ঢাকা ০৭:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




রাজধানীর ১২ এলাকা নতুন করে লকডাউন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৫:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ এপ্রিল ২০২০ ৮৮ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক; 

করোনাভাইরাসের নতুন রোগী পাওয়ার পর ঢাকার ১২টি এলাকার বিভিন্ন বাড়ি লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। ওই এলাকার কেউ এখন বাইরে বের হতে পারবেন না। সেখানে কেউ ঢুকতেও পারবেন না।

সংক্রমণের শুরুর দিকে ঢাকায় মিরপুরের টোলারবাগে রোগী পাওয়ার পর ওই এলাকাটি আগেই লকডাউন করা হয়েছিল।

গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৪১ জনের মধ্যে ২০ জনই ঢাকার বলে নিশ্চিত হওয়ার পর মঙ্গলবার পুরান ঢাকা, মোহাম্মদপুর, আদাবর, বছিলা, বাড্ডা ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বিভিন্ন ভবন লকডাউন করার ব্যবস্থা নেয় পুলিশ।

পুরান ঢাকায় খাজে দেওয়ান লেনে একটি মসজিদ কমিটির সহ-সভাপতি ও এক নারীর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়ায় ওই এলাকার দুইশ ভবন লকডাউন করা হয়েছে।

চকবাজার থানার ওসি মওদুত হাওলাদার মঙ্গলবার বিকেলে বলেন, যে মসজিদ কমিটির সহসভাপতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি সমাজে চলাচল করেছেন এবং বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করেছেন। ওই লেনের এক নারী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ওই নারী বাইরে যেতেন না। তাহলে নিশ্চয়ই তার স্বামী-সন্তান বাইরে থেকে এই ভাইরাস বাসায় এনেছেন।

এই দুটি ঘটনায় খাজে দেওয়ান লেনে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঘটেছে ধারণা করে ওই লেনের এক ও নম্বর দুই নম্বর গলি লকডাউন করা হয়েছে।

এই দুটি গলিতে আনুমানিক দুইশ ভবন রয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, মঙ্গলবার বিকাল ৫টার পর থেকে কাউকে ঢুকতে এবং বের হতে দেয়া হচ্ছে না। কারও কিছু প্রয়োজন হলে পুলিশের মাধ্যমে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।

পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজার রোজ মেরিনার্স নামে একটি ভবন লকডাউন করা হয়েছে বলে জানান বংশাল থানার ওসি শাহীন ফকির।

তিনি রোজ মেরিনার্স একটি মার্কেট, কিন্তু ওই মার্কেটের উপরে ৪০টি ফ্ল্যাট রয়েছে। ওই ফ্ল্যাটের ৫৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এজন্য ওই ভবনটি লকডাউন করা হয়েছে।

লালবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসলাম হোসেন লালবাগের বড় বাট মসজিদ রোডে একজন এবং নবাবগঞ্জ রোডে একজন নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এজন্য বড় বাট মসজিদ এলাকায় পাঁচটি বাড়ি এবং নবাবগঞ্জ এলাকার ক্রিসেন্ট ক্লাব গলি লকডাউন করা হয়েছে।

মোহাম্মদপুর এবং আদাবরের ৬টি এলাকা লকডাউন করা হয়েছে বলে জানান ডিএমপির মিরপুর জোনের সহকারী কমিশনার রৌশনুল হক সৈকত।

তিনি বলেন, আইইডিসিআর মোহাম্মদপুর-আদাবর এলাকার কয়েকজনের করোনাভাইরাস পজেটিভ পায়। এরপরেই বাসাগুলো চিহ্নিত করে লকডাউন করা হয়।

এরমধ্যে কৃষি মার্কেটের সামনে, তাজমহল রোড মিনার মসজিদ এলাকা, রাজিয়া সুলতানা রোড, বাবর রোড, বছিলা ও আদাবর এলাকার কয়েকটি বাড়ি ও রাস্তা এখন লকড ডাউন। এসব এলাকা ঘিরে লাল ফিতা, পতাকা লাগিয়ে চলাচলে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। ঘনঘন মাইকিং করা হচ্ছে।

এসব এলাকায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর বাড়ি ছাড়াও বাড়ির সামনের রাস্তা ও আশেপাশের রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানান সহকারী কমিশনার সৈকত।

ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বিকালে বলেন, উত্তর বাড্ডার খানবাগ রোডের এক ব্যক্তির শরীরে নভেল করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরপর ওই ভবনটি লকডাউন করা হয়েছে।

এছাড়াও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এক নারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। ওই নারী যে ভবনে থাকতেন, সেটি লকডাউন করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




