ঢাকা ০১:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




প্রাথমিকে সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ নতুন তিন পদ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১২৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা আরেক ধাপে সংশোধনের কাজ শুরু হয়েছে। এতে নতুন সৃজন করা সহকারী প্রধান শিক্ষক, সঙ্গীত ও শারীরিক শিক্ষক পদ অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে।

সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ-সংক্রান্ত এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার প্রধান ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. বদরুল হাসান বাবুল।

সভা শেষে অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) মো. বদরুল হাসান বাবুল জাগো নিউজকে বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক নামে নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ পদটিকে ১১তম গ্রেডে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পর পরবর্তী চার বছর পর এ পদে পদোন্নতি দেয়া হবে। এর পরবর্তী তিন বছর পর প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি পাবে। প্রধান শিক্ষক পদটি ১০তম গ্রেড করা হবে।

তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করলেও অনেকে সারাজীবনে একটিও পদোন্নতি পান না। নিয়োগ পাওয়া পদে থেকেই তাদের অবসরে চলে যেতে হচ্ছে। সহকারী শিক্ষক থেকে পরবর্তী সাত বছর পর প্রধান শিক্ষক হওয়ার কথা থাকলেও পদ স্বল্পতার কারণে অনেকে পদোন্নতি পান না। এ কারণে হতাশা আর অপ্রাপ্তি নিয়ে তাদের কর্মজীবন শেষ করতে হয়। শিক্ষকদের কথা বিবেচনা করে আমরা নতুন পদ সৃষ্টি করেছি। জনপ্রশাসন থেকে এটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নতুন পদটি শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ লক্ষ্যে নীতিমালা সংশোধনের কাজ শুরু হয়েছে। ৬৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। এছাড়াও নীতিমালায় শারীরিক শিক্ষা ও সঙ্গীত শিক্ষকদের বিষয়টি যুক্ত করা হবে।

এসব শিক্ষকের যোগ্যতা কী হবে তা পরবর্তী সভায় নির্ধারণ করা হবে বলে তিনি জানান।

জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে অসন্তোষ বিরাজ করছে। প্রধান শিক্ষকদের পরের ধাপে সহকারী শিক্ষকদের গ্রেড নির্ধারণের জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছেন। তাদের দাবি বাস্তবায়নে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আশ্বাস দেয়া হলেও তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। দাবি বাস্তবায়নে সহকারীদের ১২তম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের ১০তম গ্রেডের প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলেও তা নাকচ করা হয়।

যদিও বিষয়টি নিয়ে আবারও আলোচনায় বসার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তার পাশাপাশি নতুন পদ সৃজন করে শিক্ষকদের পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




প্রাথমিকে সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ নতুন তিন পদ

আপডেট সময় : ০৯:০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা আরেক ধাপে সংশোধনের কাজ শুরু হয়েছে। এতে নতুন সৃজন করা সহকারী প্রধান শিক্ষক, সঙ্গীত ও শারীরিক শিক্ষক পদ অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে।

সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ-সংক্রান্ত এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার প্রধান ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. বদরুল হাসান বাবুল।

সভা শেষে অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) মো. বদরুল হাসান বাবুল জাগো নিউজকে বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক নামে নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ পদটিকে ১১তম গ্রেডে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পর পরবর্তী চার বছর পর এ পদে পদোন্নতি দেয়া হবে। এর পরবর্তী তিন বছর পর প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি পাবে। প্রধান শিক্ষক পদটি ১০তম গ্রেড করা হবে।

তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করলেও অনেকে সারাজীবনে একটিও পদোন্নতি পান না। নিয়োগ পাওয়া পদে থেকেই তাদের অবসরে চলে যেতে হচ্ছে। সহকারী শিক্ষক থেকে পরবর্তী সাত বছর পর প্রধান শিক্ষক হওয়ার কথা থাকলেও পদ স্বল্পতার কারণে অনেকে পদোন্নতি পান না। এ কারণে হতাশা আর অপ্রাপ্তি নিয়ে তাদের কর্মজীবন শেষ করতে হয়। শিক্ষকদের কথা বিবেচনা করে আমরা নতুন পদ সৃষ্টি করেছি। জনপ্রশাসন থেকে এটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নতুন পদটি শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ লক্ষ্যে নীতিমালা সংশোধনের কাজ শুরু হয়েছে। ৬৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। এছাড়াও নীতিমালায় শারীরিক শিক্ষা ও সঙ্গীত শিক্ষকদের বিষয়টি যুক্ত করা হবে।

এসব শিক্ষকের যোগ্যতা কী হবে তা পরবর্তী সভায় নির্ধারণ করা হবে বলে তিনি জানান।

জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে অসন্তোষ বিরাজ করছে। প্রধান শিক্ষকদের পরের ধাপে সহকারী শিক্ষকদের গ্রেড নির্ধারণের জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছেন। তাদের দাবি বাস্তবায়নে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আশ্বাস দেয়া হলেও তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। দাবি বাস্তবায়নে সহকারীদের ১২তম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের ১০তম গ্রেডের প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলেও তা নাকচ করা হয়।

যদিও বিষয়টি নিয়ে আবারও আলোচনায় বসার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তার পাশাপাশি নতুন পদ সৃজন করে শিক্ষকদের পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।