ঢাকা ০৯:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




সম্পত্তি দখল ও হত্যা মামলার আসামী হয়েও বহাল পুঠিয়ার ওসি!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫০:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১০৩ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ

রাজশাহীর পুঠিয়া থানার ওসি সাকিল উদ্দিন আহমেদ বাপ্পীর বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। তিনি বিধবা শাশুড়িকে বের করে দিয়ে শ্বশুরবাড়ির সব সম্পত্তি দখলে নেন। এ নিয়ে মামলা করেন শাশুড়ি। মান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) থাকাকালে ওসি সাকিলের বিরুদ্ধে থানা হেফাজতে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলাও হয়েছে। এ মামলায় নিম্ন আদালত থেকে তিনি অব্যাহতি পেলেও বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত পুনর্তদন্ত করে মামলা চালানোর নির্দেশ দেন। এদিকে শাশুড়ির দায়ের করা মামলায় মিথ্যা আপসনামা দাখিল করে আদালত থেকে জামিন নেন তিনি। এসব করেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ‘ম্যানেজ’ করে থানায় স্বপদে বহাল রয়েছেন ওসি সাকিল।

মামলা মাথায় নিয়ে জামিনে থেকে পুলিশের দায়িত্বশীল পদে বহাল থাকা যায় কি-না- জানতে চাইলে রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নিশারুল আরিফ বলেন, ‘পুলিশের কোনো সদস্যের নামে মামলা হলে তিনি যেদিন গ্রেফতার হবেন বা জামিন নেবেন, সেদিন থেকেই সাময়িক বরখাস্ত থাকবেন। সেদিন থেকেই তার বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগে একটি বিভাগীয় মামলা চালু হবে। এই মামলায় এবং আদালতের মামলায় তিনি দোষী হলে আর চাকরি ফিরে পাবেন না। নির্দোষ প্রমাণিত হলেই তিনি স্বপদে বহাল হবেন।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পুঠিয়া থানার ওসি সাকিল উদ্দিনের নামে ফৌজদারি অপরাধের ১৪৩/৪৪৮/ ৩২৩/৩০৭/৪২৭/১০৯ দণ্ডবিধিতে মামলা রয়েছে। এই মামলায় তিনি পরপর দু’বার জামিন নিয়েছেন। এর মধ্যে গত বছরের ২৪ জানুয়ারি দুই হাজার টাকা এবং ১৭ জুলাই পাঁচ হাজার টাকার জামানত দিয়ে জামিন নেন তিনি।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৫ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার আকলিমা বেগমের স্বামী ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এ সময় আকলিমা শহরের বটতলাহাট এলাকায় স্বামীর বাড়িতেই থাকতেন। কিছুদিন পর ওই বছরের ৮ ডিসেম্বর আকলিমার মেয়ে জামাই ওসি সাকিল উদ্দিন আহমেদ বাপ্পীর সহযোগিতায় তার বড় ছেলে মেজবাহুল হক জুয়েলকে ছোট ছেলে শাহিন, সুমন ও মেয়ে শামিমা আখতার ফেন্সি মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তারা বাড়ির মালপত্র ভাংচুর ও স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়। একই সময় তারা আকলিমার স্বামীর পেট্রোল পাম্প, বাড়ি, গোডাউন, আমবাগান দখল করে নেয়। এসব ঘটনায় আকলিমা আদালতে মামলা করলে তার বটতলার বাড়িটিও দখলে নেয় সাকিল। মামলা চলা অবস্থাতেই দুই দফা চাঁপাইনবাবগঞ্জের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত থেকে জামিন নেন সাকিল।

মামলার বাদী আকলিমা বেগম বলেন, বাড়িতে হামলার এক সপ্তাহ আগে সাকিল তাকে বাড়ি থেকে নেমে যাওয়ার হুমকি দেন। এর পরই বাড়িতে হামলা করা হয়। তিনি শহরের পুরাতন বাজার এলাকার বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। এই বাড়ি থেকেও তাকে তিন মাস বিতাড়িত করে রাখেন সাকিল।

আকলিমা বেগম বলেন, গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর ও ২৭ নভেম্বর সাক্ষীদের নিয়ে আদালতে হাজির হলেও সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। পরে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তিনি অসুস্থতার কারণে আদালতে যেতে পারেননি। এ জন্য আইনজীবীর মাধ্যমে সময় প্রার্থনাও করেছিলেন। কিন্তু তার অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে ওসি সাকিল প্রভাব খাটিয়ে আইনজীবীদের মাধ্যমে একটি জাল আপসনামা দাখিল করেন। এতেই আদালত মামলা খারিজ করে দেন। পরে তিনি বিষয়টি অবগত হয়ে গত ৫ মার্চ জেলা দায়রা জজ আদালতে আপিল করেন। আদালত গত ২৭ আগস্ট শুনানি শেষে আপিল মঞ্জুর করেন এবং শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।

এদিকে মান্দা থানার এসআই থাকাকালে সাকিল ২০০৬ সালে মনোয়ারুল আলম সাগর নামের এক নববিবাহিত যুবককে মামলা ছাড়াই শ্বশুরবাড়ি থেকে থানায় নিয়ে আসেন। পরে থানা হাজতে পুলিশের পিটুনিতে তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা না নিলে আদালতে মামলা করেন সাগরের মা মর্জিনা আলম শাহ। এতে তিন নম্বর আসামি ছিলেন সাকিল। পরে মামলাটি চার্জশিট থেকেই পুলিশ আসামিদের অব্যাহতি দেয়। এতে বাদী নারাজি দেন। নওগাঁর জেলা দায়রা জজ আদালত নারাজি গ্রহণ না করায় উচ্চ আদালতে আপিল করেন বাদী। তখন ফের তদন্ত শুরু হয়। পরে আসামিরা উচ্চ আদালতে মামলা স্থগিতাদেশ নেন। এরপর আবারও বাদী আপিল করলে স্থগিতাদেশ বাতিল করা হয়। উচ্চ আদালত মামলা চলবে বলে আদেশ দেন। নিহত সাগরের ভগ্নিপতি মোতাহারুল ইসলাম বাবলু বুধবার বিকেলে বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায্য বিচার পেতে তিনি হাইকোর্টে অবস্থান করছেন। মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ করানোর জন্য তারা আবারও রিট করবেন।

এসব বিষয়ে ওসি সাকিল উদ্দিন আহমেদ বাপ্পীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। নওগাঁর সাগর হত্যা মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ওই মামলা থেকে অনেক আগেই আমরা অব্যাহতি পেয়েছি। এখন উচ্চ আদালতে কী অবস্থায় আছে জানি না।’

এ নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, ঘটনাটি আমার জানা ছিল না। এখনই জানলাম। ঘটনা সত্য হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




সম্পত্তি দখল ও হত্যা মামলার আসামী হয়েও বহাল পুঠিয়ার ওসি!

আপডেট সময় : ০৯:৫০:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ

রাজশাহীর পুঠিয়া থানার ওসি সাকিল উদ্দিন আহমেদ বাপ্পীর বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। তিনি বিধবা শাশুড়িকে বের করে দিয়ে শ্বশুরবাড়ির সব সম্পত্তি দখলে নেন। এ নিয়ে মামলা করেন শাশুড়ি। মান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) থাকাকালে ওসি সাকিলের বিরুদ্ধে থানা হেফাজতে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলাও হয়েছে। এ মামলায় নিম্ন আদালত থেকে তিনি অব্যাহতি পেলেও বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত পুনর্তদন্ত করে মামলা চালানোর নির্দেশ দেন। এদিকে শাশুড়ির দায়ের করা মামলায় মিথ্যা আপসনামা দাখিল করে আদালত থেকে জামিন নেন তিনি। এসব করেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ‘ম্যানেজ’ করে থানায় স্বপদে বহাল রয়েছেন ওসি সাকিল।

