করোনা : ইতালিতে ২৪ ঘন্টায় সুস্থ ২ হাজার ৩১১

- আপডেট সময় : ১১:৪০:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ এপ্রিল ২০২০ ১৩১ বার পড়া হয়েছে

তুহিন মাহামুদ, ইউরোপ ব্যুরো : করোনা ভাইরাসে সারা বিশ্ব আতঙ্কিত। চিনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটি ইতালির বেরগামো শহরে আঘাত হানলেও এখন গোটা ইতালি জুড়ে এর বিষাক্ত ছোবলে দিন দিন মৃত্যুর সারিতে যোগ হচ্ছে লাশের সংখ্যা।প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা কমছে এবং বাড়ছে।গত কয়েক দিন ধরে মৃত্যুর সংখ্যা এবং আক্রান্ত সংখ্যা বাড়ার পর আজ আবার কিছুটা কমেছে।
মৃত্যু সংখ্যা কিছুটা কমাতে আশার আলো দেখছে ইতালির ছয় কোটি মানুষ।বুধবার (২৯ এপ্রিল ) মৃত্যুবরণ করেছে ৩২৩ জন।গতকাল মঙ্গলবার এ সংখ্যা ছিলো ৩৮২ জন।জনগণকে সুরক্ষা দিতে ইতালি সরকার করোনা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।এ নিয়ে ইতালিতে মোট মৃত্যুবরণ করেছে ২৭ হাজার ৬৮২ জন।
গত কয়েকদিনে রেকর্ড সংখ্যাক লোক সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছে।আজও এ সংখ্যা অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছে ২ হাজার ৩১১ জন।
একদিনে নতুন আক্রান্ত ২ হাজার ৮৬ জন। । দেশটিতে গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে।গুরুতর অসুস্থ রোগির সংখ্যা ১ হাজার ৭৯৫জন। যা গতকালের চেয়ে ৬৮ জন কম।মোট চিকিৎসাধীন রুগির সংখ্যা এক লক্ষ ৪ হাজার ৬৫৭ জন এবং দেশটিতে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দুই লাখ ৩ হাজার ৫৯১ জন বলে জানিয়েছেন নাগরিক সুরক্ষা সংস্থার প্রধান অ্যাঞ্জেলো বোরেল্লি। তিনি বলেন, জনগণকে সুরক্ষা দিতে সরকার করোনা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে। ফলে এ পর্যন্ত চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৭১ হাজার ২৫২ জন।
ইতালির ২১ অঞ্চলের মধ্যে লোম্বারদিয়ায় করোনার সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত (মিলান, বেরগামো, ব্রেসিয়া, ক্রেমনাসহ) ১১টি প্রদেশ। আজ এ অঞ্চলে মারা গেছে ১০২ জন।শুধু এ অঞ্চলেই মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১৩ হাজার ৬৭৯ জনে দাঁড়িয়েছে।এ অঞ্চলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫ হাজার ১৩৪ জন । আজ মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮৬ জন ।গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৮৬৪ জন।
এদিকে ইতালিতে লকডাউন শিথিলের অংশ হিসেবে দেশটিতে ৪ মে থেকে উৎপাদন শিল্প, নির্মাণ খাত ও পাইকারি দোকান পুনরায় চালুর প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে।তবে আপাতত সীমিত আকারে খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।তিনি আরো বলেন যে ইতালিকে ভালোবাসে,সে অবশ্যই সমস্থ বিধিনিষেধ মেনে চলবে।তিনি আবারও বলেন
অবশ্যই মাক্স ব্যবহার করতে হবে এবং নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখতে হবে। আগের মত অনেকটা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবেন তবে এক শহর থেকে অন্য শহরে যেতে স্ব ঘোষিত-সার্টিফিকেট সাথে থাকতে হবে।এদিকে দেশের সুপারসপ গুলোতে প্রতিটা মাক্সের দাম ৫০ সেন্ট করে ধার্য করা হয়েছে।
তৃতীয় ধাপে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝা-মাঝিতে স্কুল খোলার কথা রয়েছে।তবে আগামি ২০২১ সালের মাঝামাঝিতে স্বাভাবিক গতি ফিরে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।