অথবা জরুরী প্রয়োজনে ছুটি গেলে তাকে বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে।
জেলার ৬৫টি ইউনিয়নে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, কমিউনিটি পুলিশিং এর সদস্য ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট হোম কোয়ারেন্টাইন তদারকী কমিটি গঠন করা হয়েছে। সরকারি মোবাইলে অনেকেই জরুরী ঔষধ বা খাদ্য সামগ্রী সহায়তা চাইলে, তাদের নাম-ঠিকানা গোপন রেখে দ্রæত ঔষধ ও খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেওয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




করোনা প্রতিরোধে অকুতোভয় যোদ্ধা মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার

আপডেট সময় : ০৬:২৮:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুন ২০২০

এ এস এম সাইফুল্লাহ, মানিকগঞ্জঃ বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস নিস্তব্ধ ও অচল করে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। তারই ছোবলে আজ আতঙ্কে গৃহবন্দি বাংলাদেশের মানুষ। ইট পাথরের বৃহদাকার রাস্তাগুলো যেন প্রাণহীন। বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নেয়া মরণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমনে ও জীবনের ঝুকি নিয়ে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা
করোনা কালীন মানিকগঞ্জের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে স্বাভাবিক থাকলেও স্বস্তিতে নেই আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। বরং বিরামহীনভাবে চলছেন তাদের কর্মকান্ড। দেশের এমন সংকটময় মুহূর্তে গতানুগতিক আইন শৃংখলা রক্ষার পরিবর্তে তারা সামাজিক দূরত্ব ও কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতসহ মানবিক নানান কর্মকান্ডে ব্যস্ত রেখেছেন নিজেদেরকে।
আর এসবের নেতৃত্বে আছেন মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম। তারই অক্লান্ত প্রচেষ্টায় এখন পর্যন্ত মানিকগঞ্জ জেলায় কোন পুলিশ সদস্য কোডিভ-১৯ এ আক্রান্ত হননি।
আপনি ঘরে থাকুন, সচেতন থাকুন, নিজে বাঁচুন-পরিবার বাঁচান, দেশ বাঁচান। মাইক হাতে নিয়ে শহর থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলে গিয়ে এভাবেই মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছে জেলা পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশের শক্ত অবস্থানের জন্য রাজধানীর পাশের অন্যসব জেলার তুলনায় তুলনামূলক অনেকটাই নিশ্চিন্ত রাখতে পেরেছে মানিকগঞ্জ বাসীকে।
জেলা পুলিশ সদস্যদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের লক্ষে গঠন করা হয় মেডিকেল টিম। মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক পুলিশ সদস্যদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে মনিটরিং করেছে। প্রতিদিন প্রতিটি থানা, ফাঁড়ি, তদন্তকেন্দ্র, পুলিশ লাইন্স পরিদর্শন করেছেন।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সদস্যদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরই লক্ষ্যে ছয়টি ডাকবাংলো, শহরের দুটি হোটেল এবং পুলিশের একটি নতুন ভবন ব্যবহার করা হয়েছে।

করোনাকালীন সময়ে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশের কার্যক্রম :-
পুলিশ সদস্যদের মধ্য থেকে কেউ নতুন আসলে অথবা জরুরী প্রয়োজনে ছুটি গেলে তাকে বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে।
জেলার ৬৫টি ইউনিয়নে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, কমিউনিটি পুলিশিং এর সদস্য ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট হোম কোয়ারেন্টাইন তদারকী কমিটি গঠন করা হয়েছে। সরকারি মোবাইলে অনেকেই জরুরী ঔষধ বা খাদ্য সামগ্রী সহায়তা চাইলে, তাদের নাম-ঠিকানা গোপন রেখে দ্রæত ঔষধ ও খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেওয়া হয়েছে।