মামলা মাথায় নিয়ে জামিনে থেকে পুলিশের দায়িত্বশীল পদে বহাল থাকা যায় কি-না- জানতে চাইলে রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নিশারুল আরিফ বলেন, ‘পুলিশের কোনো সদস্যের নামে মামলা হলে তিনি যেদিন গ্রেফতার হবেন বা জামিন নেবেন, সেদিন থেকেই সাময়িক বরখাস্ত থাকবেন। সেদিন থেকেই তার বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগে একটি বিভাগীয় মামলা চালু হবে। এই মামলায় এবং আদালতের মামলায় তিনি দোষী হলে আর চাকরি ফিরে পাবেন না। নির্দোষ প্রমাণিত হলেই তিনি স্বপদে বহাল হবেন।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পুঠিয়া থানার ওসি সাকিল উদ্দিনের নামে ফৌজদারি অপরাধের ১৪৩/৪৪৮/ ৩২৩/৩০৭/৪২৭/১০৯ দণ্ডবিধিতে মামলা রয়েছে। এই মামলায় তিনি পরপর দু’বার জামিন নিয়েছেন। এর মধ্যে গত বছরের ২৪ জানুয়ারি দুই হাজার টাকা এবং ১৭ জুলাই পাঁচ হাজার টাকার জামানত দিয়ে জামিন নেন তিনি।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৫ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার আকলিমা বেগমের স্বামী ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এ সময় আকলিমা শহরের বটতলাহাট এলাকায় স্বামীর বাড়িতেই থাকতেন। কিছুদিন পর ওই বছরের ৮ ডিসেম্বর আকলিমার মেয়ে জামাই ওসি সাকিল উদ্দিন আহমেদ বাপ্পীর সহযোগিতায় তার বড় ছেলে মেজবাহুল হক জুয়েলকে ছোট ছেলে শাহিন, সুমন ও মেয়ে শামিমা আখতার ফেন্সি মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তারা বাড়ির মালপত্র ভাংচুর ও স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়। একই সময় তারা আকলিমার স্বামীর পেট্রোল পাম্প, বাড়ি, গোডাউন, আমবাগান দখল করে নেয়। এসব ঘটনায় আকলিমা আদালতে মামলা করলে তার বটতলার বাড়িটিও দখলে নেয় সাকিল। মামলা চলা অবস্থাতেই দুই দফা চাঁপাইনবাবগঞ্জের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত থেকে জামিন নেন সাকিল।

মামলার বাদী আকলিমা বেগম বলেন, বাড়িতে হামলার এক সপ্তাহ আগে সাকিল তাকে বাড়ি থেকে নেমে যাওয়ার হুমকি দেন। এর পরই বাড়িতে হামলা করা হয়। তিনি শহরের পুরাতন বাজার এলাকার বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। এই বাড়ি থেকেও তাকে তিন মাস বিতাড়িত করে রাখেন সাকিল।

আকলিমা বেগম বলেন, গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর ও ২৭ নভেম্বর সাক্ষীদের নিয়ে আদালতে হাজির হলেও সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। পরে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তিনি অসুস্থতার কারণে আদালতে যেতে পারেননি। এ জন্য আইনজীবীর মাধ্যমে সময় প্রার্থনাও করেছিলেন। কিন্তু তার অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে ওসি সাকিল প্রভাব খাটিয়ে আইনজীবীদের মাধ্যমে একটি জাল আপসনামা দাখিল করেন। এতেই আদালত মামলা খারিজ করে দেন। পরে তিনি বিষয়টি অবগত হয়ে গত ৫ মার্চ জেলা দায়রা জজ আদালতে আপিল করেন। আদালত গত ২৭ আগস্ট শুনানি শেষে আপিল মঞ্জুর করেন এবং শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।

এদিকে মান্দা থানার এসআই থাকাকালে সাকিল ২০০৬ সালে মনোয়ারুল আলম সাগর নামের এক নববিবাহিত যুবককে মামলা ছাড়াই শ্বশুরবাড়ি থেকে থানায় নিয়ে আসেন। পরে থানা হাজতে পুলিশের পিটুনিতে তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা না নিলে আদালতে মামলা করেন সাগরের মা মর্জিনা আলম শাহ। এতে তিন নম্বর আসামি ছিলেন সাকিল। পরে মামলাটি চার্জশিট থেকেই পুলিশ আসামিদের অব্যাহতি দেয়। এতে বাদী নারাজি দেন। নওগাঁর জেলা দায়রা জজ আদালত নারাজি গ্রহণ না করায় উচ্চ আদালতে আপিল করেন বাদী। তখন ফের তদন্ত শুরু হয়। পরে আসামিরা উচ্চ আদালতে মামলা স্থগিতাদেশ নেন। এরপর আবারও বাদী আপিল করলে স্থগিতাদেশ বাতিল করা হয়। উচ্চ আদালত মামলা চলবে বলে আদেশ দেন। নিহত সাগরের ভগ্নিপতি মোতাহারুল ইসলাম বাবলু বুধবার বিকেলে বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায্য বিচার পেতে তিনি হাইকোর্টে অবস্থান করছেন। মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ করানোর জন্য তারা আবারও রিট করবেন।

এসব বিষয়ে ওসি সাকিল উদ্দিন আহমেদ বাপ্পীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। নওগাঁর সাগর হত্যা মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ওই মামলা থেকে অনেক আগেই আমরা অব্যাহতি পেয়েছি। এখন উচ্চ আদালতে কী অবস্থায় আছে জানি না।’

এ নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, ঘটনাটি আমার জানা ছিল না। এখনই জানলাম। ঘটনা সত্য হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।