ঢাকা ১০:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৯ তম জন্মবার্ষিকী আজ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:২৫:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন ২০২৩ ৪৬৯ বার পড়া হয়েছে

মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৯ তম জন্মবার্ষিকী আজ

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৫০তম প্রয়াণ দিবস। তিনি ১৮৭৩ সালের এই দিনে কলকাতায় পরলোকগমন করেন। । মাইকেল মধুসূদন দত্ত বিখ্যাত সনেট ‘কপোতাক্ষ নদ’রচনা করেছিলেন। ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোরের জেলার কেশবপুরের সাগরদাঁড়ি গ্রামে রাজনারায়ণ দত্ত ও মা জাহ্নবী দেবীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন মধুসূদন।

বাংলাদেশের যশোর জেলার এক সম্ভ্রান্ত কায়স্থ বংশে জন্ম হলেও ১৮৫৩ সালে তিনি খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণ করেন। তখন থেকে তার নামের সঙ্গে ‘মাইকেল’ যুক্ত হয়।

মাইকেল মধুসূদন বাংলা ভাষায় সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক। তার সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রামায়ণের উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত মেঘনাদবধ কাব্য নামক মহাকাব্য।

তিনি ‘পদ্মাবতী’ নাটক, ‘একেই কি বলে সভ্যতা’ ও ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ নামে দুটি প্রহসন, ‘মেঘনাদবধ কাব্য’, ‘ব্রজাঙ্গনা কাব্য’, ‘কৃষ্ণকুমারী’ নাটক, ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ ও ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’ রচনা করেন।

মাইকেল মধুসূদনকে বাংলার নবজাগরণ সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব গণ্য করা হয়। ঐতিহ্যের অনুবর্তিতা অমান্য করে নব্যরীতি প্রবর্তনের কারণে তাকে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী কবি হিসেবেও অভিহিত করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৯ তম জন্মবার্ষিকী আজ

আপডেট সময় : ০৫:২৫:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন ২০২৩

মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৯ তম জন্মবার্ষিকী আজ

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৫০তম প্রয়াণ দিবস। তিনি ১৮৭৩ সালের এই দিনে কলকাতায় পরলোকগমন করেন। । মাইকেল মধুসূদন দত্ত বিখ্যাত সনেট ‘কপোতাক্ষ নদ’রচনা করেছিলেন। ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোরের জেলার কেশবপুরের সাগরদাঁড়ি গ্রামে রাজনারায়ণ দত্ত ও মা জাহ্নবী দেবীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন মধুসূদন।

বাংলাদেশের যশোর জেলার এক সম্ভ্রান্ত কায়স্থ বংশে জন্ম হলেও ১৮৫৩ সালে তিনি খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণ করেন। তখন থেকে তার নামের সঙ্গে ‘মাইকেল’ যুক্ত হয়।

মাইকেল মধুসূদন বাংলা ভাষায় সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক। তার সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রামায়ণের উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত মেঘনাদবধ কাব্য নামক মহাকাব্য।

তিনি ‘পদ্মাবতী’ নাটক, ‘একেই কি বলে সভ্যতা’ ও ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ নামে দুটি প্রহসন, ‘মেঘনাদবধ কাব্য’, ‘ব্রজাঙ্গনা কাব্য’, ‘কৃষ্ণকুমারী’ নাটক, ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ ও ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’ রচনা করেন।

মাইকেল মধুসূদনকে বাংলার নবজাগরণ সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব গণ্য করা হয়। ঐতিহ্যের অনুবর্তিতা অমান্য করে নব্যরীতি প্রবর্তনের কারণে তাকে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী কবি হিসেবেও অভিহিত করা হয়।