ঢাকা ০২:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




লকডাউনে অতি উৎসাহী ‘লাঠিয়াল বাহিনী’র অত্যাচার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩০:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ এপ্রিল ২০২০ ৪৫ বার পড়া হয়েছে

সাভার প্রতিনিধি | 
বিভিন্ন এলাকার সড়ক নিজ উদ্যোগে লকডাউন করার পর মোড়ে মোড়ে দেখা যায় এক দল অতি উৎসাহী ‘লাঠিয়াল বাহিনী’কে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই কেবল বের হওয়া বা ঢোকা যাচ্ছে সেসব এলাকায়। প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হয়েও এসব লাঠিয়াল বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করছেন বাসিন্দারা।

স্থানীয় প্রশাসন এসব বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় এবং এলাকাভিত্তিক এ সব বাহিনীর নেতৃত্বে স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক কর্তা-ব্যক্তিরা ইন্ধন দেওয়ায় প্রতিবাদ করতেও সাহস পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা।

সরেজমিনে সাভার-আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এসব এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো বাঁশ, কাঠ, ইট ফেলে বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় লাঠিয়াল বাহিনীর সদস্যরা। লাঠি-সোঁটা, হকিস্টিক হাতে বিভিন্ন এলাকায় টহল দিতে দেখা যায় কিছু যুবককে। এসব গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধ করে দেওয়ায় একদিকে যেমন বিভিন্ন জরুরি সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে তাদের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার ভয়ে জরুরি প্রয়োজনেও বাসা থেকে বের হতে পারছেন না এলাকার বাসিন্দারা।

সাভারের ব্যাংক টাউন এলাকার বাসিন্দা নোমান মাহমুদ বলেন, কে বা কারা ব্যাংকটাউন পাগলার মোড় এলাকার মূল সড়কটি বাঁশ ফেলে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে। এতে করে শনিবার সকালে পেশাগত কাজ থাকার পরও বাসা থেকে বের হতে পারিনি। বিষয়টি থানা পুলিশের এক কর্মকর্তাকে অবহিত করি। তিনি এটি উপজেলা প্রশাসনকে জানানোর পরামর্শ দিয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করেন। যা দুঃখজনক। এতে করে এলাকার অনেক বাসিন্দাকেই বিপাকে পড়তে হচ্ছে।

শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার শ্রমিক নেতা খাইরুল মামুন মিন্টু বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেলে বেশ কিছু পোশাক শ্রমিক কারখানা থেকে বেতন নিয়ে বাসায় ফেরার পথে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বখাটে লাঠিয়াল বাহিনীর মারধরের শিকার হন’।

এখনো সাভার আশুলিয়ার অনেক পোশাক কারখানায় বেতন প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তাই শ্রমিকরা যাতে জরুরি প্রয়োজন বাসা থেকে বের হলে লাঞ্ছনার শিকার না হয়, সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।

রাস্তা বন্ধ করার বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাভার মডেল থানার একজন কর্মকর্তা বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কিংবা এসিল্যান্ড যদি ঘটনাস্থলে যান, তাহলে আমাদের পুলিশের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।

কিন্তু তাদের হস্তক্ষেপ ছাড়া তিনি নিজে এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন না বলে জানান।

সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজুর রহমান জুমন তার ফেইসবুকে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাভার উপজেলার কোনো রাস্তা-ঘাট বন্ধ কিংবা কোনো এলাকা লকডাউন করা হয়নি।

উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি ব্যতিরেকে সকলকে রাস্তা-ঘাট বন্ধ করা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেন তিনি।

এ বিষয়ে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে নম্বরটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




লকডাউনে অতি উৎসাহী ‘লাঠিয়াল বাহিনী’র অত্যাচার

আপডেট সময় : ০৯:৩০:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ এপ্রিল ২০২০

সাভার প্রতিনিধি | 
বিভিন্ন এলাকার সড়ক নিজ উদ্যোগে লকডাউন করার পর মোড়ে মোড়ে দেখা যায় এক দল অতি উৎসাহী ‘লাঠিয়াল বাহিনী’কে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই কেবল বের হওয়া বা ঢোকা যাচ্ছে সেসব এলাকায়। প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হয়েও এসব লাঠিয়াল বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করছেন বাসিন্দারা।

স্থানীয় প্রশাসন এসব বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় এবং এলাকাভিত্তিক এ সব বাহিনীর নেতৃত্বে স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক কর্তা-ব্যক্তিরা ইন্ধন দেওয়ায় প্রতিবাদ করতেও সাহস পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা।

সরেজমিনে সাভার-আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এসব এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো বাঁশ, কাঠ, ইট ফেলে বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় লাঠিয়াল বাহিনীর সদস্যরা। লাঠি-সোঁটা, হকিস্টিক হাতে বিভিন্ন এলাকায় টহল দিতে দেখা যায় কিছু যুবককে। এসব গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধ করে দেওয়ায় একদিকে যেমন বিভিন্ন জরুরি সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে তাদের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার ভয়ে জরুরি প্রয়োজনেও বাসা থেকে বের হতে পারছেন না এলাকার বাসিন্দারা।

সাভারের ব্যাংক টাউন এলাকার বাসিন্দা নোমান মাহমুদ বলেন, কে বা কারা ব্যাংকটাউন পাগলার মোড় এলাকার মূল সড়কটি বাঁশ ফেলে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে। এতে করে শনিবার সকালে পেশাগত কাজ থাকার পরও বাসা থেকে বের হতে পারিনি। বিষয়টি থানা পুলিশের এক কর্মকর্তাকে অবহিত করি। তিনি এটি উপজেলা প্রশাসনকে জানানোর পরামর্শ দিয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করেন। যা দুঃখজনক। এতে করে এলাকার অনেক বাসিন্দাকেই বিপাকে পড়তে হচ্ছে।

শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার শ্রমিক নেতা খাইরুল মামুন মিন্টু বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেলে বেশ কিছু পোশাক শ্রমিক কারখানা থেকে বেতন নিয়ে বাসায় ফেরার পথে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বখাটে লাঠিয়াল বাহিনীর মারধরের শিকার হন’।

এখনো সাভার আশুলিয়ার অনেক পোশাক কারখানায় বেতন প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তাই শ্রমিকরা যাতে জরুরি প্রয়োজন বাসা থেকে বের হলে লাঞ্ছনার শিকার না হয়, সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।

রাস্তা বন্ধ করার বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাভার মডেল থানার একজন কর্মকর্তা বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কিংবা এসিল্যান্ড যদি ঘটনাস্থলে যান, তাহলে আমাদের পুলিশের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।

কিন্তু তাদের হস্তক্ষেপ ছাড়া তিনি নিজে এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন না বলে জানান।

সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজুর রহমান জুমন তার ফেইসবুকে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাভার উপজেলার কোনো রাস্তা-ঘাট বন্ধ কিংবা কোনো এলাকা লকডাউন করা হয়নি।

উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি ব্যতিরেকে সকলকে রাস্তা-ঘাট বন্ধ করা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেন তিনি।

এ বিষয়ে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে নম্বরটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।