ঢাকা ১০:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন




নড়াইলে ছাত্রদের মারধর, পিস্তল বের করে হত্যার হুমকি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:১৩:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০১৯ ৭৮ বার পড়া হয়েছে

নড়াইল প্রতিনিধি;

নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষককে এক অভিভাবককে লাঞ্ছিত করায় এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় তাদের ওপর হামলা, মারধর ও পিস্তল বের করে হত্যার হুমকি দেন রেজাউল করিম নামে এক ঠিকারাদর। রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা স্কুলের পাশে নড়াইল-যশোর সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে শিক্ষক, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ তাদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার সকালে নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক প্রদেশ কুমার মল্লিক নিজবাসায় প্রাইভেট ছাত্র-ছাত্রীর সাপ্তাহিক পরীক্ষা নিচ্ছিলেন। এ সময় নড়াইল সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী পরীক্ষার খাতায় নিজের নাম না লেখায় ওই শিক্ষক তাকে বকা দেন। এ সময় নাম লিখতে বললে ছাত্রী নিজের নাম লিখে শিক্ষকের দিকে খাতা ছুঁড়ে দেয়। এতে শিক্ষক তাকে স্কেল দিয়ে হাতে সামান্য আঘাত করেন। এরপর ওই ছাত্রী কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে গিয়ে তার বাবা ঠিকাদার মইনুল্লাহ দুলুকে বিষয়টি জানালে তিনি ওই শিক্ষকের বাড়িতে এসে দরজায় লাথি মেরে ভেতরে প্রবেশ করেন এবং শিক্ষককে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সামনে ঘর থেকে কলার ধরে বের করে এনে থাপ্পর মারেন ও গালাগালি করেন। বিষয়টি স্কুলের অন্য ছাত্রদের মধ্যে জানাজানি হলে তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।

নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পাশ করা স্কুল ছাত্র সংসদের নির্বাচিত ভিপি জাকারিয়া খানসহ শিক্ষার্থীরা জানায়, তারা এ ঘটনায় দোষী ব্যক্তির বিচারের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলেন। হঠাৎ করে ওই ছাত্রীর বাবা ঠিকাদার মইনুল্লাহ দুলুর লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায় ও মারধর করে। এ সময় রেজাউল আলম নামে একজন পিস্তল বের করে ছাত্রদের গুলি করার জন্য এগিয়ে যান। এতে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে ছোটোছুটি শুরু করে।

এ বিষয়ে ঠিকদার রেজাউল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি। তবে পিস্তলটি লাইসেন্সকৃত বলে দাবি তার। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা জানান, দু’পক্ষকে ডেকে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়েছে। তবে ওই সময়ে বের করা পিস্তলটি সদর থানায় জমা রাখা হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইয়ারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানার পর সকাল ১০টার দিকে জেলা প্রশাসকের অফিস কক্ষে ওই শিক্ষক বো অভিভাবককে ডেকে নিয়ে মিমাংসা করে দেওয়া হয়। এরপর কিছু ছাত্রের সঙ্গে ওই অভিভাবকের লোকজনের বাকবিতণ্ডা হয়েছে বলে শুনেছি। পরে দুপুর ১২টার দিকে নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসে ছাত্রদের বুঝিয়ে ক্লাসে পাঠান।

অভিযোগ প্রসঙ্গে মইনুল্লাহ দুলু বলেন, ছাত্রছাত্রীদের গায়ে হাত তোলার নিয়ম নেই। ওই শিক্ষক প্রায়ই ছাত্রছাত্রীর গায়ে হাত তোলে। আমার মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে এসে জানালে তখন রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে ওই শিক্ষককে ধরে নিয়ে থানায় দেওয়ার চেষ্টা করি। তবে তাকে মারধর করা হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




নড়াইলে ছাত্রদের মারধর, পিস্তল বের করে হত্যার হুমকি

আপডেট সময় : ১১:১৩:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০১৯

নড়াইল প্রতিনিধি;

নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষককে এক অভিভাবককে লাঞ্ছিত করায় এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় তাদের ওপর হামলা, মারধর ও পিস্তল বের করে হত্যার হুমকি দেন রেজাউল করিম নামে এক ঠিকারাদর। রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা স্কুলের পাশে নড়াইল-যশোর সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে শিক্ষক, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ তাদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার সকালে নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক প্রদেশ কুমার মল্লিক নিজবাসায় প্রাইভেট ছাত্র-ছাত্রীর সাপ্তাহিক পরীক্ষা নিচ্ছিলেন। এ সময় নড়াইল সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী পরীক্ষার খাতায় নিজের নাম না লেখায় ওই শিক্ষক তাকে বকা দেন। এ সময় নাম লিখতে বললে ছাত্রী নিজের নাম লিখে শিক্ষকের দিকে খাতা ছুঁড়ে দেয়। এতে শিক্ষক তাকে স্কেল দিয়ে হাতে সামান্য আঘাত করেন। এরপর ওই ছাত্রী কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে গিয়ে তার বাবা ঠিকাদার মইনুল্লাহ দুলুকে বিষয়টি জানালে তিনি ওই শিক্ষকের বাড়িতে এসে দরজায় লাথি মেরে ভেতরে প্রবেশ করেন এবং শিক্ষককে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সামনে ঘর থেকে কলার ধরে বের করে এনে থাপ্পর মারেন ও গালাগালি করেন। বিষয়টি স্কুলের অন্য ছাত্রদের মধ্যে জানাজানি হলে তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।

নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পাশ করা স্কুল ছাত্র সংসদের নির্বাচিত ভিপি জাকারিয়া খানসহ শিক্ষার্থীরা জানায়, তারা এ ঘটনায় দোষী ব্যক্তির বিচারের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলেন। হঠাৎ করে ওই ছাত্রীর বাবা ঠিকাদার মইনুল্লাহ দুলুর লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায় ও মারধর করে। এ সময় রেজাউল আলম নামে একজন পিস্তল বের করে ছাত্রদের গুলি করার জন্য এগিয়ে যান। এতে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে ছোটোছুটি শুরু করে।

এ বিষয়ে ঠিকদার রেজাউল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি। তবে পিস্তলটি লাইসেন্সকৃত বলে দাবি তার। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা জানান, দু’পক্ষকে ডেকে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়েছে। তবে ওই সময়ে বের করা পিস্তলটি সদর থানায় জমা রাখা হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইয়ারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানার পর সকাল ১০টার দিকে জেলা প্রশাসকের অফিস কক্ষে ওই শিক্ষক বো অভিভাবককে ডেকে নিয়ে মিমাংসা করে দেওয়া হয়। এরপর কিছু ছাত্রের সঙ্গে ওই অভিভাবকের লোকজনের বাকবিতণ্ডা হয়েছে বলে শুনেছি। পরে দুপুর ১২টার দিকে নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসে ছাত্রদের বুঝিয়ে ক্লাসে পাঠান।

অভিযোগ প্রসঙ্গে মইনুল্লাহ দুলু বলেন, ছাত্রছাত্রীদের গায়ে হাত তোলার নিয়ম নেই। ওই শিক্ষক প্রায়ই ছাত্রছাত্রীর গায়ে হাত তোলে। আমার মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে এসে জানালে তখন রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে ওই শিক্ষককে ধরে নিয়ে থানায় দেওয়ার চেষ্টা করি। তবে তাকে মারধর করা হয়নি।