রাজধানীর ১২ এলাকা নতুন করে লকডাউন

আপডেট সময় : ০৮:৫৫:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ এপ্রিল ২০২০

অনলাইন ডেস্ক; 

করোনাভাইরাসের নতুন রোগী পাওয়ার পর ঢাকার ১২টি এলাকার বিভিন্ন বাড়ি লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। ওই এলাকার কেউ এখন বাইরে বের হতে পারবেন না। সেখানে কেউ ঢুকতেও পারবেন না।

সংক্রমণের শুরুর দিকে ঢাকায় মিরপুরের টোলারবাগে রোগী পাওয়ার পর ওই এলাকাটি আগেই লকডাউন করা হয়েছিল।

গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৪১ জনের মধ্যে ২০ জনই ঢাকার বলে নিশ্চিত হওয়ার পর মঙ্গলবার পুরান ঢাকা, মোহাম্মদপুর, আদাবর, বছিলা, বাড্ডা ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বিভিন্ন ভবন লকডাউন করার ব্যবস্থা নেয় পুলিশ।

পুরান ঢাকায় খাজে দেওয়ান লেনে একটি মসজিদ কমিটির সহ-সভাপতি ও এক নারীর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়ায় ওই এলাকার দুইশ ভবন লকডাউন করা হয়েছে।

চকবাজার থানার ওসি মওদুত হাওলাদার মঙ্গলবার বিকেলে বলেন, যে মসজিদ কমিটির সহসভাপতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি সমাজে চলাচল করেছেন এবং বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করেছেন। ওই লেনের এক নারী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ওই নারী বাইরে যেতেন না। তাহলে নিশ্চয়ই তার স্বামী-সন্তান বাইরে থেকে এই ভাইরাস বাসায় এনেছেন।

এই দুটি ঘটনায় খাজে দেওয়ান লেনে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঘটেছে ধারণা করে ওই লেনের এক ও নম্বর দুই নম্বর গলি লকডাউন করা হয়েছে।

এই দুটি গলিতে আনুমানিক দুইশ ভবন রয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, মঙ্গলবার বিকাল ৫টার পর থেকে কাউকে ঢুকতে এবং বের হতে দেয়া হচ্ছে না। কারও কিছু প্রয়োজন হলে পুলিশের মাধ্যমে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।

পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজার রোজ মেরিনার্স নামে একটি ভবন লকডাউন করা হয়েছে বলে জানান বংশাল থানার ওসি শাহীন ফকির।

তিনি রোজ মেরিনার্স একটি মার্কেট, কিন্তু ওই মার্কেটের উপরে ৪০টি ফ্ল্যাট রয়েছে। ওই ফ্ল্যাটের ৫৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এজন্য ওই ভবনটি লকডাউন করা হয়েছে।

লালবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসলাম হোসেন লালবাগের বড় বাট মসজিদ রোডে একজন এবং নবাবগঞ্জ রোডে একজন নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এজন্য বড় বাট মসজিদ এলাকায় পাঁচটি বাড়ি এবং নবাবগঞ্জ এলাকার ক্রিসেন্ট ক্লাব গলি লকডাউন করা হয়েছে।

মোহাম্মদপুর এবং আদাবরের ৬টি এলাকা লকডাউন করা হয়েছে বলে জানান ডিএমপির মিরপুর জোনের সহকারী কমিশনার রৌশনুল হক সৈকত।

তিনি বলেন, আইইডিসিআর মোহাম্মদপুর-আদাবর এলাকার কয়েকজনের করোনাভাইরাস পজেটিভ পায়। এরপরেই বাসাগুলো চিহ্নিত করে লকডাউন করা হয়।

এরমধ্যে কৃষি মার্কেটের সামনে, তাজমহল রোড মিনার মসজিদ এলাকা, রাজিয়া সুলতানা রোড, বাবর রোড, বছিলা ও আদাবর এলাকার কয়েকটি বাড়ি ও রাস্তা এখন লকড ডাউন। এসব এলাকা ঘিরে লাল ফিতা, পতাকা লাগিয়ে চলাচলে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। ঘনঘন মাইকিং করা হচ্ছে।

এসব এলাকায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর বাড়ি ছাড়াও বাড়ির সামনের রাস্তা ও আশেপাশের রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানান সহকারী কমিশনার সৈকত।

ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বিকালে বলেন, উত্তর বাড্ডার খানবাগ রোডের এক ব্যক্তির শরীরে নভেল করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরপর ওই ভবনটি লকডাউন করা হয়েছে।

এছাড়াও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এক নারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। ওই নারী যে ভবনে থাকতেন, সেটি লকডাউন করা হয়েছে।