ঢাকা ০৭:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




ব্যাংকের ৮ কোটি টাকা নিয়ে উধাও ছাত্রদল সভাপতি, সম্পত্তি নিলামে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:১৭:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুন ২০১৯ ৮৪ বার পড়া হয়েছে

উপজেলা প্রতিনিধি ঈশ্বরদী (পাবনা);
সাউথইস্ট ব্যাংকের ঈশ্বরদী শাখা থেকে প্রায় আট কোটি টাকা ঋণ নিয়ে উধাও হওয়া উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমরুল কায়েস সুমনের জমি, বাড়ি, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান নিলামে উঠছে।

সাউথইস্ট ব্যাংক ঈশ্বরদী শাখার ম্যানেজার মনসুর আহমেদ বলেন, ব্যাংকের কাছে জামানত রাখা সুমনের ১২৮ দশমিক ৯৭ শতক জমিসহ তার বাড়ি, সমিল, ভিটা, বাণিজ্যিক ভবনসহ সবকিছু নিলামে বিক্রি করার প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই নিয়ম অনুযায়ী চূড়ান্ত কার্যক্রমে যাবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

তিনি বলেন, ব্যবসা পরিচালনার জন্য বিভিন্ন সময় পাঁচ কোটি ৮৯ লাখ ঋণ নেন সুমন। পাশাপাশি নগদ দুই কোটি ১৫ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হন তিনি। ইতোমধ্যে ব্যাংকের টাকা খোয়া যাওয়ায় সাউথইস্ট ব্যাংকের ঈশ্বরদী শাখার তৎকালীন ম্যানেজার মোস্তাক আহমেদসহ চারজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

ঈশ্বরদীর ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ‘ড্যাফোডিলস’ এর মালিক আবদুল মান্নান টিপু বলেন, উধাও হওয়ার আগে আমাকে চেক দিয়ে নগদ ২০ লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন সুমন। এ ঘটনায় আদালতের মাধ্যমে তাকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছি আমি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ব্যবসায়ী ইমরুল কায়েস সুমনকে (৪০) গত ১১ এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনি কোথায় আছেন জানে না তার পরিবার।

বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যাংক থেকে টাকা নেয়ার পর সুমন প্রথমে ভারতে এবং পরে মালয়েশিয়া অথবা অন্য কোনও দেশে পালিয়ে গেছেন।

ব্যাংক সূত্র জানায়, ১১ এপ্রিল সাউথইস্ট ব্যাংক ঈশ্বরদী শাখার তৎকালীন ম্যানেজার মোস্তাক আহমেদের কাছ থেকে দুই কোটি ১৫ লাখ টাকা নগদ গ্রহণ করেন সুমন। এসব টাকা ওই দিন বিকেলেই ফেরত দিয়ে ঋণ সমন্বয়ের কথা ছিল। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত টাকা জমা না হওয়ায় সুমনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তার দুটি মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়ায় ম্যানেজার মোস্তাক আহমেদের সন্দেহ হয়। তিনি তার বাড়িসহ সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ নিয়েও কোনও হদিস পাননি। পরে তিনি বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় ওই দিন রাতে সুমনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী বলেন, ব্যাংক থেকে বিভিন্ন সময় নেয়া ঋণ এবং নগদ টাকা নিয়ে নিরুদ্দেশ হওয়ার ঘটনায় সুমনের নামে দুটি মামলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রায় ৮ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

পুলিশ ও সাউথইস্ট ব্যাংক ঈশ্বরদী শাখা সূত্র জানায়, ইমরুল কায়েস সুমন ঈশ্বরদী পৌরসভার ঠিকাদারি করার পাশাপাশি বিকাশ ও ইউনিলিভারের ঈশ্বরদী এলাকার পরিবেশক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছিলেন।সক্রিয়ভাবে বিএনপির রাজনীতি করার পাশাপাশি তিনি সমিলসহ একাধিক ব্যবসা পরিচালনা করতেন। সাউথইস্ট ব্যাংক ঈশ্বরদী শাখা থেকে করাত কল, বিকাশ ও ইউনিলিভারের ব্যবসা, পৌরসভার ঠিকাদারি কাজ পরিচালনাসহ নানা প্রয়োজনে বিভিন্ন সময়ে প্রায় আট কোটি টাকা ঋণ নিয়ে উধাও হন সুমন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ব্যাংকের ৮ কোটি টাকা নিয়ে উধাও ছাত্রদল সভাপতি, সম্পত্তি নিলামে

