করোনাভাইরাসের কারণে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান পুনর্বিন্যাস

- আপডেট সময় : ০৮:৫৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ মার্চ ২০২০ ৮৯ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন রিপোর্ট |
করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে মুজিববর্ষ উদযাপনের ১৭ মার্চের জাতীয় প্যারোড গ্রাউন্ডের বড় জনসমাবেশ হবে না। তবে অন্যান্য কর্মসূচি হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী রোববার রাতে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন। রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে এ বিষয়ে তিনি কথা বলেন।
তার আগে রোববার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানার উপস্থিতিতে মুজিববর্ষ উদযাপন কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। জনস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে আগামীকালের বৈঠকে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে ঠিক করা হবে।
তবে আপাতত বিদেশিরা অতিথিরা আসছেন না এবং ছোট পরিসরে অনুষ্ঠান হবে বলে জানান কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
তিনি বলেন, তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্য ও জনগণের সুবিধার বিষয়টি মাথায় রেখে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। পরে ক্ষুদ্র পরিসরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। তবে জনসমাগম এড়িয়ে বছরব্যাপী উদযাপন করা হবে মুজিববর্ষ।
কামাল আবদুল নাসের আরও জানান, প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে বিদেশি অতিথিরা আসবেন না। কারণ জনস্বার্থে জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরে বিদেশি অতিথিদের ডাকা হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও জনসমাগম পরিহার করার কথা বলা হয়েছে। কোন অনুষ্ঠান স্থগিত রাখা হয়নি। কর্মসূচি যেভাবে সাজানো হয়েছিল সেটা পুনর্বিন্যাস করা হবে। প্যারেড স্কয়ারে জনসমাগমের যে অনুষ্ঠানটি সেটাকে পুনর্বিন্যাস করে পরবর্তীতে করা হবে। তবে বঙ্গবন্ধু ভবনে যে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং টুঙ্গিপাড়ায় যে শ্রদ্ধা নিবেদন সেই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি সারা বাংলাদেশের দোয়া মাহফিল এবং শ্রদ্ধাজ্ঞাপন সেটাও থাকবে।
এর আগে দেশে তিনজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠক করেন। বৈঠকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ছাড়াও শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন।