ঢাকা ০৭:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




জেলের বেশে নদীতে নেমে ধরা উপজেলা চেয়ারম্যান!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৮:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৯ ৫৮ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি

৯-৩০ অক্টোবর পর্যন্ত নদীতে সব ধরনের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। নদীতে ইলিশের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য ডিমওয়ালা মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা। এ সময় যাতে কোনো জেলে নদীতে জাল ফেলতে না পারে এজন্য প্রশাসনের সহযোগিতায় মৎস্য বিভাগের চলছে নজরদারি।

এরই অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় কিছু সংবাদকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ সুপার মো. হায়াতুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন, সদর থানার পুলিশ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাঃ নূরুল ইসলাম বাদল, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্যরা সমন্বয়ে একটি টিম অভিযানে নামে পিরোজপুরের কঁচা নদীতে।

অভিযান চলাকালীন একটি জাল থেকে মাছও পাওয়া যায় ১০-১৫টি। যেগুলো পরবর্তীতে স্থানীয় একটি এতিমখানায় দেয়া হয়।

এরপর সন্ধ্যা নদীতে গিয়ে রাত প্রায় ২টার দিকে একটি ছোট ট্রলারে কয়েকজন সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে জেলের বেশে দেখা মেলে কাউখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিয়া মনুর। এ সময় তিনি একজন পুরোদস্তুর জেলের বেশে কোমড়ে বাঁধা গামছা ও লুঙ্গি এবং সাদা গেঞ্জি পরিহিত ছিলেন। তবে তিনি দাবি করেন নদীতে মা ইলিশ পাহারার জন্যই নিজের লোকদের নিয়ে তিনি নদীতে নেমেছেন। তবে তার সঙ্গে ছিল না পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন কিংবা মৎস্য বিভাগের কেউই। এ সময় তাকে বহনকারী ট্রলারে প্রায় ৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল থাকলেও, ইলিশ মাছ ছিল মাত্র ৩টি।

উপজেলা চেয়ারম্যান মনুকে এভাবে নদীতে দেখে বিষ্মিত জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন। তিনি মনুর কাছে জানতে চান কেন তিনি মৎস্য বিভাগ ও প্রশাসনের কাউকে না জানিয়ে নদীতে নেমেছেন। তবে বিষয়টি তিনি পরে সমাধান করবেন বলে জানান তাকে। মনু দাবি করেন তিনি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে একাধিক বার ফোন করেছেন। তবে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাই একাই নেমেছেন নদীতে।

উপজেলা চেয়ারম্যান কর্তৃক ফোন করার বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফনূ ভূষণ পাল জানান, বিগত কয়েক দিন নদীতে অভিযান পরিচালনা করার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাই উপজেলা চেয়ারম্যানের ফোন ধরতে পারেননি। তবে মৎস্য বিভাগ এবং প্রশাসন ছাড়া অবরোধ চলাকালীন সময়ে এভাবে কেউ নদীতে নামতে পারে না বলেও জানান তিনি।

তবে স্থানীয় অনেকেই জানিয়েছেন মনু প্রায়ই তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে যায়। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রাতেও তিনি নদীতে মাছ ধরার জন্য গিয়েছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




জেলের বেশে নদীতে নেমে ধরা উপজেলা চেয়ারম্যান!

আপডেট সময় : ১১:৩৮:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৯

জেলা প্রতিনিধি

৯-৩০ অক্টোবর পর্যন্ত নদীতে সব ধরনের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। নদীতে ইলিশের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য ডিমওয়ালা মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা। এ সময় যাতে কোনো জেলে নদীতে জাল ফেলতে না পারে এজন্য প্রশাসনের সহযোগিতায় মৎস্য বিভাগের চলছে নজরদারি।

এরই অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় কিছু সংবাদকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ সুপার মো. হায়াতুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন, সদর থানার পুলিশ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাঃ নূরুল ইসলাম বাদল, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্যরা সমন্বয়ে একটি টিম অভিযানে নামে পিরোজপুরের কঁচা নদীতে।

অভিযান চলাকালীন একটি জাল থেকে মাছও পাওয়া যায় ১০-১৫টি। যেগুলো পরবর্তীতে স্থানীয় একটি এতিমখানায় দেয়া হয়।

এরপর সন্ধ্যা নদীতে গিয়ে রাত প্রায় ২টার দিকে একটি ছোট ট্রলারে কয়েকজন সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে জেলের বেশে দেখা মেলে কাউখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিয়া মনুর। এ সময় তিনি একজন পুরোদস্তুর জেলের বেশে কোমড়ে বাঁধা গামছা ও লুঙ্গি এবং সাদা গেঞ্জি পরিহিত ছিলেন। তবে তিনি দাবি করেন নদীতে মা ইলিশ পাহারার জন্যই নিজের লোকদের নিয়ে তিনি নদীতে নেমেছেন। তবে তার সঙ্গে ছিল না পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন কিংবা মৎস্য বিভাগের কেউই। এ সময় তাকে বহনকারী ট্রলারে প্রায় ৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল থাকলেও, ইলিশ মাছ ছিল মাত্র ৩টি।

উপজেলা চেয়ারম্যান মনুকে এভাবে নদীতে দেখে বিষ্মিত জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন। তিনি মনুর কাছে জানতে চান কেন তিনি মৎস্য বিভাগ ও প্রশাসনের কাউকে না জানিয়ে নদীতে নেমেছেন। তবে বিষয়টি তিনি পরে সমাধান করবেন বলে জানান তাকে। মনু দাবি করেন তিনি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে একাধিক বার ফোন করেছেন। তবে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাই একাই নেমেছেন নদীতে।

উপজেলা চেয়ারম্যান কর্তৃক ফোন করার বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফনূ ভূষণ পাল জানান, বিগত কয়েক দিন নদীতে অভিযান পরিচালনা করার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাই উপজেলা চেয়ারম্যানের ফোন ধরতে পারেননি। তবে মৎস্য বিভাগ এবং প্রশাসন ছাড়া অবরোধ চলাকালীন সময়ে এভাবে কেউ নদীতে নামতে পারে না বলেও জানান তিনি।

তবে স্থানীয় অনেকেই জানিয়েছেন মনু প্রায়ই তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে যায়। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রাতেও তিনি নদীতে মাছ ধরার জন্য গিয়েছিলেন।