ঢাকা ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




চাপ সামলাতে পারলেই চ্যাম্পিয়ন!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৫৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০১৯ ৮৭ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ সংবাদদাতা লর্ডস, লন্ডন থেকে;
স্বাগতিক দলের সুবিধা-অসুবিধা দুই’ই আছে। নিজ মাঠে চেনা জানা পরিবেশ আর দর্শক সমর্থনপুষ্ট হয়ে খেলায় একটা বাড়তি সুবিধা থাকে অবশ্যই। আবার ঘরে মাঠে দর্শক, সমর্থক-ভক্তদের প্রত্যাশার চাপ, পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের প্রত্যাশাটাও বাড়তি চাপ হিসেবে কাজ করে।

এ কারণেই নিউজিল্যান্ড কোচ গ্যারি স্টিডের মনে হয় না শুধু ইংলিশদের ওপরই চাপ থাকবে। তার ধারণা দু’দলই সমান চাপে থাকবে। যারা এই চাপ কাটিয়ে স্বাভাবিক ও ভাল পারফরম্যান্স করতে পারবে, তারাই জিতবে।

১৪ জুলাই লর্ডসের ফাইনালে কারা বেশি চাপে থাকবে, সেটা কি স্বাগাতিক ইংল্যান্ড? এমন প্রশ্ন করা হলে নিউজিল্যান্ড কোচ বলেন, ‘আসলে এটা হচ্ছে বিশ্বকাপ ফাইনাল। দু’দলের জন্যই সমান চাপ। এখন কোন দল কতটা মনোবল, আস্থা আর আত্মবিশ্বাসের সাথে সে চাপ কাটিয়ে ভাল পারফরম করে সেটাই দেখার বিষয়।’

দু’দলের কেউই এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। এটাও একটা অন্যরকম চাপ। এমনটা মনে করে কিউই কোচ বলে ওঠেন, ‘দুই দলের কেউই এখনো বিশ্বকাপ জিতেনি। এবার বিশ্ব এক নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে পাবে। কাজেই বিশ্বকাপ জয়ের অনুভুতি কি, তা দু’ দলেরই অজানা। তবে দু’দলই কিন্তু এর আগে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছে।’

দু’দলের ওপর সমান চাপের কথা বলেও একটা পর্যায়ে গিয়ে গ্যারি স্টিড বলে ওঠেন, ‘দেখেছি ভারত আর ইংল্যান্ডকে সম্ভাব্য বিজয়ী ভাবা হয়েছে বেশি। কি জানি মনে হয়, সেটাও ওই দু’দলের জন্য বাড়তি চাপ হিসেবে কাজ করে থাকতে পারে।’

বিশ্বকাপ জিততে না পারলেও চার বছর আগে নিউজিল্যান্ড ফাইনাল খেলেছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। সেই দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার আছেন এবারের দলেও। আজ প্রচার মাধ্যমের সাথে কথোপকোথনে সে প্রসঙ্গ টেনে নিউজিল্যান্ড কোচ বলে উঠলেন, ‘অমাদের দলের ৮ থেকে ৯ জনের আগের বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা আছে।’

তবে ফাইনাল খেলার আগে তার উত্তাপ, উত্তেজনা পরিমাপ করা কঠিন বলে মনে হয় গ্যারির। ‘আপনি যতক্ষণ না ফাইনাল খেলবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত বোঝার উপায় নেই আসলে ফাইনালের চাপ কতটা ও কেমন?’

তবে ভারতের সাথে সেমির যুদ্ধে জয়ের পর তার দল বড়-সড় চাপ কাটিয়ে উঠেছে বলে মনে হয় স্টিডের। তিনি বলেন, ‘আমি এই ভেবে খানিক স্বস্তিতে যে, সেমিফাইনালে আমরা চাপ সামলে খেলতে পেরেছি এবং চাপ সহ্যও করেছি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




চাপ সামলাতে পারলেই চ্যাম্পিয়ন!

আপডেট সময় : ১২:৫৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০১৯

বিশেষ সংবাদদাতা লর্ডস, লন্ডন থেকে;
স্বাগতিক দলের সুবিধা-অসুবিধা দুই’ই আছে। নিজ মাঠে চেনা জানা পরিবেশ আর দর্শক সমর্থনপুষ্ট হয়ে খেলায় একটা বাড়তি সুবিধা থাকে অবশ্যই। আবার ঘরে মাঠে দর্শক, সমর্থক-ভক্তদের প্রত্যাশার চাপ, পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের প্রত্যাশাটাও বাড়তি চাপ হিসেবে কাজ করে।

এ কারণেই নিউজিল্যান্ড কোচ গ্যারি স্টিডের মনে হয় না শুধু ইংলিশদের ওপরই চাপ থাকবে। তার ধারণা দু’দলই সমান চাপে থাকবে। যারা এই চাপ কাটিয়ে স্বাভাবিক ও ভাল পারফরম্যান্স করতে পারবে, তারাই জিতবে।

১৪ জুলাই লর্ডসের ফাইনালে কারা বেশি চাপে থাকবে, সেটা কি স্বাগাতিক ইংল্যান্ড? এমন প্রশ্ন করা হলে নিউজিল্যান্ড কোচ বলেন, ‘আসলে এটা হচ্ছে বিশ্বকাপ ফাইনাল। দু’দলের জন্যই সমান চাপ। এখন কোন দল কতটা মনোবল, আস্থা আর আত্মবিশ্বাসের সাথে সে চাপ কাটিয়ে ভাল পারফরম করে সেটাই দেখার বিষয়।’

দু’দলের কেউই এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। এটাও একটা অন্যরকম চাপ। এমনটা মনে করে কিউই কোচ বলে ওঠেন, ‘দুই দলের কেউই এখনো বিশ্বকাপ জিতেনি। এবার বিশ্ব এক নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে পাবে। কাজেই বিশ্বকাপ জয়ের অনুভুতি কি, তা দু’ দলেরই অজানা। তবে দু’দলই কিন্তু এর আগে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছে।’

দু’দলের ওপর সমান চাপের কথা বলেও একটা পর্যায়ে গিয়ে গ্যারি স্টিড বলে ওঠেন, ‘দেখেছি ভারত আর ইংল্যান্ডকে সম্ভাব্য বিজয়ী ভাবা হয়েছে বেশি। কি জানি মনে হয়, সেটাও ওই দু’দলের জন্য বাড়তি চাপ হিসেবে কাজ করে থাকতে পারে।’

বিশ্বকাপ জিততে না পারলেও চার বছর আগে নিউজিল্যান্ড ফাইনাল খেলেছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। সেই দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার আছেন এবারের দলেও। আজ প্রচার মাধ্যমের সাথে কথোপকোথনে সে প্রসঙ্গ টেনে নিউজিল্যান্ড কোচ বলে উঠলেন, ‘অমাদের দলের ৮ থেকে ৯ জনের আগের বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা আছে।’

তবে ফাইনাল খেলার আগে তার উত্তাপ, উত্তেজনা পরিমাপ করা কঠিন বলে মনে হয় গ্যারির। ‘আপনি যতক্ষণ না ফাইনাল খেলবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত বোঝার উপায় নেই আসলে ফাইনালের চাপ কতটা ও কেমন?’

তবে ভারতের সাথে সেমির যুদ্ধে জয়ের পর তার দল বড়-সড় চাপ কাটিয়ে উঠেছে বলে মনে হয় স্টিডের। তিনি বলেন, ‘আমি এই ভেবে খানিক স্বস্তিতে যে, সেমিফাইনালে আমরা চাপ সামলে খেলতে পেরেছি এবং চাপ সহ্যও করেছি।’