ঢাকা ১০:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন




‘তিন বছরেও খোলা হয়নি এক্স-রে রুমের তালা’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:১৩:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০১৯ ১৪৬ বার পড়া হয়েছে

বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

বরগুনা সংবাদদাতা: বেতাগীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিন বছর ধরে তালাবদ্ধ অবস্থায় রাখা হয়েছে এক্স-রে কক্ষ। দিনের পর দিন বন্ধ থাকায় রোগীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। হাসপতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য লোকবলের অভাবে তিনবছর ধরে এক্সরে মেশিন বন্ধ রাখা হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এক্স-রে মেশিনের কক্ষটি বন্ধ রয়েছে। কক্ষের সামনে মরিচা ধরা তালা ঝুলছে। দরজা জুড়ে রয়েছে মাকড়াশার জাল বোনা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পার্শ্ববর্তী একটি ডায়গনষ্টিক সেন্টারের রেডিও গ্রাফার জানিয়েছেন, এক্স-রে মেশিনটি দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় কারিগারি সমস্যা হতে পারে।

এদিকে লোকবলের অভাবে এক্স-রে মেশিনটি বন্ধ থাকায় যন্ত্রপাতিতে নানা ধরনের ত্রুটি দেখা দিতে পারে। তবে কি অবস্থায় রয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিছুই বলতে পারছেন না।

জানা গেছে, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালটিতে বর্তমানে ছয়জন চিকিৎসক, ফার্মাসিষ্ট, কম্পাউন্ডার, পরিসংখ্যান বিদ, মেডিক্যাল টেকনলোজিস্ট পদ শূন্যের পাশাপাশি এক্স- রে মেশিন পরিচালনার জন্য রেডিও গ্রাফার নেই দীর্ঘ তিন বছর ধরে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্র জানায়, কর্মরত রেডিও গ্রাফার আবুল হোসেনকে ২০১৬ সালের ১০ মে হঠাৎ করে বেতাগী থেকে বদলী করে নেয়া হয় জেলা সদর বরগুনায়। সেই থেকে এ হাসপাতালের এ পদটি শূন্য রয়েছে। এর ফলে ১টি পৌরসভা সহ ৭টি ইউনিয়নের দেড়লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত এ উপজেলার দারিদ্র্য জনগোষ্ঠিকে হাসাপাতালের বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত ফি দিয়ে এক্সরে করতে হচ্ছে।

এমনই একজন ভূক্তভোগী মো: সালাউদ্দিন বাপ্পি অভিযোগ করেন, একারনে তাদের সময় ও অর্থ উভয়ই বেশি অপচয় হচ্ছে। পরতে হচ্ছে নানা ভোগান্তিতে। ব্যহত হচ্ছে চিকিৎসা কার্যক্রম।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা: আ.ন.ম মঈনুল ইসলাম জানান, রেডিও গ্রাফারের অভাবে এক্সরে মেশিনটি বন্ধ থাকায় তিনি যোগদানের পরপরই ঐ শূণ্যপদ পূরনের ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিতভাবে জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




‘তিন বছরেও খোলা হয়নি এক্স-রে রুমের তালা’

আপডেট সময় : ১১:১৩:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০১৯

বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

বরগুনা সংবাদদাতা: বেতাগীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিন বছর ধরে তালাবদ্ধ অবস্থায় রাখা হয়েছে এক্স-রে কক্ষ। দিনের পর দিন বন্ধ থাকায় রোগীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। হাসপতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য লোকবলের অভাবে তিনবছর ধরে এক্সরে মেশিন বন্ধ রাখা হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এক্স-রে মেশিনের কক্ষটি বন্ধ রয়েছে। কক্ষের সামনে মরিচা ধরা তালা ঝুলছে। দরজা জুড়ে রয়েছে মাকড়াশার জাল বোনা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পার্শ্ববর্তী একটি ডায়গনষ্টিক সেন্টারের রেডিও গ্রাফার জানিয়েছেন, এক্স-রে মেশিনটি দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় কারিগারি সমস্যা হতে পারে।

এদিকে লোকবলের অভাবে এক্স-রে মেশিনটি বন্ধ থাকায় যন্ত্রপাতিতে নানা ধরনের ত্রুটি দেখা দিতে পারে। তবে কি অবস্থায় রয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিছুই বলতে পারছেন না।

জানা গেছে, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালটিতে বর্তমানে ছয়জন চিকিৎসক, ফার্মাসিষ্ট, কম্পাউন্ডার, পরিসংখ্যান বিদ, মেডিক্যাল টেকনলোজিস্ট পদ শূন্যের পাশাপাশি এক্স- রে মেশিন পরিচালনার জন্য রেডিও গ্রাফার নেই দীর্ঘ তিন বছর ধরে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্র জানায়, কর্মরত রেডিও গ্রাফার আবুল হোসেনকে ২০১৬ সালের ১০ মে হঠাৎ করে বেতাগী থেকে বদলী করে নেয়া হয় জেলা সদর বরগুনায়। সেই থেকে এ হাসপাতালের এ পদটি শূন্য রয়েছে। এর ফলে ১টি পৌরসভা সহ ৭টি ইউনিয়নের দেড়লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত এ উপজেলার দারিদ্র্য জনগোষ্ঠিকে হাসাপাতালের বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত ফি দিয়ে এক্সরে করতে হচ্ছে।

এমনই একজন ভূক্তভোগী মো: সালাউদ্দিন বাপ্পি অভিযোগ করেন, একারনে তাদের সময় ও অর্থ উভয়ই বেশি অপচয় হচ্ছে। পরতে হচ্ছে নানা ভোগান্তিতে। ব্যহত হচ্ছে চিকিৎসা কার্যক্রম।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা: আ.ন.ম মঈনুল ইসলাম জানান, রেডিও গ্রাফারের অভাবে এক্সরে মেশিনটি বন্ধ থাকায় তিনি যোগদানের পরপরই ঐ শূণ্যপদ পূরনের ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিতভাবে জানিয়েছেন।