বিআইডব্লিউটিএ’র সাবেক কর্মকর্তা সালামের ৭ বছরের দণ্ড

- আপডেট সময় : ০৩:১২:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০১৯ ২০২ বার পড়া হয়েছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট |
মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের দায়ের করা মামলায় বিআইডব্লিউটিএ’র সাবেক সহকারী কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম খানকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
মামলায় আসামি আব্দুস সালাম খানের স্ত্রী শাহনাজ পারভীন লাভলীকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দুপুরে বিশেষ জজ-১০ এর বিচারক জয়নাল আবেদীন আসামির উপস্থিতিতে ৭ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৪১ কোটি ১৯ লাখ ৭ হাজার ৩২ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন।
রায় ঘোষণার পর আসামি সালাম খানকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সালাম খানের স্থাবর/অস্থাবর সব সম্পত্তি সরকারের অনূকুলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১০ সালের ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ কর্মচারীদের উন্নয়ন তহবিলের ১৯ কোটি ৯৯ লাখ ১৫ হাজার একশত ১৬ টাকা ১৭ পয়সা পুরানা পল্টন শাখার জনতা ব্যাংক জমা দেন ওই কর্মকর্তা। এরপর আসামি ৬৫২টি চেকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল করে ২০ কোটি ৫৯ লাখ ৫৩ হাজার ৫১৬ টাকা ৬ পয়সা উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করেন। সেই টাকা দিয়ে আসামি বিভিন্ন সময় নামে বেনামে সম্পদ ক্রয় করেছেন।
ওই ঘটনায় বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক মো. বেনজীর আহমেদ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।
২০১২ সালের ৫ আগস্ট মামলাটি তদন্ত করে উক্ত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় দিয়েছেন আদালত।