জবিতে ‘ফ্যাক্ট চেকিং ও ডিজিটাল হাইজিন’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- আপডেট সময় : ১০:৪৭:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪ ১৬২ বার পড়া হয়েছে
জবিতে ‘ফ্যাক্ট চেকিং ও ডিজিটাল হাইজিন’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ‘ফ্যাক্ট চেকিং ও ডিজিটাল হাইজিন’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আয়োজনে কর্মশালা অনুষ্ঠান বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছে মিডিয়া রিসোর্স ডেভলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এমআরডিআই), ইউএসএআইডি ও ইন্টারনিউজ।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের কনফারেন্স রুমে এ কর্মশালা শুরু হয় এবং দুপুর ১টায় শেষ হয়।
দুটি সেশনে কর্মশালা প্রশিক্ষণটি পরিচালিত হয়। ‘ডিজিটাল হাইজিন’ শীর্ষক সেশনটি পরিচালনা করেন এমআরডিআই এর নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান। ‘ফ্যাক্ট চেকিং’ শীর্ষক সেশনটি পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইফুল আলম চৌধুরী।
‘ডিজিটাল হাইজিন’ সেশনে- ডিজিটাল হাইজিন কি, কীভাবে শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল মাধ্যমে নিজেদের নিরাপদ রাখবেন, সাইবার নিরাপত্তা কিভাবে বজায় রাখবে এবং এক্ষেত্রে কি কি করণীয়- সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এছাড়া নিজেকে নিরাপদ রাখতে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার, ডেটা এনক্রিপ্ট করা, বিশ্বস্ত সূত্র থেকে সফটওয়্যার ডাউনলোড করা ইত্যাদি ডিজিটাল অভ্যাস গড়ে তুলতে তাগিদ দেওয়া হয়।
অন্যদিকে ‘ফ্যাক্ট চেকিং’ সেশনে কিভাবে তথ্যবিভ্রাট হয়, গুজব কিভাবে ও কারা ছড়ায়, কিভাবে ফ্যাক্ট চেকিং ও ভেরিফিকেশন করতে হবে তা- হাতে কলমে শেখানো হয়।
প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই পত্রিকা পড়ি। সকালে উঠে পত্রিকা পড়া সাথে ধোঁয়া ওঠা এক কাপ চা এরপর সকালের কাজ শুরু করি। প্রতিদিন ৪-৫টা পত্রিকা পড়া হয়। এ অভ্যাস আমার বাবার কাছ থেকে শিখেছি। সাংবাদিকতার শিক্ষার্থীদের পত্রিকা পড়তে হবে। তবে অনলাইনে পত্রিকা পড়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
উপাচার্য আরও বলেন, আমারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি করি। কিন্তু সতর্কভাবে লেখালেখি করছি না। যাতে করে অনেক মিসইনফরমেশন-ডিসইনফরমেশন ছড়াচ্ছে। যদিও করোনাকালীন বিভিন্ন মিসইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশন বেশি ছড়ানো হয়েছে। সে সময়ে তিনি বিভিন্ন টিভি টকশোতে এর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন বলেও জানান।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. আশরাফুল আলম, বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ্ নিস্তার জাহান কবীরসহ বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।