আপডেট সময় : ০৭:১৭:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুন ২০১৯

উপজেলা প্রতিনিধি ঈশ্বরদী (পাবনা);
সাউথইস্ট ব্যাংকের ঈশ্বরদী শাখা থেকে প্রায় আট কোটি টাকা ঋণ নিয়ে উধাও হওয়া উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমরুল কায়েস সুমনের জমি, বাড়ি, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান নিলামে উঠছে।

সাউথইস্ট ব্যাংক ঈশ্বরদী শাখার ম্যানেজার মনসুর আহমেদ বলেন, ব্যাংকের কাছে জামানত রাখা সুমনের ১২৮ দশমিক ৯৭ শতক জমিসহ তার বাড়ি, সমিল, ভিটা, বাণিজ্যিক ভবনসহ সবকিছু নিলামে বিক্রি করার প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই নিয়ম অনুযায়ী চূড়ান্ত কার্যক্রমে যাবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

তিনি বলেন, ব্যবসা পরিচালনার জন্য বিভিন্ন সময় পাঁচ কোটি ৮৯ লাখ ঋণ নেন সুমন। পাশাপাশি নগদ দুই কোটি ১৫ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হন তিনি। ইতোমধ্যে ব্যাংকের টাকা খোয়া যাওয়ায় সাউথইস্ট ব্যাংকের ঈশ্বরদী শাখার তৎকালীন ম্যানেজার মোস্তাক আহমেদসহ চারজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

ঈশ্বরদীর ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ‘ড্যাফোডিলস’ এর মালিক আবদুল মান্নান টিপু বলেন, উধাও হওয়ার আগে আমাকে চেক দিয়ে নগদ ২০ লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন সুমন। এ ঘটনায় আদালতের মাধ্যমে তাকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছি আমি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ব্যবসায়ী ইমরুল কায়েস সুমনকে (৪০) গত ১১ এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনি কোথায় আছেন জানে না তার পরিবার।

বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যাংক থেকে টাকা নেয়ার পর সুমন প্রথমে ভারতে এবং পরে মালয়েশিয়া অথবা অন্য কোনও দেশে পালিয়ে গেছেন।

ব্যাংক সূত্র জানায়, ১১ এপ্রিল সাউথইস্ট ব্যাংক ঈশ্বরদী শাখার তৎকালীন ম্যানেজার মোস্তাক আহমেদের কাছ থেকে দুই কোটি ১৫ লাখ টাকা নগদ গ্রহণ করেন সুমন। এসব টাকা ওই দিন বিকেলেই ফেরত দিয়ে ঋণ সমন্বয়ের কথা ছিল। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত টাকা জমা না হওয়ায় সুমনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তার দুটি মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়ায় ম্যানেজার মোস্তাক আহমেদের সন্দেহ হয়। তিনি তার বাড়িসহ সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ নিয়েও কোনও হদিস পাননি। পরে তিনি বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় ওই দিন রাতে সুমনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী বলেন, ব্যাংক থেকে বিভিন্ন সময় নেয়া ঋণ এবং নগদ টাকা নিয়ে নিরুদ্দেশ হওয়ার ঘটনায় সুমনের নামে দুটি মামলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রায় ৮ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

পুলিশ ও সাউথইস্ট ব্যাংক ঈশ্বরদী শাখা সূত্র জানায়, ইমরুল কায়েস সুমন ঈশ্বরদী পৌরসভার ঠিকাদারি করার পাশাপাশি বিকাশ ও ইউনিলিভারের ঈশ্বরদী এলাকার পরিবেশক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছিলেন।সক্রিয়ভাবে বিএনপির রাজনীতি করার পাশাপাশি তিনি সমিলসহ একাধিক ব্যবসা পরিচালনা করতেন। সাউথইস্ট ব্যাংক ঈশ্বরদী শাখা থেকে করাত কল, বিকাশ ও ইউনিলিভারের ব্যবসা, পৌরসভার ঠিকাদারি কাজ পরিচালনাসহ নানা প্রয়োজনে বিভিন্ন সময়ে প্রায় আট কোটি টাকা ঋণ নিয়ে উধাও হন সুমন।