ঢাকা ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সুপারহিরো পুলিশ বাহিনী- ফারহানা বেগম হেনা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৩:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ এপ্রিল ২০২০ ১৩৭ বার পড়া হয়েছে

ফারহানা বেগম হেনা: 

করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিকট অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে স্বাভাবিক থাকলেও স্বস্তিতে নেই আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। বরং বিরামহীনভাবে চলছেন তাদের কর্মযজ্ঞ । দেশের এমন সংকটময় মুহূর্তে গতানুগতিক আইন শৃংখলা রক্ষার পরিবর্তে তারা সামাজিক দূরত্ব ও কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতসহ মানবিক নানান কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত রেখেছেন নিজেদেরকে।

আপনি ঘরে থাকুন, সচেতন থাকুন, নিজে বাঁচুন-পরিবার বাঁচান, দেশ বাঁচান। মাইক হাতে নিয়ে শহর থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলে গিয়ে এভাবেই মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা৷

সীমাবদ্ধতা থাকা স্বত্ত্বেও করোনা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি এবং পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় হয়তো সব জায়গায় পুলিশের পক্ষে সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করা সম্ভব নয়। তবে ইচ্ছা এবং সামর্থের কমতি রাখছেননা বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী৷

এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে ২০ কোটি টাকা আর্থিক অনুদান দিয়েছে পুলিশ। ২০ কোটি টাকার অনুদানের অর্থের মধ্যে রয়েছে পুলিশ কনস্টেবল থেকে আইজিপি পর্যন্ত পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের একদিনের বেতন, বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন, পুলিশ অফিসার্স মেস ও পুলিশ কল্যাণ তহবিলের অর্থ।

সিলেট জেলাসহ দেশের সবকটি বিভাগ ও জেলায় মহামারি মরণব্যাধি করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) নিয়ে মাঠ পর্যায়ে সবচেয়ে বেশী কাজ করছে পুলিশ বাহিনী। অথচ তাদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্য এখনো পিপিআই’র ব্যবস্থা হলো না, এটা নিজেও বিশ্বাস করতে পারছিনা। পুলিশ সদস্যরাও মানুষ, ওদের পরিবার পরিজন আছে।

আজ নিজের জীবন কিংবা পরিবারের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমরা যখন গৃহবন্ধি (হোম কোয়ারান্টাইনে) তখন এই সব পুলিশ সদস্যরা রাত-দিন রাস্তায়-রাস্তায় গিয়ে আইনশৃংখলা রক্ষার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সাথে মিশে দুই হাত উজাড় করে সহায়তার পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। যা বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দল জনপ্রতিনদিরাও পারেনি। দেশের এই পরিস্থিতিতে যারা জীবনের এতো বড় ঝুঁকি নিয়ে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন সারা বাংলাদেশ জুড়ে আজ তারাই সব চেয়ে অবহেলিত অবস্থায় আছেন। বাংলাদেশের যে কোন দুর্যোগের সময় আমাদের দেশের পুলিশ বাহিনী সব সময় সবার আগে এগিয়ে গিয়ে হাল ধরে এবং দেশ বিদেশে প্রসংশা কুড়িয়ে নেয়৷ আমাদের পুলিশ বাহিনী শুধু বাংলাদেশে নয় বহির্বিশ্বেও জীবন বাজি রেখে কাজ করে চলেন ও বাংলাদেশের জন্য বয়ে আনেন সুনাম। আবার এই পুলিশ বাহিনী পরিস্থিতির কারনে অনেক সময় শুনতে গাল মন্দ।

করোনা ভাইরাস ঝুঁকি নিয়েই ব্যস্ত দিন-রাত পার করছেন তারা। আইন শৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত এবং কোয়ারিন্টাইন নিশ্চিত করতে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করতে হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় জীবানুনাশক ছিটানো, ঘরের অবস্থান করা বাসিন্দাদের ঘরে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার পৌঁছে দেওয়া, হতদরিদ্রদের কাছে বিনামূল্যে খাবার পৌঁছে দেওয়া, অসুস্থ ব্যক্তিদের হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া এবং চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের কর্মস্থলে আসা যাওয়ার জন্য পরিবহন সুবিধা দেওয়াসহ নানান মানবিক কাজ করছে পুলিশ।

বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন দেশের মানুষের জন্য তখন তাদের হয়ে বলার কেউ নেই। বর্তমানে কোন পাড়া মহল্লায় বা বাসা বাড়ি থেকে খবর আসে যে এই বাসা বাড়ি বা পাড়া মহল্লায় করোনা ভাইরাসের লক্ষ্যণ এমন রুগী আছে তখন আর কেউ এগিয়ে আসে না তখন এই পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাই এগিয়ে গিয়ে মৃত্যুর ভয় না করে তাদের কাছে ছুটে চলে যায় রুগীকে বাসা থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত নিয়ে যান বাঁচানোর জন্য এমন কি কোন রুগী মারা গেলে বর্তমানে কেউ কাছে আসেনা তখন এই পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাই জীবন বাজি রেখে মৃত ব্যক্তির দাফন কাফন সহ জানাজা করে কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত করেন। কিন্তু তারা নিজেদের কথা একবার ও ভাবেন না যে উনারা ও মানুষ তাদের ও হতে পারে এই মরণ ব্যাধি রোগ যারা নিজের জীবনের পরওয়া না করে দিন রাত আনাচে কাছে প্রত্যত্ন অচঞ্চলে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খুজ খবর করে কাঁধে বয়ে নিয়ে খাবার পৌঁছাতে ব্যস্ত আজ তারাই বড় অবহেলিত।

