মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার একটি ঘোষণার অপেক্ষায় সাংবাদিকরা
- আপডেট সময় : ১০:১৬:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২০ ১৪৬ বার পড়া হয়েছে
সমীরণ রায়;
সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাসের কারণে বৈশ্বিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। এর প্রভাব থেকে মুক্ত হতে পারেনি বাংলাদেশও। এরই প্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রনোদনা ঘোষণা করেছেন বিভিন্ন সেক্টরে।কিন্তু সাংবাদিকদের জন্য ধন্যবাদ ছাড়া আর কোনো প্রনোদনা দেননি প্রধানমন্ত্রী। এতে সাংবাদিক সমাজের মধ্যে এক ধরণের হতাশা দেখা দিয়েছে। আমার কাছে সম্প্রতি কয়েকজন সাংবাদিক তাদের সংসারে যে দারিদ্র্যতা দেখা দিয়েছে, তা ফোনে জানিয়েছেন। কিন্তু আমি অসহায়ের মতো চাপা কান্নাগুলো কান পেতে শুনেছি।শুধু সান্তনার বানী দিয়েছি। আর বলেছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিক বান্ধব। তাই একটু অপেক্ষা করুণ আপনাদের জন্য অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী কিছু একটা করবেন।
সম্প্রতি একজন সাংবাদিক বলেছেন, তাদের অফিসে বেতন দেয়া হয়নি। বরং পত্রিকাটি সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকি কবে নাগাদ বেতন দেয়া হবে তাও বলেনি কর্তৃপক্ষ। তিনি বলছিলেন, তার ছেলে-মেয়ে নিয়ে এখন কি করবেন। সংসার চলবে কি করে? এমন কথা শুনে আমার চোখে জল এসেছিলো। কিন্তু কিছুই বলতে পারিনি। কারণ আমিও একজন ছাপোষা সাংবাদিক।মাস শেষে যে বেতন পাই তাই দিয়ে সংসার চলে। এই পরিস্থিতি যদি আমারও হয় (বেতন বন্ধ হয়ে যায়), তাহলে সংসার চলবে কি করে? এমন আশঙ্কা আমার মধ্যেও কাজ করছে। তারপরেও যেহেতু সাংবাদিকদের বৃহত্তর সংগঠন ‘মক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিচল’ ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নে (ডিইউজে) পর পর দুই বার নির্বাচন করেছি। এই সংগঠনটিকে মনে প্রাণে ভালোবাসি। সংগঠনটির সদস্যরা আমার প্রাণ। তাই তাদের কথা না ভেবে পারছি না।নিজের কথা ভাববার আগেই তাদের কথা মনে পরে। কারণ সংগঠনটির অনেক সদস্যই দিন আনেন দিন খান।তাদের কি হবে। ছেলে-মেয়ের মুখে খাবার তুলে দেবেন কিভাবে?
আমার জানা মতে, সাংবাদিকদের সংগঠন বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) নেতারা মাননীয় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ২০ কোটি টাকার একটি প্রনোদনার জন্য আবেদন করেছেন।ইতোমধ্যে বিএফইউজের মহাসচিব জনাব শাবান মাহমুদও একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেছেন, খুব শিগগিরই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আগামী সপ্তাহে সাংবাদিকদের জন্য একটি ঘোষণা আসতে পারে। এতে কিছুটা হলে আশার আলো দেখছি।তারপরেও বলছি, অনেক পত্রিকা, টেলিভিশন ও অনলাইন পত্রিকায় বেতন হয়নি। কবে নাগাদ হবে, তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনার কাছে আমার আবেদন, এই করোনা সংকটে সাংবাদিকদের জন্য কিছু একটা করুণ। সাংবাদিকরা তাদের কষ্টের কথা সম্মানের দিক তাকিয়ে বলতে পারছেন না। দেশের সব শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা মাঠে নামতে পারেন বেতনের দাবিতে। এমনকি তাদের দাবি লেখনির মাধ্যমে জাতির কাছে তুলে ধরেন সাংবাদিকরা। শুধু তাই না, সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডও তুলে ধরেন সাংবাদিকরা।যেহেতু একটি রাষ্ট্রের সংবাদপত্র চতুর্থ স্তম্ভ। তাই সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা বাচিয়ে রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি কিছু একটা করুন। আপনার একটি ঘোষণার অপেক্ষায় সাংবাদিকরা।