ঢাকা ০৯:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo জামিনে মুক্ত রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদ Logo স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির রাঘব বোয়াল বায়ো ট্রেড ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িত ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা রাব্বি লাপাত্তা Logo বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ Logo আওয়ামী দোসর মিডিয়া পুনর্বাসনকারী নেতাদের অবাঞ্ছিত করার দাবি বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিকদের Logo ফায়ার সার্ভিসের মহানুভবতায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমন্বয়কদের কৃতজ্ঞতা Logo সোনা চোরাকারবারি দিলীপের সংবাদ প্রকাশ করায় সম্পাদক সহ সাংবাদিককে হত্যার হুমকি Logo সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দোসর ফায়ার সার্ভিস আনোয়ারের দুর্নীতি: ডিজিকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য! Logo আশা ইউনিভার্সিটিতে বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের জন্য দোয়া ও মিলাদ Logo বিদ্যুৎ খাতে লুটপাটের মাফিয়া অর্থ পাচারকারী শিহাব কোথায়?




ইতালিতে করোনা আঁধার বিলিনের পথে উঁকি দিচ্ছে আশার আলো

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:২৭:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মে ২০২০ ১০৭ বার পড়া হয়েছে

তুহিন মাহামুদ ইউরোপ ব্যুরোঃ

ইতালিতে ক্রমশ শ্লথ হয়ে আসছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা এবং দীর্ঘ হচ্ছে সূস্হতার তালিকা।জনমনে নেমে এসেছে শান্তির বারতা।হতাশার মেঘ একটু একটু করে সরে যাচ্ছে। উঁকি দিচ্ছে আশার আলো। চঞ্চলতা ফিরে এসেছে নাগরিক জীবনে।কর্মস্হলে ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবি মানুষ। মানুষের মনে স্বস্হি ফিরে এসেছে।ইতালি আবার স্বাভাবিক পর্যায় ফিরে যাবে সে ঈঙ্গিতই দিচ্ছে করোনার ক্রমশ উন্নতির দিকটা।

এদিকে সোমবার বিকালে মিলানে নিজ বাসভবনে ফিরে এসেছে সিলভিয়া রোমানো।তার আগমনে মিলানবাসী উৎফুল্ল।শতশত মানুষের ভীড় দেখা গেছে তাকে ঘিরে আর তিনি প্রশ্নের জবাবে একটি কথাই বলছেন,আমি ভালো আছি।হিজাব এবং মুসলিম পরিধানরত অবস্হায় তিনি ইতালির বিমানবন্দরে নেমেঢ়েন এবং বাসায় প্রবেশ করেছেন।সবুজ পোষাক পরিহিতা সিলভিয়া রোমানে বন্দি থাকা অবস্থায় মুসলিম ধর্ম গ্রহন করেন।

২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর কেনিয়া থেকে অপহৃত হন এবং আঠারো মাস পর সোমসলিয়ার চাকামা গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার করা হয় এবং ১০ মে রবিবার ইতালি একটি বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।

ইতালির পরিস্হিতি দিন দিন উন্নতির দিকে কমতে শুরু করেছে আকান্তের সংখ্যা। সোমবার সূস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছে এক হাজার ৪০১ জন এবং প্রাণহানি ঘটেছে ১৭৯ জনের। এ নিয়ে মোট মৃত্যু ঘটেছে ত্রিশ হাজার ৭৩৯ জন। এদিন নতুন আক্রান্ত ৭৪৪ জন। দেশটিতে গুরুতর অসূস্থ্য রোগীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। গুরুতর অসূস্থ্য রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে নেমে এসেছে। গুরুতর অসূস্থ্য রোগীর সংখ্যা ৯৯৯ জন। মোট চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৮২ হাজার ৪৮৮ জন এবং দেশটিতে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দুই লাখ ১৯ হাজার ৮১৪ জন বলে জানিয়েছেন নাগরিক সূরক্ষা সংস্থা।

দেশটির সূরক্ষা দিতে সরকার করোনা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও তারা জানান। ফলে এ পর্যন্ত চিকিৎসা শেষে সূস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছে এক লক্ষ ছয় হাজার ৫৮৭ জন।