বাংলাদেশের আঠারো কোটি মানুষের পাশে যখন অতন্দ্র প্রহরী হয়ে তারা দিন রাত এক করে কাজ করে যাচ্ছেন তখন তাদের সুরক্ষার বিষয়টা সবার আগে নেওয়া উচিৎ ছিল।

এখনো আমরা কেউ জানিনা এই মহামারী পরিস্থিতি থেকে কবে রক্ষা পাবো এখনো অনেক সময় আছে এই অতন্দ্র প্রহরী দেশ সেবকদের পিপিই সহ সব ধরনের সুরক্ষার ব্যবস্তা করা হোক।

আমি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, সিলেটের সিলেট জেলা পুলিশের সনামধন্য পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বিপিএম মহোদয়কে যে সিলেটের সকল উপজেলায় এই মহামারী করোনা ভাইরাসের সংকটময় মুহূর্তে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাড়ানো জন্য। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের সিলেটের সর্বত্র খুঁজে খুঁজে আপনি যে মানবতার ফেরিওয়ালা হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তা সিলেট বাসীর মনে স্বর্ণাঅক্ষরে লিখা থাকবে।

আপনি সিলেট আসার পর থেকে সিলেট সহ সকল জেলার থানার চেহারাটাই পাল্টে গেছে আপনার নির্দেশনায় প্রতিটি থানায় মাদক অপরাধী সহ সকল অপরাধের অপরাধীরা সতর্ক অবস্থায় আছে। আপনাকে সবাই আইডল হিসেবে মনে করে দিন রাত মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের প্রতিটি বিভাগে আপনার মতো নিঃস্বার্থ মনের মানুষ হলে বাংলাদেশের চিত্রটা সত্যি পাল্টে যেতো।

আমরা গর্বিত আপনার মতো নিঃস্বার্থ মানব দরদী একজন মহত মনের মানুষ পেয়ে। স্যালুট জানাই আপনি সহ সকল পুলিশবাহি কে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সুপারহিরো পুলিশ বাহিনী- ফারহানা বেগম হেনা

আপডেট সময় : ১১:৩৩:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ এপ্রিল ২০২০

ফারহানা বেগম হেনা: 

করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিকট অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে স্বাভাবিক থাকলেও স্বস্তিতে নেই আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। বরং বিরামহীনভাবে চলছেন তাদের কর্মযজ্ঞ । দেশের এমন সংকটময় মুহূর্তে গতানুগতিক আইন শৃংখলা রক্ষার পরিবর্তে তারা সামাজিক দূরত্ব ও কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতসহ মানবিক নানান কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত রেখেছেন নিজেদেরকে।

আপনি ঘরে থাকুন, সচেতন থাকুন, নিজে বাঁচুন-পরিবার বাঁচান, দেশ বাঁচান। মাইক হাতে নিয়ে শহর থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলে গিয়ে এভাবেই মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা৷

সীমাবদ্ধতা থাকা স্বত্ত্বেও করোনা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি এবং পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় হয়তো সব জায়গায় পুলিশের পক্ষে সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করা সম্ভব নয়। তবে ইচ্ছা এবং সামর্থের কমতি রাখছেননা বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী৷

এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে ২০ কোটি টাকা আর্থিক অনুদান দিয়েছে পুলিশ। ২০ কোটি টাকার অনুদানের অর্থের মধ্যে রয়েছে পুলিশ কনস্টেবল থেকে আইজিপি পর্যন্ত পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের একদিনের বেতন, বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন, পুলিশ অফিসার্স মেস ও পুলিশ কল্যাণ তহবিলের অর্থ।

সিলেট জেলাসহ দেশের সবকটি বিভাগ ও জেলায় মহামারি মরণব্যাধি করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) নিয়ে মাঠ পর্যায়ে সবচেয়ে বেশী কাজ করছে পুলিশ বাহিনী। অথচ তাদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্য এখনো পিপিআই’র ব্যবস্থা হলো না, এটা নিজেও বিশ্বাস করতে পারছিনা। পুলিশ সদস্যরাও মানুষ, ওদের পরিবার পরিজন আছে।

আজ নিজের জীবন কিংবা পরিবারের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমরা যখন গৃহবন্ধি (হোম কোয়ারান্টাইনে) তখন এই সব পুলিশ সদস্যরা রাত-দিন রাস্তায়-রাস্তায় গিয়ে আইনশৃংখলা রক্ষার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সাথে মিশে দুই হাত উজাড় করে সহায়তার পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। যা বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দল জনপ্রতিনদিরাও পারেনি। দেশের এই পরিস্থিতিতে যারা জীবনের এতো বড় ঝুঁকি নিয়ে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন সারা বাংলাদেশ জুড়ে আজ তারাই সব চেয়ে অবহেলিত অবস্থায় আছেন। বাংলাদেশের যে কোন দুর্যোগের সময় আমাদের দেশের পুলিশ বাহিনী সব সময় সবার আগে এগিয়ে গিয়ে হাল ধরে এবং দেশ বিদেশে প্রসংশা কুড়িয়ে নেয়৷ আমাদের পুলিশ বাহিনী শুধু বাংলাদেশে নয় বহির্বিশ্বেও জীবন বাজি রেখে কাজ করে চলেন ও বাংলাদেশের জন্য বয়ে আনেন সুনাম। আবার এই পুলিশ বাহিনী পরিস্থিতির কারনে অনেক সময় শুনতে গাল মন্দ।

করোনা ভাইরাস ঝুঁকি নিয়েই ব্যস্ত দিন-রাত পার করছেন তারা। আইন শৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত এবং কোয়ারিন্টাইন নিশ্চিত করতে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করতে হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় জীবানুনাশক ছিটানো, ঘরের অবস্থান করা বাসিন্দাদের ঘরে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার পৌঁছে দেওয়া, হতদরিদ্রদের কাছে বিনামূল্যে খাবার পৌঁছে দেওয়া, অসুস্থ ব্যক্তিদের হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া এবং চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের কর্মস্থলে আসা যাওয়ার জন্য পরিবহন সুবিধা দেওয়াসহ নানান মানবিক কাজ করছে পুলিশ।

বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন দেশের মানুষের জন্য তখন তাদের হয়ে বলার কেউ নেই। বর্তমানে কোন পাড়া মহল্লায় বা বাসা বাড়ি থেকে খবর আসে যে এই বাসা বাড়ি বা পাড়া মহল্লায় করোনা ভাইরাসের লক্ষ্যণ এমন রুগী আছে তখন আর কেউ এগিয়ে আসে না তখন এই পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাই এগিয়ে গিয়ে মৃত্যুর ভয় না করে তাদের কাছে ছুটে চলে যায় রুগীকে বাসা থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত নিয়ে যান বাঁচানোর জন্য এমন কি কোন রুগী মারা গেলে বর্তমানে কেউ কাছে আসেনা তখন এই পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাই জীবন বাজি রেখে মৃত ব্যক্তির দাফন কাফন সহ জানাজা করে কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত করেন। কিন্তু তারা নিজেদের কথা একবার ও ভাবেন না যে উনারা ও মানুষ তাদের ও হতে পারে এই মরণ ব্যাধি রোগ যারা নিজের জীবনের পরওয়া না করে দিন রাত আনাচে কাছে প্রত্যত্ন অচঞ্চলে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খুজ খবর করে কাঁধে বয়ে নিয়ে খাবার পৌঁছাতে ব্যস্ত আজ তারাই বড় অবহেলিত।

বাংলাদেশের আঠারো কোটি মানুষের পাশে যখন অতন্দ্র প্রহরী হয়ে তারা দিন রাত এক করে কাজ করে যাচ্ছেন তখন তাদের সুরক্ষার বিষয়টা সবার আগে নেওয়া উচিৎ ছিল।

এখনো আমরা কেউ জানিনা এই মহামারী পরিস্থিতি থেকে কবে রক্ষা পাবো এখনো অনেক সময় আছে এই অতন্দ্র প্রহরী দেশ সেবকদের পিপিই সহ সব ধরনের সুরক্ষার ব্যবস্তা করা হোক।

আমি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, সিলেটের সিলেট জেলা পুলিশের সনামধন্য পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বিপিএম মহোদয়কে যে সিলেটের সকল উপজেলায় এই মহামারী করোনা ভাইরাসের সংকটময় মুহূর্তে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাড়ানো জন্য। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের সিলেটের সর্বত্র খুঁজে খুঁজে আপনি যে মানবতার ফেরিওয়ালা হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তা সিলেট বাসীর মনে স্বর্ণাঅক্ষরে লিখা থাকবে।

আপনি সিলেট আসার পর থেকে সিলেট সহ সকল জেলার থানার চেহারাটাই পাল্টে গেছে আপনার নির্দেশনায় প্রতিটি থানায় মাদক অপরাধী সহ সকল অপরাধের অপরাধীরা সতর্ক অবস্থায় আছে। আপনাকে সবাই আইডল হিসেবে মনে করে দিন রাত মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের প্রতিটি বিভাগে আপনার মতো নিঃস্বার্থ মনের মানুষ হলে বাংলাদেশের চিত্রটা সত্যি পাল্টে যেতো।

আমরা গর্বিত আপনার মতো নিঃস্বার্থ মানব দরদী একজন মহত মনের মানুষ পেয়ে। স্যালুট জানাই আপনি সহ সকল পুলিশবাহি কে।