ঢাকা ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন




চিকিৎসা যখন রাজনীতি:

ইন্টার্ন চিকিৎসকের হাত-পা ভেঙে দিলেন সহকর্মীরা

জেলা প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০১:১১:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ২৯৬ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি, যশোর: যশোর মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে জাকির হোসেন (২৮) নামের এক ইন্টার্ন চিকিৎসককে মারধর করে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সহকর্মীদের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত জাকির হোসেন বর্তমানে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গত মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে যশোর মেডিকেল কলেজ ছাত্রাবাসে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) আহত ইন্টার্ন চিকিৎসকের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। আহত জাকির হোসেন রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হরিশ্বর গ্রামের মৃত সুরুজ জামানের ছেলে।

হাসপাতালে ভর্তি জাকির হোসেন বলেন, মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক মেহেদী হাসান লিয়ন, শামীম হাসান, আকাশ, আব্দুর রহমান তানিমসহ কয়েকজন ছাত্রাবাসের ১০৪ নম্বর কক্ষে প্রতিনিয়ত মাদকের আড্ডা বসান, সারারাত চিৎকার-চেঁচামেচি করেন। ওই রুমের পাশেই আমার রুম। এ কারণে পড়াশোনায় ব্যাঘাত হয়। প্রতিবাদ করলে গত মঙ্গলবার রাতে তারা রুমে ঢুকে হকিস্টিক ও জিআই পাইপ দিয়ে আমাকে মারধর করেন। রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মেরে আমার হাত-পা ভেঙে দেন। একপর্যায়ে ঘর থেকে নগদ টাকা, মানিব্যাগ ও মোটরসাইকেল নিয়ে যায় তারা।

আহতের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভাইকে ডাক্তারি পড়াশোনা করার জন্য যশোর মেডিকেলে ভর্তি করেছিলাম। এখন সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার দুই পা ও এক হাত হকিস্টিক দিয়ে ভেঙে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জাকিরের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়ি মারধরের চিহ্ন রয়েছে। এই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কলেজ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে সঠিক বিচার কামনা করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




চিকিৎসা যখন রাজনীতি:

ইন্টার্ন চিকিৎসকের হাত-পা ভেঙে দিলেন সহকর্মীরা

আপডেট সময় : ০১:১১:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

জেলা প্রতিনিধি, যশোর: যশোর মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে জাকির হোসেন (২৮) নামের এক ইন্টার্ন চিকিৎসককে মারধর করে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সহকর্মীদের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত জাকির হোসেন বর্তমানে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গত মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে যশোর মেডিকেল কলেজ ছাত্রাবাসে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) আহত ইন্টার্ন চিকিৎসকের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। আহত জাকির হোসেন রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হরিশ্বর গ্রামের মৃত সুরুজ জামানের ছেলে।

হাসপাতালে ভর্তি জাকির হোসেন বলেন, মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক মেহেদী হাসান লিয়ন, শামীম হাসান, আকাশ, আব্দুর রহমান তানিমসহ কয়েকজন ছাত্রাবাসের ১০৪ নম্বর কক্ষে প্রতিনিয়ত মাদকের আড্ডা বসান, সারারাত চিৎকার-চেঁচামেচি করেন। ওই রুমের পাশেই আমার রুম। এ কারণে পড়াশোনায় ব্যাঘাত হয়। প্রতিবাদ করলে গত মঙ্গলবার রাতে তারা রুমে ঢুকে হকিস্টিক ও জিআই পাইপ দিয়ে আমাকে মারধর করেন। রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মেরে আমার হাত-পা ভেঙে দেন। একপর্যায়ে ঘর থেকে নগদ টাকা, মানিব্যাগ ও মোটরসাইকেল নিয়ে যায় তারা।

আহতের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভাইকে ডাক্তারি পড়াশোনা করার জন্য যশোর মেডিকেলে ভর্তি করেছিলাম। এখন সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার দুই পা ও এক হাত হকিস্টিক দিয়ে ভেঙে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জাকিরের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়ি মারধরের চিহ্ন রয়েছে। এই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কলেজ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে সঠিক বিচার কামনা করছি।