ইতালির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্হ লোম্বারদিয়া রেজিওনে।গত ২৪ঘন্টায় এখানে আক্রান্ত হয়েছে ৩৬৪ জন এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮১৮৭১জন। মৃত্যু ঘটেছে গত ২৪ ঘন্টায় ৬৮ জন এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৫,০৫৪১জন। মিলানে ১ দিনে আক্রান্ত ১১৪ জন মোট আক্রান্ত ২১৪৯০জন,মিলান শহর ৫২ জন মোট আক্রান্ত ৯০৭১, বেরগামো ১১,৭৯১+!৫০,ব্রেশিয়া১৩৬২০+৭০ কোমো ৩৫০৪+৮কেরেমোনা ৬২৫০+২লেক্কো২৫৩৬+৫০,লোদি৩২৭৭+৬মোনছা ব্রিয়ানছা৫০৭৪+১৯পাভিয়া ৪৮০১+২৪ ভারেজে ৩১৯৬+১৪ করোনার বিষাক্ত ছোবলে দেশটি যেন এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুতে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইতালি। লকডাউনের কারণে দেশটির অর্থনীতি ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়েছে। এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতেই লকডাউন শিথিল করা হয়েছে এবং লোকজন কাজে ফিরতে শুরু করেছে। লকডাউন শিথিলের দ্বিতীয় ধাপে ৪ মে থেকে উৎপাদন শিল্প, নির্মাণ খাত ও পাইকারি দোকান পুনরায় চালু করা হয়েছে। আপাতত সীমিত আকারে খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিশেষ করে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে খাবারের হোম ডেলিভারি আরও বৃদ্ধি করতে চায় সরকার।

তবে অবশ্যই মাক্স, হাতমুজা এবং নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে সব কিছুই করতে হবে। আগের মত অনেকটা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবেন, তবে এক শহর থেকে অন্য শহরে যেতে স্ব-ঘোষিত সার্টিফিকেট সাথে থাকতে হবে।
এদিকে চিকিৎসা সেবা দিতে যেয়ে ১৬০ জন ডাক্তারের মৃত্যু ঘটেছে।

পৃথিবীর ২১০ দেশে এ যাবত আক্রান্তর সংখ্যা ৪,২৩৫,২৪১ জন, এরমধ্যে মৃত্যু ঘটেছে ২৮৫,৯৪৬জন এবং সূস্হ্যতা লাভ করছে ১,৫১৯,০৯৫জন।

এরমধ্যে আটটি দেশে আক্রান্তের সংখ্যা শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ইতালিতে করোনা আঁধার বিলিনের পথে উঁকি দিচ্ছে আশার আলো

আপডেট সময় : ০৯:২৭:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মে ২০২০

তুহিন মাহামুদ ইউরোপ ব্যুরোঃ

ইতালিতে ক্রমশ শ্লথ হয়ে আসছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা এবং দীর্ঘ হচ্ছে সূস্হতার তালিকা।জনমনে নেমে এসেছে শান্তির বারতা।হতাশার মেঘ একটু একটু করে সরে যাচ্ছে। উঁকি দিচ্ছে আশার আলো। চঞ্চলতা ফিরে এসেছে নাগরিক জীবনে।কর্মস্হলে ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবি মানুষ। মানুষের মনে স্বস্হি ফিরে এসেছে।ইতালি আবার স্বাভাবিক পর্যায় ফিরে যাবে সে ঈঙ্গিতই দিচ্ছে করোনার ক্রমশ উন্নতির দিকটা।

এদিকে সোমবার বিকালে মিলানে নিজ বাসভবনে ফিরে এসেছে সিলভিয়া রোমানো।তার আগমনে মিলানবাসী উৎফুল্ল।শতশত মানুষের ভীড় দেখা গেছে তাকে ঘিরে আর তিনি প্রশ্নের জবাবে একটি কথাই বলছেন,আমি ভালো আছি।হিজাব এবং মুসলিম পরিধানরত অবস্হায় তিনি ইতালির বিমানবন্দরে নেমেঢ়েন এবং বাসায় প্রবেশ করেছেন।সবুজ পোষাক পরিহিতা সিলভিয়া রোমানে বন্দি থাকা অবস্থায় মুসলিম ধর্ম গ্রহন করেন।

