মানব সেবায় এগিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো বাধাগ্রস্ত করা উস্কানিদাতাদের ধিক্কার- অঞ্জন দত্ত
- আপডেট সময় : ১১:১৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ মার্চ ২০২০ ১৬৪ বার পড়া হয়েছে
এই শহরের এতো চার তারকা পাঁচ তারকা হাসপাতাল রয়েছে–মানুষের রোগ আর শোকের ব্যাবসায়ী সেই হাসপাতালগুলোর মালিকরা একটাও যখন কোনও কথা বলছেন না। তখন উত্তরা আর মীরপুরে রিজেন্ট হাসপাতাল তাদের দুটো হাসপাতালেই করোনাভাইরাস আক্রান্তের চিকিৎসার জন্য রাজী হয়ে স্বাস্হ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে এমএমইউ স্বাক্ষর করলো। সাথে সাথেই সেখানে একদল মানুষ লেলিয়ে দেয়া হলো, তাদের দাবি–এই হাসপাতালে করোনা আক্রান্তের চিকিৎসা হলে এলাকাবাসী নাকি আক্রান্ত হবে? হাসপাতাল ভাঙা হলো। আটকে দেয়া হলো সেই হাসপাতালে প্রবেশের মূল রাস্তার দুই দিকেই। পরে কেনওভাবে একপাশের পথ খুলেছে। রিজেন্ট হাসপাতাল এখন মোটামুটি প্রস্তুত করোনাভাইরাস আক্রান্তের সেবায়। হাসপাতাল মালিক Md Shahed এর অভিযোগ এই ঘটনা ঘটেছে ওয়ার্ড কমিশনারের প্ররোচনায় আর উস্কানীতে।
দেশে এতো কোটিপতি, সেই কোটিপতি শিল্পপতিরা যখন অনেকেই নীরব। তখন এগিয়ে এলো আকিজ গ্রুপ। তারা যখন তাদের নিজস্ব দুই একর জমিতে, মাত্র ১৪ দিনে হাসপাতাল তৈরির কাজে হাত দিলো। তখনই বাঁধা। এবারেও লেলিয়ে দেয়া হলো একদল মানুষকে। তাদের বোঝানো হয়েছে- সেই একই কথা। এখানে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা হলে স্থানীয়দের বিপদ হতে পারে। জনতা হাসপাতালের প্রস্ততির প্রথমেই ‘বীরের’ মতোন হামলা চালিয়ে ভাংচুর করলো। এবারেও নেপথ্যে উচ্চারিত হচ্ছে স্থানীয় কমিশনারের কথা। হাসপাতাল করার বিষয়ে কাউন্সিলার শফিউল্লাহ শফি সংবাদমাধ্যমের কাছে নিজের অভিমত বলেছেন, ‘আমি মনে করি, এটা যেহেতু মহল্লা হচ্ছে, তাই এখানে করোনারভাইরাসে আক্রান্তদের হাসপাতাল হওয়া ঠিক হবে না। আমি এটার পক্ষে না।’ এতেই পরিস্কার হয়ে যায় তার আসল চেহারা।
এই সময়টি পরস্পরের সহায়তার সময়, এখন যারাই করোনাভাইরাস মোকাবেলায় উদ্যোগ নিচ্ছেন– তাদের সহায়তা করার সময়। কিন্তু সেই সময়ে যদি চিকিৎসার উদ্যোগে এমন বাঁধা দেয়ার ঘটনা ঘটে, আলোচিত দুটি ঘটনার পেছনেই কাউন্সিলর বা কমিশনারের নাম আসে– বিষয়টি লজ্জার।
কাউন্সিলাররা হয়তো এই অভিযোগ অস্বীকার করতে চাইবেন। কিন্ত প্রথম ঘটনায় সম্পৃত্তির অভিযোগ ও পরের ঘটনায়- ভাংচুরে বাঁধা না দেয়া ও সংবাদমাধ্যমের কাছে বক্তব্য থেকে তাদের মানসিক অবস্থান বুঝে নিতে কষ্ট হয় না। ধিক্কার জানাই এই সব স্বার্থান্ধদের। দাবি করছি দ্রুত তদন্ত করে এই ঘটনাগুলোর যারা পেছনে থেকে উস্কানী দিয়েছে– তাদের দ্রুত গ্রেফতার করা হোক। এসব ঘটনার পেছনের মানুষদের হাতে হাতকড়া দেখতে চাওয়াটা এখন সময়ের দাবি। একই সাথে প্রত্যাশা– সব বাঁধা পেরিয়ে দ্রুত এই হাসপাতালের নির্মানকাজ এগিয়ে যাক। স্বস্তি আসুক।
জি টিভির সিনিয়র সাংবাদিক_ অঞ্জন দত্তের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে গৃহীত।