ঢাকা ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ছড়ানো গুজবে সয়লাব Logo সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে Logo জবিতে আজীবন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo শাবিতে হল প্রশাসনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নোটিসে জোর পূর্বক সাইন আদায় Logo এবার সামনে আসছে ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারীদের মারধরের আরো ঘটনা Logo আবাসিক হল ছাড়ছে শাবি শিক্ষার্থীরা Logo নিরাপত্তার স্বার্থে শাবি শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড সাথে রাখার আহবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের Logo জনস্বাস্থ্যের প্রধান সাধুর যত অসাধু কর্ম: দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ! Logo বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখা যুগ্ম পরিচালক আলমগীরের দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য  Logo রাজশাহীতে এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটনকে হয়রানিমূলক মামলায় বএিমইউজরে নিন্দা ও প্রতিবাদ




ভোলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৯:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ এপ্রিল ২০২০ ৬২ বার পড়া হয়েছে

ভোলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিমরানের বিরুদ্ধে।রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ভোলার খেয়া ঘাট নামক জায়গায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ক্ষোভ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদশ অনলাইন প্রেসক্লাবের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান শফিক, ভোলা জেলা অনলাইন প্রেসক্লাব সভাপতি তুহিন খন্দকার ও সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার এবং মিজানুর রহমান সহ সর্বস্থরের সাংবাদিক মহল।নিন্দা জানিয়ে তারা বলেন, ওই ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা করা হবে এবং প্রশাসনের সকল প্রকার সংবাদ বর্জন করা হবে।

জানা যায়, ওই ম্যাজিস্ট্রেট ভোলা (শিক্ষানবিশ) সহকারী কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন।

লাঞ্ছনার শিকার সাংবাদিকরা জানান, তারা বিশ্বে মহামারী আকার ধারণ করা ভাইরাস করানোর (কোভিড-১৯) মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে বরিশাল হয়ে ট্রলার ও স্পিডবোটে করে ভোলার ভেদুরিয়া দিয়ে লোক ভোলায় প্রবেশ করছে এমন তথ্য পেয়ে নিউজ কাভারেজ করে ভোলায় ফিরে আসার পথে ভোলা খেয়া ঘাট নামক জায়গায় তাদের মোটরসাইকেল দাঁড় করায় ওই ম্যাজিস্ট্রেট। এবং গণমাধ্যমকর্মী পরিচয় দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ম্যাজিস্ট্রেট জিমরান। পরে মোটরসাইকেলে দুজন থাকায় তাদেরকে মোটা অঙ্কের টাকা ও জেল দেওয়ার হুমকি দেন। এসময় উপস্থিত সাংবাদিকরা তাদের অফিসে ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এবিষয়ে ফোন দিতে চাইলে তিনি আরও ক্ষিপ্ত হন এবং ওই সাংবাদিকদের মামলা দেন। যাঁর নং-২০২০, ধারা ২৬৯।

মামলার ধারার বিষয়ে বারের একাধিক আইনজীবীরা জানান, এই ধারা হলো মোটরযান বেপরোয়া চালানোর অপরাধ। অথচ ওই সংবাদকর্মী জানান তিনি তখন মোটরসাইকেল ২০ গতিতে চালিয়েছিলেন।

অভিযোগ রয়েছে ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নেও কিছুদিন আগে এক সংবাদকর্মী ম্যাজিস্ট্রেটের ছবি তোলায় তাকে পুলিশ দিয়ে মারধর করেন।

এবিষয়ে ভোলা জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিক জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ভোলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ

আপডেট সময় : ১১:৩৯:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ এপ্রিল ২০২০

ভোলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিমরানের বিরুদ্ধে।রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ভোলার খেয়া ঘাট নামক জায়গায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ক্ষোভ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদশ অনলাইন প্রেসক্লাবের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান শফিক, ভোলা জেলা অনলাইন প্রেসক্লাব সভাপতি তুহিন খন্দকার ও সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার এবং মিজানুর রহমান সহ সর্বস্থরের সাংবাদিক মহল।নিন্দা জানিয়ে তারা বলেন, ওই ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা করা হবে এবং প্রশাসনের সকল প্রকার সংবাদ বর্জন করা হবে।

জানা যায়, ওই ম্যাজিস্ট্রেট ভোলা (শিক্ষানবিশ) সহকারী কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন।

লাঞ্ছনার শিকার সাংবাদিকরা জানান, তারা বিশ্বে মহামারী আকার ধারণ করা ভাইরাস করানোর (কোভিড-১৯) মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে বরিশাল হয়ে ট্রলার ও স্পিডবোটে করে ভোলার ভেদুরিয়া দিয়ে লোক ভোলায় প্রবেশ করছে এমন তথ্য পেয়ে নিউজ কাভারেজ করে ভোলায় ফিরে আসার পথে ভোলা খেয়া ঘাট নামক জায়গায় তাদের মোটরসাইকেল দাঁড় করায় ওই ম্যাজিস্ট্রেট। এবং গণমাধ্যমকর্মী পরিচয় দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ম্যাজিস্ট্রেট জিমরান। পরে মোটরসাইকেলে দুজন থাকায় তাদেরকে মোটা অঙ্কের টাকা ও জেল দেওয়ার হুমকি দেন। এসময় উপস্থিত সাংবাদিকরা তাদের অফিসে ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এবিষয়ে ফোন দিতে চাইলে তিনি আরও ক্ষিপ্ত হন এবং ওই সাংবাদিকদের মামলা দেন। যাঁর নং-২০২০, ধারা ২৬৯।

মামলার ধারার বিষয়ে বারের একাধিক আইনজীবীরা জানান, এই ধারা হলো মোটরযান বেপরোয়া চালানোর অপরাধ। অথচ ওই সংবাদকর্মী জানান তিনি তখন মোটরসাইকেল ২০ গতিতে চালিয়েছিলেন।

অভিযোগ রয়েছে ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নেও কিছুদিন আগে এক সংবাদকর্মী ম্যাজিস্ট্রেটের ছবি তোলায় তাকে পুলিশ দিয়ে মারধর করেন।

এবিষয়ে ভোলা জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিক জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।