২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর কেনিয়া থেকে অপহৃত হন এবং আঠারো মাস পর সোমসলিয়ার চাকামা গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার করা হয় এবং ১০ মে রবিবার ইতালি একটি বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।

ইতালির পরিস্হিতি দিন দিন উন্নতির দিকে কমতে শুরু করেছে আকান্তের সংখ্যা। সোমবার সূস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছে এক হাজার ৪০১ জন এবং প্রাণহানি ঘটেছে ১৭৯ জনের। এ নিয়ে মোট মৃত্যু ঘটেছে ত্রিশ হাজার ৭৩৯ জন। এদিন নতুন আক্রান্ত ৭৪৪ জন। দেশটিতে গুরুতর অসূস্থ্য রোগীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। গুরুতর অসূস্থ্য রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে নেমে এসেছে। গুরুতর অসূস্থ্য রোগীর সংখ্যা ৯৯৯ জন। মোট চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৮২ হাজার ৪৮৮ জন এবং দেশটিতে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দুই লাখ ১৯ হাজার ৮১৪ জন বলে জানিয়েছেন নাগরিক সূরক্ষা সংস্থা।

দেশটির সূরক্ষা দিতে সরকার করোনা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও তারা জানান। ফলে এ পর্যন্ত চিকিৎসা শেষে সূস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছে এক লক্ষ ছয় হাজার ৫৮৭ জন।

ইতালির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্হ লোম্বারদিয়া রেজিওনে।গত ২৪ঘন্টায় এখানে আক্রান্ত হয়েছে ৩৬৪ জন এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮১৮৭১জন। মৃত্যু ঘটেছে গত ২৪ ঘন্টায় ৬৮ জন এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৫,০৫৪১জন। মিলানে ১ দিনে আক্রান্ত ১১৪ জন মোট আক্রান্ত ২১৪৯০জন,মিলান শহর ৫২ জন মোট আক্রান্ত ৯০৭১, বেরগামো ১১,৭৯১+!৫০,ব্রেশিয়া১৩৬২০+৭০ কোমো ৩৫০৪+৮কেরেমোনা ৬২৫০+২লেক্কো২৫৩৬+৫০,লোদি৩২৭৭+৬মোনছা ব্রিয়ানছা৫০৭৪+১৯পাভিয়া ৪৮০১+২৪ ভারেজে ৩১৯৬+১৪ করোনার বিষাক্ত ছোবলে দেশটি যেন এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুতে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইতালি। লকডাউনের কারণে দেশটির অর্থনীতি ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়েছে। এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতেই লকডাউন শিথিল করা হয়েছে এবং লোকজন কাজে ফিরতে শুরু করেছে। লকডাউন শিথিলের দ্বিতীয় ধাপে ৪ মে থেকে উৎপাদন শিল্প, নির্মাণ খাত ও পাইকারি দোকান পুনরায় চালু করা হয়েছে। আপাতত সীমিত আকারে খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিশেষ করে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে খাবারের হোম ডেলিভারি আরও বৃদ্ধি করতে চায় সরকার।

তবে অবশ্যই মাক্স, হাতমুজা এবং নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে সব কিছুই করতে হবে। আগের মত অনেকটা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবেন, তবে এক শহর থেকে অন্য শহরে যেতে স্ব-ঘোষিত সার্টিফিকেট সাথে থাকতে হবে।
এদিকে চিকিৎসা সেবা দিতে যেয়ে ১৬০ জন ডাক্তারের মৃত্যু ঘটেছে।

পৃথিবীর ২১০ দেশে এ যাবত আক্রান্তর সংখ্যা ৪,২৩৫,২৪১ জন, এরমধ্যে মৃত্যু ঘটেছে ২৮৫,৯৪৬জন এবং সূস্হ্যতা লাভ করছে ১,৫১৯,০৯৫জন।

এরমধ্যে আটটি দেশে আক্রান্তের সংখ্যা শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে।