ঢাকা ১২:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




সিলেটে তাজিয়া মিছিলে সংঘর্ষ : নিহত ১, আহত ২

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫৩:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ৭৫ বার পড়া হয়েছে

ওসমানীনগর (সিলেট) প্রতিনিধিঃ  সিলেটের ওসমানীনগরে মর্হরমের তাজিয়া মিছিল নিয়ে মাজারে নিয়ে যাওয়ার পথে এক পক্ষের তাজিয়ায় অপর পক্ষের তাজিয়া লেগে যাওয়ার জের ধরে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহতসহ অপর দু’জন আহত হয়েছেন। নিহতের নাম আব্দুল খালিক (৪৭)। তিনি উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের করনসি দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার ছেলে। আহত দু’জন হলেন নিহতের ভাতিজা আনোয়ার মিয়া (২৫), ও গ্রামের মৃত ছমরু মিয়ার ছেলে হিরন মিয়া (৩৫)।

জানা যায়,গত ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের নিজকরনসি দক্ষিণ পাড়া গ্রামে মহররমের তাজিয়া নিয়ে নিজকরনসি মাইজগাঁওস্থ পাঞ্জাতনের (কটাইর মোকাম) মোকামে যাওয়ার পথে এক পক্ষের তাজিয়ার সাথে অপর পক্ষের তাজিয়ার ধাক্কা লেগে গেলে আব্দুল খালিক ও আবদুর রশিদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। দুইজনের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। তখন আনোয়ার ও হিরন নামের দুজন আহত হন। বিষয়টি জানতে পেরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে মধ্যস্থতায় পড়লে সংঘর্ষ থেমে যায়। সংঘষের্র কিছুক্ষণ পর বাড়িতে গিয়ে আব্দুল খালিক মৃত্যুবরণ করেন। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্যে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠান। তাছাড়া এলাকার বেশ শান্ত রাখার জন্য গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করেন। ময়না তদন্ত শেষে গতকাল ১০ সেপ্টেম্বর বাদ আসর নিজ করনসি গ্রামে জানাজা শেষে নিহতের লাশ দাফন করা হয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থানায় কোন লিখিত এজাহার দায়ের করা হয়নি।

নিহতের ছেলে সুমন মিয়া জানান, পবিত্র মর্হরমের মাসে মাজারে তাজিয়া নিয়ে যাওয়ার সময় ওরা আমাদের মারধর করে। তাদের মার এর কারণেই আমার বাবা মারা গেছেন। আমি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

প্রতিপক্ষ জামাল মিয়া (২৬) জানান, তাজিয়া নিয়ে লোকজন মাজারে যাওয়ার পথে একটি তাজিয়ার সাথে অন্য একটি তাজিয়া লেগে যায়। এসময় আনোয়ার মিয়া আমাদের গালমন্দ করেন। তার গালমন্দ শুনে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। বিষয়টি শেষ হয়ে গেলে বাড়িতে গিয়ে আব্দুল খালিক স্ট্রোক করে মারা যান। তারা এখন এটাকে হত্যাকাণ্ড বলে আমাদের ফাঁসাতে চাইছে। তিনি আগেও একবার স্ট্রোক করেছিলেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সৈয়দ জাহান আলী জানান, তাজিয়া নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে ঠিক, তবে আব্দুল খালিক সংঘর্ষে মারা গছেন না স্বাভাবিক অবস্থায় মারা গছেন এটা বলা যাচ্ছেনা।

গোয়ালাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মানিক জানান, করনসি দক্ষিণপাড়া গ্রামের আব্দুল খালিক নামের একজন মারা গেছেন। আমি এখন তার জানাজায় আছি, পরে কথা বলবো।

ওসমানীনগর থানার ওসি এসএম আল মামুন বলেন, থানার অফিসার মৃত ব্যক্তির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করেছেন। মৃতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে পেয়েছি তিনি মধ্যস্থতায় ছিলেন। হয়তো ঝগড়া থামাতে গিয়ে স্ট্রোক করে মারা যেতেও পারেন। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃতের ময়না তদন্ত হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে কী কারণে তিনি মারা গেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




সিলেটে তাজিয়া মিছিলে সংঘর্ষ : নিহত ১, আহত ২

আপডেট সময় : ১১:৫৩:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ওসমানীনগর (সিলেট) প্রতিনিধিঃ  সিলেটের ওসমানীনগরে মর্হরমের তাজিয়া মিছিল নিয়ে মাজারে নিয়ে যাওয়ার পথে এক পক্ষের তাজিয়ায় অপর পক্ষের তাজিয়া লেগে যাওয়ার জের ধরে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহতসহ অপর দু’জন আহত হয়েছেন। নিহতের নাম আব্দুল খালিক (৪৭)। তিনি উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের করনসি দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার ছেলে। আহত দু’জন হলেন নিহতের ভাতিজা আনোয়ার মিয়া (২৫), ও গ্রামের মৃত ছমরু মিয়ার ছেলে হিরন মিয়া (৩৫)।

জানা যায়,গত ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের নিজকরনসি দক্ষিণ পাড়া গ্রামে মহররমের তাজিয়া নিয়ে নিজকরনসি মাইজগাঁওস্থ পাঞ্জাতনের (কটাইর মোকাম) মোকামে যাওয়ার পথে এক পক্ষের তাজিয়ার সাথে অপর পক্ষের তাজিয়ার ধাক্কা লেগে গেলে আব্দুল খালিক ও আবদুর রশিদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। দুইজনের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। তখন আনোয়ার ও হিরন নামের দুজন আহত হন। বিষয়টি জানতে পেরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে মধ্যস্থতায় পড়লে সংঘর্ষ থেমে যায়। সংঘষের্র কিছুক্ষণ পর বাড়িতে গিয়ে আব্দুল খালিক মৃত্যুবরণ করেন। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্যে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠান। তাছাড়া এলাকার বেশ শান্ত রাখার জন্য গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করেন। ময়না তদন্ত শেষে গতকাল ১০ সেপ্টেম্বর বাদ আসর নিজ করনসি গ্রামে জানাজা শেষে নিহতের লাশ দাফন করা হয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থানায় কোন লিখিত এজাহার দায়ের করা হয়নি।

নিহতের ছেলে সুমন মিয়া জানান, পবিত্র মর্হরমের মাসে মাজারে তাজিয়া নিয়ে যাওয়ার সময় ওরা আমাদের মারধর করে। তাদের মার এর কারণেই আমার বাবা মারা গেছেন। আমি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

প্রতিপক্ষ জামাল মিয়া (২৬) জানান, তাজিয়া নিয়ে লোকজন মাজারে যাওয়ার পথে একটি তাজিয়ার সাথে অন্য একটি তাজিয়া লেগে যায়। এসময় আনোয়ার মিয়া আমাদের গালমন্দ করেন। তার গালমন্দ শুনে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। বিষয়টি শেষ হয়ে গেলে বাড়িতে গিয়ে আব্দুল খালিক স্ট্রোক করে মারা যান। তারা এখন এটাকে হত্যাকাণ্ড বলে আমাদের ফাঁসাতে চাইছে। তিনি আগেও একবার স্ট্রোক করেছিলেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সৈয়দ জাহান আলী জানান, তাজিয়া নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে ঠিক, তবে আব্দুল খালিক সংঘর্ষে মারা গছেন না স্বাভাবিক অবস্থায় মারা গছেন এটা বলা যাচ্ছেনা।

গোয়ালাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মানিক জানান, করনসি দক্ষিণপাড়া গ্রামের আব্দুল খালিক নামের একজন মারা গেছেন। আমি এখন তার জানাজায় আছি, পরে কথা বলবো।

ওসমানীনগর থানার ওসি এসএম আল মামুন বলেন, থানার অফিসার মৃত ব্যক্তির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করেছেন। মৃতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে পেয়েছি তিনি মধ্যস্থতায় ছিলেন। হয়তো ঝগড়া থামাতে গিয়ে স্ট্রোক করে মারা যেতেও পারেন। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃতের ময়না তদন্ত হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে কী কারণে তিনি মারা গেছেন।