ঢাকা ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




বিশ্বকাপ পিছিয়ে গেলে বাংলাদেশের লাভ: ডমিঙ্গো

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৯:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২০ ১০২ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক | 

দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের খেলাধুলা। করোনাভাইরাস থেকে কবে মুক্তি হবে, কবে আবার মাঠের দরজা খুলবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এমন অবস্থায় খেলোয়াড়রা যেমন ঘরবন্দী, কোচদেরও অবস্থা একই।

করোনার কল্যাণে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা দীর্ঘদিন পর অনাকাঙ্ক্ষিত ছুটি পেয়েছেন অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য। কোচরাও অবস্থান করছেন যে যার বাড়িতে।
টাইগারদের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোও চলে গেছেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। দেশে পৌঁছে ছিলেন কোয়ারেন্টিনে। তবে খোঁজ রেখেছেন শিষ্যদের। অনেকের সঙ্গে যোগাযোগও করছেন এই সময়ে।
যোগাযোগ যতই হোক ফোনে কিংবা মেইলে, দায়িত্ব যখন নিজের কাঁধে দুশ্চিন্তা তো থাকবেই। তবে এই দেখে ডমিঙ্গো খুশি হয়েছেন যে টাইগাররা ফিটনেস ঠিক রাখতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। যেমনটা বলছিলেন শিষ্যদের নিয়ে আরটিভি অনলাইনকে।
‘দেখুন, আমি মনে করি খেলোয়াড়দের উচিত সবসময় নিজেদের ফিট রাখার চেষ্টা করা। বিভিন্ন সময়ে ওদের দেখি নিজেদের তাগিদে সেশন বাই সেশন শরীর চর্চা করছেন। সেক্ষেত্রে তাদের শারীরিক ফিটনেস বজায় রাখার চেষ্টা থাকা প্রয়োেজন৷’
লকডাউনের এই সময়টায় খেলা না থাকলেও ক্রিকেটাররা সময় পেয়েছে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর। এটাকে মানসিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবেও দেখছেন টাইগার কোচ। তবে আছে দুশ্চিন্তাও।
‘এসময়ে তারা নিজেদের মানসিকভাবে প্রস্তুতিরও সুযোগ পেয়েছেন৷ লকডাউনের ভেতর খেলোয়াড়দের কিছু মানসিক ব্যাপারও আছে। তারা এখন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছে ঠিকই তবে লম্বা সময় ক্রিকেটের সঙ্গে না থাকা খেলোয়াড়দের নিয়ে একজন কোচের দুশ্চিন্তাও কম না।’
করোনা বিপর্যয়ের ঠিক আগেই শেষ হয়েছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ। এই সিরিজেই ঘরের মাঠে টাইগারদের সফল ওয়ানডে অধিনায়ক ইতি টানেন তার অধিনায়ক ক্যারিয়ারের। এরপরই ওয়ানডে অধিনায়কের দায়িত্ব উঠেছে।
একজন ওপেনার ব্যাটসম্যান হয়ে তামিম কতটা পারবেন অধিনায়কের দায়িত্ব সামলাতে? এ নিয়ে অবশ্য ভাবছেন না রাসেল ডমিঙ্গো। কোচ আশাবাদী, তামিম ঠিকই সামলে নেবে দারুণভাবে।
‘অনেকে আছেন যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অধিনায়কত্বের পাশাপাশি টেস্ট ও ওয়ানডেতে দলের হয়ে ওপেনিংয়ে ব্যাট করেছেন। এছাড়া গ্রায়েম স্মিথ ১২ বছর ধরে অধিনায়ক হিসেবে ওপেনিংয়ে ব্যাটিং করেছেন। আশা করি তামিমেরও কোনও সমস্যা হবে না। অ্যালিস্টার কুকও দায়িত্ব নিয়ে অনেক দিন ধরে খেলেছেন এবং অনেকেই দীর্ঘ সময় ধরে এটি করছেন। সুতরাং এ নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।’
ওয়ানডে তো গেল, চলতি বছরের অক্টোবরে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যেখানে দেশসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসানের কোনো বিকল্প নেই।
সূচি অনুযায়ী যদি অক্টোবরে বিশ্বকাপ শুরু হয় সেক্ষেত্রে এক বছরের নিষেধাজ্ঞায় থাকা সাকিব শুরুর কয়েকটা ম্যাচ মিস করতে পারেন। তবে ডমিঙ্গো আশা করছেন, পিছিয়ে যাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেক্ষেত্রে লাভটা হবে বাংলাদেশেরই।
‘দেখে মনে হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়সূচি পুনরায় নির্ধারণ করা হতে পারে৷ পিছিয়ে গেলে সাকিবকে গোটা টুর্নামেন্টেই পাব আমরা। তবে অক্টোবরে খেলা হলে আমরা তাকে পাচ্ছি না।’
ডমিঙ্গো মনে করিয়ে দিলেন লকডাউন শেষে দ্রুত আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন না করার। এক্ষেত্রে ম্যাচ খেলতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন ক্রিকেটাররা। সময়সূচিতে অন্তত চার সপ্তাহ সময় দিতে হবে খেলোয়াড়দের।
‘আমি মনে করি না, এতো দ্রুত ম্যাচ খেলার প্রয়োজন আছে। ছেলেদের এই সময়ের পর খেলায় ফিরতে অন্তত চার সপ্তাহ সময় লাগবে৷ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমি মনে করি, যদি সরাসরি খেলতে নামি তবে আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে পারব না। সুতরাং, সঠিক অবস্থান ফিরে পেতে আমাদের সকলের এই সময়টা প্রয়োজন।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বিশ্বকাপ পিছিয়ে গেলে বাংলাদেশের লাভ: ডমিঙ্গো

আপডেট সময় : ০৯:৩৯:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২০

অনলাইন ডেস্ক | 

দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের খেলাধুলা। করোনাভাইরাস থেকে কবে মুক্তি হবে, কবে আবার মাঠের দরজা খুলবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এমন অবস্থায় খেলোয়াড়রা যেমন ঘরবন্দী, কোচদেরও অবস্থা একই।

করোনার কল্যাণে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা দীর্ঘদিন পর অনাকাঙ্ক্ষিত ছুটি পেয়েছেন অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য। কোচরাও অবস্থান করছেন যে যার বাড়িতে।
টাইগারদের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোও চলে গেছেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। দেশে পৌঁছে ছিলেন কোয়ারেন্টিনে। তবে খোঁজ রেখেছেন শিষ্যদের। অনেকের সঙ্গে যোগাযোগও করছেন এই সময়ে।
যোগাযোগ যতই হোক ফোনে কিংবা মেইলে, দায়িত্ব যখন নিজের কাঁধে দুশ্চিন্তা তো থাকবেই। তবে এই দেখে ডমিঙ্গো খুশি হয়েছেন যে টাইগাররা ফিটনেস ঠিক রাখতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। যেমনটা বলছিলেন শিষ্যদের নিয়ে আরটিভি অনলাইনকে।
‘দেখুন, আমি মনে করি খেলোয়াড়দের উচিত সবসময় নিজেদের ফিট রাখার চেষ্টা করা। বিভিন্ন সময়ে ওদের দেখি নিজেদের তাগিদে সেশন বাই সেশন শরীর চর্চা করছেন। সেক্ষেত্রে তাদের শারীরিক ফিটনেস বজায় রাখার চেষ্টা থাকা প্রয়োেজন৷’
লকডাউনের এই সময়টায় খেলা না থাকলেও ক্রিকেটাররা সময় পেয়েছে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর। এটাকে মানসিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবেও দেখছেন টাইগার কোচ। তবে আছে দুশ্চিন্তাও।
‘এসময়ে তারা নিজেদের মানসিকভাবে প্রস্তুতিরও সুযোগ পেয়েছেন৷ লকডাউনের ভেতর খেলোয়াড়দের কিছু মানসিক ব্যাপারও আছে। তারা এখন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছে ঠিকই তবে লম্বা সময় ক্রিকেটের সঙ্গে না থাকা খেলোয়াড়দের নিয়ে একজন কোচের দুশ্চিন্তাও কম না।’
করোনা বিপর্যয়ের ঠিক আগেই শেষ হয়েছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ। এই সিরিজেই ঘরের মাঠে টাইগারদের সফল ওয়ানডে অধিনায়ক ইতি টানেন তার অধিনায়ক ক্যারিয়ারের। এরপরই ওয়ানডে অধিনায়কের দায়িত্ব উঠেছে।
একজন ওপেনার ব্যাটসম্যান হয়ে তামিম কতটা পারবেন অধিনায়কের দায়িত্ব সামলাতে? এ নিয়ে অবশ্য ভাবছেন না রাসেল ডমিঙ্গো। কোচ আশাবাদী, তামিম ঠিকই সামলে নেবে দারুণভাবে।
‘অনেকে আছেন যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অধিনায়কত্বের পাশাপাশি টেস্ট ও ওয়ানডেতে দলের হয়ে ওপেনিংয়ে ব্যাট করেছেন। এছাড়া গ্রায়েম স্মিথ ১২ বছর ধরে অধিনায়ক হিসেবে ওপেনিংয়ে ব্যাটিং করেছেন। আশা করি তামিমেরও কোনও সমস্যা হবে না। অ্যালিস্টার কুকও দায়িত্ব নিয়ে অনেক দিন ধরে খেলেছেন এবং অনেকেই দীর্ঘ সময় ধরে এটি করছেন। সুতরাং এ নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।’
ওয়ানডে তো গেল, চলতি বছরের অক্টোবরে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যেখানে দেশসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসানের কোনো বিকল্প নেই।
সূচি অনুযায়ী যদি অক্টোবরে বিশ্বকাপ শুরু হয় সেক্ষেত্রে এক বছরের নিষেধাজ্ঞায় থাকা সাকিব শুরুর কয়েকটা ম্যাচ মিস করতে পারেন। তবে ডমিঙ্গো আশা করছেন, পিছিয়ে যাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেক্ষেত্রে লাভটা হবে বাংলাদেশেরই।
‘দেখে মনে হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়সূচি পুনরায় নির্ধারণ করা হতে পারে৷ পিছিয়ে গেলে সাকিবকে গোটা টুর্নামেন্টেই পাব আমরা। তবে অক্টোবরে খেলা হলে আমরা তাকে পাচ্ছি না।’
ডমিঙ্গো মনে করিয়ে দিলেন লকডাউন শেষে দ্রুত আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন না করার। এক্ষেত্রে ম্যাচ খেলতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন ক্রিকেটাররা। সময়সূচিতে অন্তত চার সপ্তাহ সময় দিতে হবে খেলোয়াড়দের।
‘আমি মনে করি না, এতো দ্রুত ম্যাচ খেলার প্রয়োজন আছে। ছেলেদের এই সময়ের পর খেলায় ফিরতে অন্তত চার সপ্তাহ সময় লাগবে৷ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমি মনে করি, যদি সরাসরি খেলতে নামি তবে আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে পারব না। সুতরাং, সঠিক অবস্থান ফিরে পেতে আমাদের সকলের এই সময়টা প্রয়োজন।’